স্বপ্নচূড়া
শামস্ উল আলম'S BLOGG
১৪ জুল, ২০১৩
২১ মে, ২০১৩
হাজার বছরের চট্টগ্রাম – টাইমলাইন
•
বিস্তারিত পড়ুন ... »
চট্টগ্রামের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের। তাই এই শহরটা ঐতিহ্যে ভরপুর।
অনলাইনে কিছু টুকটাক গবেষনা করে কিছু ইন্ফরমেশন বের করলাম। শেয়ার করার মত
একটা টাইমলাইন পেলাম। হাজার বছরের চট্টগ্রামের একটা টাইমলাইন। চট্টগ্রামের
উল্লেখযোগ্য ইতিহাসগুলো তুলে ধরা হয়েছে। শেয়ার করুন, জানুন আর অবাক হোন!
হাজার বছর ধরে : ঘটনাপঞ্জি
৬-৭ শতক | বর্মী ইতিহাস-পঞ্জি অনুসারে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ রাজাদের শাসনাধীন ছিল। | |||||||||
৯৫৩-৯৫৭ | আরাকান রাজা ছুলা-তাইং-ছন্দ্র চট্টগ্রাম অধিকার ও শাসন করেন। | |||||||||
১০ শতক | আরব বণিকদের চট্টগ্রাম আগমনের সূচনা। | |||||||||
১১ শতক | অনরহ্তা (১০৪৪-৭৭) নামে একজন বর্মী রাজা চট্টগ্রামে আসেন। | |||||||||
১১৫৩ | আরব ভৌগোলিক আল-ইদ্রিসি চট্টগ্রামে আসেন বলে ধারণা। | |||||||||
১২৪৩ | ত্রিপুরার মহারাজ দামোদর দেব ১২৪০-এর দিকে চট্টগ্রামে রাজত্ব করেন। তারনামাঙ্কিত ১২৪৩ সালের তাম্রশাসন থেকে এর সমর্থন মেলে। | |||||||||
১২৯১-৯২ | ইতালীয় পরিব্রাজক মার্কো পোলোর চট্টগ্রাম বন্দরে আগমন। | |||||||||
আনু. ১৩৪০ | ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের রাজত্বকালে সেনাপতি কদল খাঁ গাজী আরাকানিদেরবিতাড়িত করেন। চট্টগ্রামে সর্ব প্রথম মুসলিম শাসন কায়েম। | |||||||||
১৩৪৫-৪৬ | আরব বিশ্ব পর্যটক ইবনে বতুতার চট্টগ্রাম সফর । | |||||||||
১৩৫০ | সমুদ্র পারের খুব সুন্দর স্থান হিসেবে চট্টগ্রামের পরিচিতি লাভ । | |||||||||
১৪০০ | চীন সম্রাটের একজন দূত ৬০টি বড় বড় জাহাজ নিয়ে যোগাযোগ ও বাণিজ্য করতে চট্টগ্রাম আগমন। | |||||||||
১৪০০ | ভেনিসীয় পর্যটক নিক্কোলো দে কন্তি চট্টগ্রাম হয়ে আরাকান ভ্রমণ করেন। | |||||||||
১৫ শতক | আরাকান রাজ্যের সঙ্গে চট্টগ্রামের সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। | |||||||||
১৪০৬ | চীনা বিবরণকার মা হুয়ান চট্টগ্রাম সফর করেন। | |||||||||
১৪১৫ | একটি চীন রাজপ্রতিনিধিদল চট্টগ্রামে আসেন। ঐ দলে বিখ্যাত চীনা বিবরণ লেখক মা হুয়ানও ছিলেন। | |||||||||
১৪১৭ | রাজা গণেশ ওরফে দনুজ মর্দন দেব-এর নামাঙ্কিত ১৪১৭ সালের একটি মুদ্রায় ‘চাটিগ্রাম’ নাম খোদিত দেখা যায়। | |||||||||
১৪১৭ | চট্টগ্রাম ছিল রাজা মহেন্দ্র দেবের অধিকারে। | |||||||||
১৪৭৪ | রাস্তি খান হাটহাজারিতে সমজিদ নির্মাণ করেন। | |||||||||
১৪৮৭ | জয়চন্দ্র চক্রশালার অধিপতি হন। | |||||||||
১৬ শতক | এই শতকের প্রথম দিকে গৌড়ের রাজা আলাউদ্দিন হুসেন শাহ, ত্রিপুরার রাজা ধন্যমাণিক্য ও আরাকানের রাজা মিনুয়াজা- এ তিন শক্তির ত্রিমুখী লড়াই চলে চট্টগ্রামকে করায়ত্ত করার জন্য। | |||||||||
১৫০৫ | জালাল হালভি চট্টগ্রাম সফল করেন। | |||||||||
১৫১৩ | ত্রিপুরার রাজা ধন্যমাণিক্য চট্টগ্রাম অধিকার করেন। | |||||||||
১৫১৩ | গৌড়েশ্বর হোসেন শাহ চট্টগ্রামের উত্তরাংশ দখল করেন। | |||||||||
১৫১৩-১৭ | চট্টগ্রামের অধিকার নিয়ে ধন্যমাণিক্য ও হোসেন শাহের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলে। | |||||||||
১৫১৭-১৮ | হোসেন শাহ সমগ্র চট্টগ্রাম ও আরাকানের উত্তরাংশ করায়ত্ত করেন। | |||||||||
১৫১৭ | পর্তুগিজ ক্যাপটেন জোয়া দা সিলভেইরা প্রথম চট্টগ্রাম বন্দরে তার ‘লুপু সোয়ান’ জাহাজ ভেড়ান। | |||||||||
১৫২২ | ত্রিপুরা-রাজ দেবমাণিক্য চট্টগ্রাম অধিকার করেন। | |||||||||
১৫২৪ | হোসেন শাহের পুত্র নসর উদ্দিন নসরত শাত চট্টগ্রাম জয় করেন। | |||||||||
১৫২৬ | পর্তুগিজ ক্যাপ্টেন সাজ পেরেইরা চট্টগ্রাম সফর করেন। | |||||||||
১৫৩৩ | পর্তুগিজ ক্যাপ্টেন আলফনসো দে মেল্লো চট্টগ্রাম আসেন এবং পাঠান প্রশাসক হামজাখানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। | |||||||||
১৫৩৭ | সুলতান মাহমুদ শাহ শেরশাহের বিরুদ্ধে পর্তুগিজদের সমর্থন আদায়ের জন্য নানোফার্নান্দেজ ফ্রেইরেকে চট্টগ্রামের শুল্ক ভবনের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করেন। এবং পর্তুগিজদের চট্টগ্রামে কারখানা নির্মাণের অনুমতি দেন। | |||||||||
১৫৩৮-৪৫ | চট্টগ্রাম ছিল সম্রাট শেরশাহের অধীনে। | |||||||||
১৫৩৮-৮০ | চট্টগ্রাম ছিল মূলত আফগান শামসাধীন। | |||||||||
১৫৪২ | আরাকানরাজ চান্দিলা রাকাকে চট্টগ্রামের শাসক নিযুক্ত করেন। | |||||||||
১৫৫৪ | তুর্কি সুলতান প্রেরিত নৌ-অধ্য ক্যাপটেন সিদি আলী চেহেলভির চট্টগ্রাম আগমন। | |||||||||
১৫৫৫ | মাহমুদ খান চট্টগ্রাম অধিকার করেন। | |||||||||
১৫৫৬ | ত্রিপুরার রাজা বিজয় মাণিক্য চট্টগ্রাম আক্রমণ করে সাময়িকভাবে দখল করে নেন। ১৫৬৬ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ত্রিপুরা অধিকার বলবৎ থাকে। | |||||||||
১৫৬০-৮১ | চট্টগ্রাম বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করে। | |||||||||
১৫৬৭ | সিজার ফ্রেদেরিকো চট্টগ্রাম সফর করেন। | |||||||||
১৫৬৭ | চট্টগ্রামের শাসক নরসত খান আরকানিদের হাতে নিহত হন। | |||||||||
১৫৭৩ | দাউদ কররানি চট্টগ্রাম অধিকার করেন। | |||||||||
১৫৮১-১৬৬৬ | চট্টগ্রাম মূলত ছিল আরাকান রাজাদের শাসনাধীন। | |||||||||
১৫৮৫ | রেলফ ফিচ চট্টগ্রামে অবস্থান করেন। | |||||||||
১৫৮৫ | পর্তুগিজদের সাহায্য নিয়ে আরাকানরাজ পুনরায় চট্টগ্রাম করায়ত্ত করেন। | |||||||||
১৫৮৫-১৭৬০ | চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল ও জলভাগে পর্তুগিজদের কর্তৃত্ত বজায় ছিল। | |||||||||
১৫৯০ | আন্তেনিও গোদিনহোর নেতৃত্বে ভাড়াটে পর্তৃগিজ সেনারা সাময়িকভাবে চট্টগ্রাম দখল। | |||||||||
১৫৯৯ | চট্টগ্রামের শাসনকর্তা বৌদ্ধ ধর্মপন্ডিত মহাপিন্ন্যগ্য-র মৃত্যু। | |||||||||
১৬০১ | চট্টগ্রাম থেকে মিন রাজাগী-র মুদ্রা চালু করা হয়। | |||||||||
১৬০২ | কারভালহো-র নেতৃত্বে পর্তুগিজরা সন্দ্বীপ দখল করে এবং চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে। | |||||||||
১৬০২ | পর্তুগিজরা চট্টগ্রামের শাসনকর্তা আরকান রাজার সভাসদ সিনাবাদিকে হত্যা করে। | |||||||||
১৬০৫ | অধিকৃত জায়গা থেকে পর্তুগিজদের উচ্ছেদ করা হয়। এবং আরকানরাজ সন্দ্বীপপুনর্দখল করেন। | |||||||||
১৬০৭ | ফরাসি পরিব্রাজক ডি লাভাল চট্টগ্রামে অবস্থান করেন। | |||||||||
১৬১৪ | মেং সোয়া পিউ চট্টগ্রামের শাসক নিযুক্ত হন। | |||||||||
১৬১৬ | কাসিম খানের চট্টগ্রাম দখল অভিযান ব্যর্ত হয়। | |||||||||
১৬২১ | ইব্রাহিম খানের চট্টগ্রাম দখল অভিযান ব্যর্ত হয়। | |||||||||
১৬২৮ | রাজ-বিদ্রোহী আরকান সেনাপতি মুকুট রায় চট্টগ্রাম দখল করেন এবং দিল্লির সম্রাটের কাছে একে হস্তান্তর করেন। | |||||||||
১৬৩০-৩৪ | পর্তুগিজ মিশনারি পাদ্রি ম্যানরিক চট্টগ্রামে অবস্থান করেন। | |||||||||
১৬৬০ | সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র শাহ সুজা বর্মা পলায়নকালে চট্টগ্রাম-এর ওপর দিয়ে যান। | |||||||||
১৬৬৬ | শায়েস্তা খানের সেনাবাহিনী আরাকানের রাজাদের হাত থেকে চট্টগ্রাম ছিনিয়ে নিলে এখানে মোগল আদিপাত্য বিস্তৃত হয়। নওয়াব বুজুর্গ উম্মেদ খান চট্টগ্রামের প্রথম তোগল ফৌজদার (জেলা-অধিকর্তা) নিযুক্ত হন। এই সময় চট্টগ্রামের নাম রাখা হয় ইসলামাবাদ। | |||||||||
১৬৬৯ | আন্দরকিল্লায় জামে সমজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। | |||||||||
১৬৮২ | হামজা খানের সমজিদ নির্মিত হয়। | |||||||||
১৬৮৫ | অ্যাডমিরাল নিকলসন চট্টগ্রাম অধিকারের প্রচেষ্টা চালান। | |||||||||
১৬৮৮ | কমান্ডার হিথ চট্টগ্রাম দখলের প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। | |||||||||
১৭১৩ | ওয়ালি বেগ খান চট্টগ্রামে সমজিদ নির্মাণ করেন। | |||||||||
১৭১৯/১৭২৩ | মোগল শাসক এয়াসিন খান কদম মোবারক সমজিদ নির্মাণ করেন। | |||||||||
১৭৪৭ | প্রথম ফরাসি ফ্যাক্টরি বিল্ডিং নির্মিত হয়। | |||||||||
১৭৫১ | ফরাসিরা নোতরদাম-দে-গার লুপ আ কঁ কঁ নামে একটি উপাসনালয় নির্মাণ করে। | |||||||||
১৭৬০ | ২৭ সেপ্টেম্বরের সন্ধির শর্ত অনুসারে মির কাশিম মেদিনীপুর ও বর্ধমানের সঙ্গে চট্টগ্রামকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দেন। চট্টগ্রামের চিফ হয়ে আসেন হেরি ভেরেলেষ্ট। তাঁর সঙ্গে আসেন কাউন্সিল সদস্য টমাস রামবোল্ড ও বেন ডলফ। এঁদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে আসেন ওয়ালটার উইলফেস ও দেওয়ান হিসেবে আসেন গোকুলচন্দ্র ঘোষল। | |||||||||
১৭৬১ | ৫ জানুয়ারি: হেরি ভেরেলেস্ট চিফ হিসেবে নাবাব রেজা খাঁ-র কাছ থেকে ইসলামবাদের (চট্টগ্রামের) দায়িত্ব ভার বুঝে নেন। | |||||||||
১৭৬১ | চট্টগ্রামে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনি প্রথম কারখানা নির্মাণ করে। | |||||||||
১৭৬৫ | চট্টগ্রামে প্রথম জরিপ কাজ শুরু হয়। | |||||||||
১৭৭২ | রাজস্ব বোর্ড গঠন করা হয়। | |||||||||
১৭৭৪ | ১২ জুলাই থেকে চট্টগ্রামে দাস প্রথা রহিত হয়। | |||||||||
১৭৭৭ | নভেম্বর: চট্টগ্রামের পার্বত্য প্রদেশে বসবাসরত কুকি উপজাতীয়দের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। | |||||||||
১৭৭৮ | চট্টগ্রাম-ঢাকা সড়কের উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায়। | |||||||||
১৭৮৫ | বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ স্যার উইলিয়াম জোনস চার মাস চট্টগ্রামে অবস্থান করেন। | |||||||||
১৭৯০ | ২৮ আগস্ট: চট্টগ্রামে কোর্ট অব ওয়ার্ডস প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৭৯১ | [কদম মোবারক সমজিদ] নির্মিত হয়। | |||||||||
১৭৯৩ | বিচারপতি স্যার এলিজাহ ইস্পেই চট্টগ্রাম সফর করেন। | |||||||||
১৭৯৪ | চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে প্রথম দৈনন্দিন ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়। কলকাতা থেকে ৬ দিনে চিঠি আসতে থাকে। | |||||||||
১৭৯৮ | ক্যাপ্টেন কক্স কক্সবাজার প্রতিষ্ঠা করেন। | |||||||||
১৮৩৬ | জানুয়ারিতে প্রথম ইংরেজি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্কুলটিই পরবর্তীকালে বর্তমান চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল নামে পরিচিত। | |||||||||
১৮৩৯ | ডিসেম্বর ২৪: চট্টগ্রামে প্রথম গির্জা স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৮৪০ | ব্রিটিশ রাজ্যের পে এ স্কোনস পাইওনিয়ার টি গার্ডেন স্থাপন করলে চট্টগ্রামে প্রথম চা-আবাদের সুচনা হয়। | |||||||||
১৮৪১ | সবচেয়ে প্রাচীন ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট প্লাসিডস স্কুল স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৮৫৪ | মহকুমা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার মহকুমা গঠিত হয়। | |||||||||
১৮৫৪-৫৬ | কলকাতা থেকে সড়ক পথে বার্মা যাওয়ার সুবিধার জন্য ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড নতুনভাবে নির্মিত হয়। | |||||||||
১৮৫৭ | ১৯ নভেম্বর: ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ‘সিপাহি বিদ্রোহে চট্টগ্রাম তিনটি সামরিক কোম্পানি অংশ নেয় এবং তেরজুরি লুট হয়। | |||||||||
১৮৬০ | জুন ২০ চট্টগ্রাম পৌরসভা বা মিউনিসিপালটির যাত্রা শুরু ; আগস্ট: পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়। | |||||||||
১৮৬১ | কুকি উপজাতীয় সর্দার রতন পাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযান। | |||||||||
১৮৬৩ | ১ জুন মিউনিসিপ্যাল কমিটি সংগঠিত হয়। | |||||||||
১৮৬৯ | এপ্রিল ১: কক্সবাজার টাউন কমিটি গঠিত হয়। | |||||||||
১৮৬৯ | প্রথম কলেজ স্থাপিত হয়। এটিই পরবর্তীকালে বর্তমান চট্টগ্রাম কলেজের রূপ নিয়েছে। | |||||||||
১৮৭১ | কুকি হামলা। | |||||||||
১৮৭৪ | চট্টগ্রাম মাদ্রসা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে তা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এবং বর্তমানে হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজ নামে পরিচিত। | |||||||||
১৮৭৫ | জানুয়ারি ২৯: চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের জম্ন হয়। কমলাকান্ত সেন ছিলেন প্রথম সভাপতি। | |||||||||
১৮৭৬ | চট্টগ্রাম কলেজ স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৮৭৬ | ভয়াবহ সাইকোন হয় এবং কলেরায় ১৫ হাজার লোক মারা পড়ে। | |||||||||
১৮৭৮ | ২৩ আগষ্ট: চট্টগ্রাম ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৮৭৮ | ডা: খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৮৮৪ | চট্টগ্রাম জেলা বোর্ড গঠিত হয়। | |||||||||
১৮৮৫ | কাজেম আলী স্কুল স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৮৮৬ | এপ্রিল ১৪: নব বিধান ব্রাহ্মমন্দির নির্মিত হয়। | |||||||||
১৮৮৬ | সীতাকুন্ড পাহাড়ে প্রস্তর যুগের অশ্মীভুত কাঠের কৃপাণ আবিস্কৃত হয়। | |||||||||
১৮৮৭ | মে ৩: চট্টগ্রাম জেলা বোর্ডের কাজ আরম্ভ হয়। | |||||||||
১৮৮৭ | চট্টগ্রাম বন্দর কমিশনের বোর্ড গঠিত হয়। | |||||||||
১৮৮৮ | কুকি হামলা। | |||||||||
১৮৯০ | কুকিদের বিরুদ্ধে দমনমূলক অভিযান পরিচালনা। | |||||||||
১৮৯২ | ডিসেম্বর ২৮: চট্টগ্রামে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের ভিত্তি স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৮৯৩ | বন বিভাগের প্রধান কার্যালয় রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত হয়। | |||||||||
১৮৯৪ | চট্টগ্রাম আদালত ভবন নির্মিত হয়। | |||||||||
১৮৯৫ | জুলাই ১: চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপিত হলে বাস্পচালিত রেল ইঞ্জিন কুমিল্লা অভিমুখে প্রথম যাত্রা মুরু করে। | |||||||||
১৮৯৫ | নভেম্বর ৩: চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত রেল পথের সূচনা হয়। | |||||||||
১৮৯৭ | চট্টগ্রাম ঘুর্ণিঝড় ও মারাত্মক কলেরার কবলে পড়ে এবং কলেরায় ২১ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। | |||||||||
১৮৯৭ | মার্চ ১৭: চট্টগ্রামের কমিশনার সি, স্ক্রিন নতুন হাসপাতালের দ্বার উন্মুক্ত করেন। | |||||||||
১৮৯৯ | সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য প্রথম জেটি নির্মাণ করা হয় এবং তা যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। বাস্পচালিত জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে শুরু করে। | |||||||||
১৯০০ | মার্চ ১৩: শ্যামাকান্ত (শ্রীমৎ সোহং স্বামী) চট্টগ্রামে তাঁর সার্কাস প্রদর্শন শুরু করেন। | |||||||||
১৯০১ | প্রথম পাবলিক হাসপাতাল (চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল) প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯০২ | সীতাকুন্ডে পানির কল স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯০৩ | চট্টগ্রাম বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯০৪ | জানুয়ারী: চট্টগ্রামে বাকল্যান্ড হল পাবলিক লাইব্রেরি নামে প্রথম সাধারণ পাঠাগার বা পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এর নাম হয় মিউনিসিপ্যাল পাবলিক লাইব্রেরি। বর্তমানে এটি সিটি কর্পোরেশন গ্রন্থাগার নামে পরিচিত। | |||||||||
১৯০৪ | জানুয়ারি ১৭: চট্টগ্রামকে আসামের অন্তর্ভুক্ত করায় বিরাট প্রতিবাদ সভা হয়। | |||||||||
১৯০৪ | জুলাই ২০: রঙ্গমহাল হিলে তুলা গাছের নিচে ধ্যানী বুদধমুর্তি পাওয়া যায়। সেটি পরে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯০৪ | ১৬ ফেব্র“য়ারি: লর্ড কার্জন চট্টগ্রামে পূর্বাঞ্চলের (আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে লাইন) ৭৪০ মাইল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা (চট্টগ্রাম থেকে আপার আসাম পর্যন্ত) উদ্ধোধন করেন। | |||||||||
১৯০৫ | আগষ্ট ৭: বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট স্বদেশী আন্দোলনের প্রভাব চট্টগ্রামেও বিস্তৃত হয়। | |||||||||
১৯০৫ | অক্টোবর ২৯: রেল কর্মকর্তা মি. জেমস চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম মোটর কার চালান। | |||||||||
১৯০৫ | ডিসেম্বর ১১: ঘোড়া গাড়ির ধর্মঘট হয়। | |||||||||
১৯০৫ | লেফটেনান্ট গভর্নর মি. ফুলার প্রদেশের গভর্নর হয়ে চট্টগ্রাম আসেন এবং ঘোড়ায় চড়ে হাসপাতাল, কলেজ, স্কুল পরিদর্শন করেন। চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের বড় সভায় স্থির হয় যে ফুলার সাহেবকে অভিনন্দন জানানো হবে না। | |||||||||
১৯০৬ | জানুয়ারি ১২: মাইজভান্ডারের প্রসিদ্ধ ফকির আহমদ উল্লাহ সাহেব পরলোকে গমন করেন। | |||||||||
১৯০৬ | মার্চ ১৫: স্বদেশী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিদেশী কাপড়, লবণ ও চিনি বর্জন আন্দোলন শুরু হয়। স্বদেশী সঙ্গীতসহ শোভাযাত্রা ও সভা-সমিতির সূত্রপাত হয়। | |||||||||
১৯০৬ | নভেম্বর ২৭: সাপ্তাহিক ‘পঞ্চজন্যৎ পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করে। | |||||||||
১৯০৭ | জুন ১৭: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চট্টগ্রাম শুভাগমন। জুন ২৮: কমল বাবুর থিয়েটার হলে (সদরঘাটস্থ বিশ্বম্ভর ভবন) রবীন্দ্রনাথ বক্তৃতা করেন। আগষ্ট ২: চট্টগ্রামে আর্যসঙ্গীত সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯০৯ | মুসলিম হাই স্কুল স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯১১ | আগষ্ট ১৫: চট্টগ্রাম সাহিত্য পরিষদ গঠিত হয়। | |||||||||
১৯১২ | এপ্রিল ৭: বঙ্গীয় প্রাদেশিক সন্মেলনের অধিবেশন হয় চট্টগ্রামে। সভাপতিত্ব করেন এ. রসুল। | |||||||||
১৯১২ | আগষ্ট ১: বাংলার প্রথম গভর্নর লর্ড কারমাইকেল সস্ত্রীক চট্টগ্রামে আসেন। | |||||||||
১৯১৩ | চট্টগ্রাম সর্কিট হাউস নির্মিত হয়। | |||||||||
১৯১৩ | মার্চ ২২-২৩: বঙ্গীয় সহিত্য সম্মিলনের অধিবেশন হয়। সভাপতিত্ব করেন অয়কুমার সরকার। হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যােিনাদ, বিহারীলাল সরকার, বিপিনচন্দ্র পাল, বিনয়কুমার সরকার, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত প্রমুখ সাহিত্যিক এতে যোগ দেন। | |||||||||
১৯১৩ | দারুল উলুম মাদ্রাসা স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯১৫ | ২৬ মার্চ: টাউন হল বিল্ডিং কমিটি গঠিত হয়। | |||||||||
১৯১৫ | পুলিশ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯১৬ | শহরে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সূচনা হয়। | |||||||||
১৯১৬ | লর্ড কারমাইকেল চট্টগ্রামে আসেন। | |||||||||
১৯১৮ | বঙ্গীয় মুসলমান শিক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯১৮ | বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ছিলেন মওলানা আকরাম খাঁ। | |||||||||
১৯১৮ | বঙ্গীয় মুসলমান ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ছিলেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। | |||||||||
১৯১৯ | নভেম্ভর ২৯: সকাল ১১.৪৫ মিনিটে সর্বপ্রথম চট্টগ্রামের আকাশে বিমান উড়তে দেখা যায়। | |||||||||
১৯১৬ | নভেম্ভর ১৯: রায় শরৎচন্দ্র দাস বাহাদুর টাউন হলের ভিত্তি স্থাপন করেন। হলের নামকরণ করা হয়: যাত্রামোহন সেন হল। | |||||||||
১৯২০ | ফেব্র“য়ারি ৮: নবীনচন্দ্র দত্ত রায় বাহাদুর যাত্রামোহন সেন হলের দ্বার উন্মোচন করেন। | |||||||||
১৯২০ | ফেব্র“য়ারি ১১: চট্টগ্রামের কষি ও শিল্প প্রদর্শনী খোলা হয়। | |||||||||
১৯২০ | চট্টগ্রাম অসহযোগ আন্দোলনের প্রবল ঢেউ বয়ে যায়। | |||||||||
১৯২০ | চট্টগ্রাম শহরে মোটরগাড়ি চলাচল শুরু করে। | |||||||||
১৯২১ | প্রবর্তক সংঘ স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯২৪ | চট্টগ্রাম থেকে হাটহাজারি পর্যন্ত ভাড়াটে ট্যাক্সি চলাচল শুরু করে। | |||||||||
১৯২৪ | চট্টগ্রামে ব্রতী বালক বা বয় স্কাউট সংঘঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। | |||||||||
১৯২৪ | ফয়’জ লেক নামে পরিচিত কৃত্রিম-হ্রদটি তৈরি করা হয়। | |||||||||
১৯২৫ | চট্টগ্রাম মেডিক্যাল স্কুল চালু হয়। রেলওয়ে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯২৫ | মুসলিম হল প্রতিষ্ঠিত হয় আন্দরকিল্লা এলাকায়। ১৯৫৩ সালে কে সি দে রোডে বর্তমান মুসলিম ইনস্টিটিউট হল নির্মিত হয়। | |||||||||
১৯২৫ | চট্টগ্রাম পৌরসভা চট্টগ্রাম শহরে ছেলেদের জন্য অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করে। ১৯২৮ সালে তা বাধ্যতামূলক করা হয় এবং ১৯৩৩ সালে মেয়েদের প্রাথমিক শিা বাধ্যতামূলক করা হয় | |||||||||
১৯২৬ | ব্রিটিশ সরকার চট্টগ্রামকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি দেন। | |||||||||
১৯২৬ | চট্টগ্রামে নিয়মিত চলচিত্র প্রদর্শন শুরু হয়। | |||||||||
১৯২৬ | জুলাই: কবি কাজী নজরুল ইসলাম চট্টগ্রামে আসেন। এরপর তিনি ১৯২৯ ও ১৯৩২ সালে চট্টগ্রাম এসেছিলেন। | |||||||||
১৯২৬ | সরোজিনী নাইডু চট্টগ্রাম সফর করেন। | |||||||||
১৯২৭ | আনোয়ারার ঝিয়রী গ্রামে ৬১টি বুদ্ধমুর্তিসহ সপ্তম ও দশম শতকের বহু পুরাকীর্তি আবিস্কৃত। | |||||||||
১৯২৭ | মার্চ ২৩: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালূ হয়। | |||||||||
১৯২৮ | চট্টগ্রামে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিা প্রবর্তিত হয়। | |||||||||
১৯২৯ | চট্টগ্রাম থেকে হাটহাজারি পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়। পরের বছর তা নাজিরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। | |||||||||
১৯৩০ | ১৮ এপ্রিল মাষ্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ ও সশস্ত্র অভ্যুঙ্খান সংঘটিত হয়। | |||||||||
১৯৩১ | ৪ জুন: কর্ণফুলী নদীর উপরে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু উদ্বোধন করা হয়। | |||||||||
১৯৩৩ | রাউজান সাহিত্য সন্মেলনে কবি নজরুল ও আবদুল কাদির প্রমুখ অংশ নেন। | |||||||||
১৯৩৪ | চট্টগ্রামে প্রথম হোমিওপ্যাথিক কলেজ স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৩৪ | সেপ্টেম্বর ২: চট্টগ্রাম সাহিত্য মজলিশ গঠিত হয়। | |||||||||
১৯৩৭ | নভেম্বর: ইংলন্ডের ইলিংটন কোরিস্থিয়ান দল চট্টগ্রামে ফুটবল খেলতে আসে। চট্টগ্রাম বাছাই একাদশের সঙ্গে তাদের খেলা হয়। | |||||||||
১৯৩৭ | চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গঠিত হয়। | |||||||||
১৯৩৭ | চট্টগ্রামে পূরবী সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯৩৮ | প্রথম কাপড়ের কল চালু হয়। | |||||||||
১৯৩৯ | স্যার আশুতোষ কলেজ, কানুনগোপড়া স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৩৯ | ধলঘাটে চট্টগ্রাম জেলা কৃষক সমিতির প্রথম সম্মেলন হয়। | |||||||||
১৯৪১ | ব্রিটিশ রাজ্যের যুদ্ধবিমান ব্যবহারের জরুরি প্রয়োজনে রাতারাতি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৪২ | মে: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে সর্বপ্রথম পতেঙ্গা বিমন বন্দর ও চট্টগ্রামে বোমা বর্ষিত হয়। | |||||||||
১৯৪৩ | মহামন্বম্ভরের কবলে পড়ে চট্টগ্রাম। | |||||||||
১৯৪৫ | ব্রিটিশ পাইওনিয়ার কের কাহার পাড়ায় গণ-নির্যাতন চালায়। | |||||||||
১৯৪৭ | ভারত বিভাগের ফলে চট্টগ্রাম পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। | |||||||||
১৯৪৭ | চট্টগ্রাম শহরের সড়কে প্রথম সাইকেল রিকশার চলাচল আরম্ভ হয় এবং শহরের প্রথম বাস-সার্ভিস চালু হয়। | |||||||||
১৯৪৭ | চট্টগ্রাম বাণিজ্য কলেজ-এর কার্যাক্রম শুরু হয়। | |||||||||
১৯৪৮ | হজ্বযাত্রীদের জন্য প্রথম চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহার শুরু হয়। | |||||||||
১৯৪৯ | চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৫১ | সিভিল ডিফেন্স বা নাগরিক প্রতিরা সংগঠন গঠিত হয়। | |||||||||
১৯৫১ | মার্চ ১৬-১৯: শহরের হরিখোলার মাঠে প্রথমবারের মতো সাংস্কৃতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯৫৩ | চট্টগ্রামে ইনফুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। | |||||||||
১৯৫৪ | ২২ জুন সার্কিট হাউসে জরুরি উপগ্রহ রেডিও স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রথম বেতার সম্প্রচর শুরু হয়। | |||||||||
১৯৫৪ | অক্টোবর: সাপ্তাহিক ‘জমানা’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। সম্পাদক: মাহবুব-উল আলম। | |||||||||
১৯৫৭ | চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯৫৭ | গার্লস কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯৫৭ | নভেম্বর: চট্টগ্রাম আইন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯৫৮ | ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৫৮ | চিটাগাং জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। সভাপতি হন মাহবুব-উল আলম। | |||||||||
১৯৫৯ | চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। | |||||||||
১৯৫৯ | বন্দর হাসপাতাল স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৬০ | ওয়াজিউল্লাহ ইনস্টিটিউটে নজরুল হীরক জয়ন্তী উদযাপিত হয়। | |||||||||
১৯৬০ | ১ জুলাই: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপ গঠিত হয়। | |||||||||
১৯৬০ | সেপ্টেম্বর ৫: দৈনিক আজাদী প্রথম প্রকাশিত হয়। | |||||||||
১৯৬০ | প্রলয়ংকরী মহাঘুর্ণিঝড়ে বিপুল জানমালের ক্ষতি হয়। | |||||||||
১৯৬১ | সেন্ট্র প্লাসিডস স্কুল প্রাঙ্গণে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উযাপিত হয়। | |||||||||
১৯৬২ | পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৬২ | অটোরিকশা (বেবিট্যাক্সি) প্রথম চালূ হয়। | |||||||||
১৯৬২ | সেপ্টেম্বর ৩: মেরিন একাডেমি স্থাপিত হয। | |||||||||
১৯৬২ | জুলাই: চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়। | |||||||||
১৯৬৩ | লায়ন্স দাতব্য চুক্ষু হাসপাতাল স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৬৩ | মার্চ ১: আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়। | |||||||||
১৯৬৩ | নভেম্বর: পানি ও পয়:নিঙ্কাশন কর্তৃপ (ওয়াসা) গঠিত হয়। | |||||||||
১৯৬৩ | ডিসেম্বর ২০: চট্টগ্রাম গণ-গ্রস্থাগারের কার্যক্রম শুরু হয়। | |||||||||
১৯৬৪ | এপ্রিল ১০: মুসলিম হলে কবিয়াল রমেশ শীলকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ৪৫৮টি দোকান বিশিষ্ট চট্টগ্রাম বিপনি বিতান বা নিউমার্কেট চালু হল। | |||||||||
১৯৬৫: | জাতিতাত্ত্বিক যাদুঘর স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৬৫: | ফৌজদারহাট যক্ষ্মা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯৬৬ | নভেম্বর ১৮: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। | |||||||||
১৯৭১ | মার্চ ২৩-২৪: সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানি অস্ত্র নামানোর বিরুদ্ধে শ্রমিক জনতার রক্তয়ী প্রতিরোধ। | |||||||||
১৯৭১ | ২৬ মার্চ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালূ হয়। | |||||||||
১৯৭৯ | চট্টগ্রাম শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। | |||||||||
১৯৮০ | ইসলামিক ফাউণ্ডেশন পরিচালিত ইসলামিক পাঠাগার স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৮১ | ৩০ মে: রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অবস্থানকালে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুথানকরীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। | |||||||||
১৯৮৩ | চট্টগ্রামে দেশের প্রথম রপ্তনি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল স্থাপিত হয়। | |||||||||
১৯৮৮ | জানুয়ারী ২৪: ম্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতার মিছিলে জঙ্গি পুলিশের অবিরাম গুলিবর্ষণে ঘৃণ্যতম বর্বর গণহত্যা সংঘটিত হয়। এত প্রাণ হারান ২২ জন এবং আহত হন পাঁচ শতাধিক। | |||||||||
১৯৮৯ | ফেব্রুয়ারী ২৮: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা চালু হয়। | |||||||||
১৯৮৯ | ডিসেম্বর: বাংলাদেশের প্রথম বিজয় মেলার সূচনা হয় চট্টগ্রামে। | |||||||||
১৯৯০ | জুলাই ৩১: চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত। বাংলাদেশের প্রথম বিজয় মেলার সূচনা হয় চট্টগ্রামে। | |||||||||
১৯৯১ | এপ্রিল ২৯: শতাব্দীর ভয়াবহতম প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের কবলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় ও দ্বীপাঞ্চল। ১ ল ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এবং শত শত কোটি টাকার সম্পদ হানি হয়। | |||||||||
১৯৯৩ | সেপ্টেম্বর ৬: চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জিয়া স্মৃতি যাদুঘর উদ্বোধন করা হয়। | |||||||||
১৯৯৪ | নভেম্বর ২৮: চট্টগ্রাম শিশুপার্ক উদ্বোধন করা হয়। |
১৬ মে, ২০১৩
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ যেভাবে
•
তৃতীয়
শতকে শ্রীলংকার শাসক ছিলেন রাজা 'মহাসেন'। তার নামানুসারেই জাতিসংঘের
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপে এ ঝড়টির নামকরণ
করে।
বিস্তারিত পড়ুন ... »
তৃতীয়
শতকে শ্রীলংকার শাসক ছিলেন রাজা 'মহাসেন'। তার নামানুসারেই জাতিসংঘের
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপে এ ঝড়টির নামকরণ
করে।
যেমন, বঙ্গোপসাগরে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে
'ফাইলিন' ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ নিয়ে কৌতূহল সবারই।বর্তমানে সহজ নামকরণ করা
হয় ঘূর্ণিঝড়ের। মজার ব্যাপার হচ্ছে, নামগুলোর বেশির ভাগই নারীদের নামে।
যেমন রিটা, ক্যাটরিনা, নার্গিস, সিডর, রেশমী, বিজলী। আমেরিকায় যে
প্রলয়ঙ্করী ঝড় আঘাত হেনেছে, সেই স্যান্ডির নামও নারীর। আগে শুধু নারীদের
নামে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হলেও ১৯৭৯ সাল থেকে পুরুষের নাম
অন্তর্ভুক্ত হয় এবং বর্তমান তালিকায় সমানভাবে পর্যায়ক্রমে মহিলা ও
পুরুষের নাম রয়েছে।
ভারতীয়
আবহাওয়া বিভাগ। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা
এবং ওমানের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার একটি প্যানেল হচ্ছে এস্কেপে। ২০০০ সালে
স্কেপের প্রস্তাবানুযায়ী প্রতিটি দেশ থেকে ১০টি নাম জমা নেওয়া হয়
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার জন্য। এখান থেকেই পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ
করা হয়।
আগামী ২০১৬ সাল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা আছে।
মহাসেনের পর আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ফাইলিন। তারপর পর্যায়ক্রমে আঘাত হানা
ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম হলো_ হেলেন, লহর, মাদী, নানাউক, হুদহুদ, নিলুফার,
প্রিয়া, কোমেন, চপলা, মেঘ, ভালি, কায়নত্দ, নাদা, ভরদাহ, সামা, মোরা,
অক্ষি, সাগর, বাজু, দায়ে, লুবান, তিতলি, দাস, ফেথাই, ফণী, বায়ু, হিকা,
কায়ের, মহা, বুলবুল, সোবা ও আমপান।
দেশের ইতিহাসে সর্বশেষ
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় 'আইলা' উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল ২০০৯ সালের ২৫
মে। ভারত মহাসাগর থেকে সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেন মালদ্বীপের
আবহাওয়াবিদরা।
(সংগৃহিত)
১২ মে, ২০১৩
রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী আমের পরিচিতি ও বিবরণ সহ ছবিব্লগ
•
বিস্তারিত পড়ুন ... »
ওয়েলকাম টু দ্যা হেভেন অফ ম্যাংগোজ। আমের রাজ্য রাজশাহীতে স্বাগতম। আম
খেতে কার না ভাল লাগে কিন্তু আমটা যদি রাজশাহীর হয় তাহলে তো আর কোন কথায়
থাকেনা। অনেকে আম খান কিন্তু আমের প্রকৃত নাম জানেন না আবার নাম জানলেও
দেখতে কেমন সেটা জানেন না ফলে বিক্রেতা আপনাকে যা ধরিয়ে দেয় সেটাই নিয়ে
বাড়ি আসেন। দোকানী বলে অনেক মিষ্টি হবে কিন্তু খাবার সময় আর মুখে তুলতে
পারেন না। আমি চেষ্টা করব কিছু জনপ্রিয় এবং কিছু দুর্লভ আমের ছবি ও সামান্য
বর্ণনা দিতে। তাই আমার এই পোষ্টের অবতারণা।
১। গোপাল ভোগঃ

মধুমাসের শুরুতেই যে আমটি আপনারা খেতে পাবেন সেটা হল গোপাল ভোগ। এর আর কি বিবরণ দিব আসলে গাছপাকা যে খেয়েছে সেই জানে এই আমের কি স্বাদ। তারপরেও বলি, খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু, আঁশ বিহীন, আটি ছোট। সাইজ মাঝারি, কেজিতে ৫টা থেকে ৬টা ধরবে। চোখ বন্ধ করে এই আম কিনতে পারেন (যদি অরিজিনাল হয়) অমৃতের স্বাদ পাবেন গ্যারান্টি!

২। ক্ষীরশাপাতিঃ

এই আমটিও প্রায় গোপাল ভোগের মতই তবে সাইজে বড়। অত্যন্ত মিষ্টি আঁশহীন। যখন আমটি পাকার কাছাকাছি(ডাকর) থাকবে তখন এটি কাঁচা খেতে দারুন।

৩। মিয়ার চারাঃ

আমটির নাম মিয়ার চারা কেন জানিনা। তবে নিশ্চয় কন মিয়াঁ সাহেবের অনেক পছন্দের আম ছিল। এটি পাকে প্রায় গোপাল ভোগের সাথে সাথেই। সাইজে মাঝারি। খুবই মিস্টি, একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। এটি আমার পছন্দের একটি আম।

৪। লখনাঃ

লখনা একটি হাইব্রিড জাতীয় আম। অনেক বড় হয়। গাছে প্রচুর ধরে। দেখতে অনেক সুন্দর, পাকলে ঈষৎ সোনালী বর্ণ ধারন করে কিন্তু স্বাদ পেপের মত। দাম তুলনামুলক কিছুটা কম। ছোট গাছের আম কম মিস্টি, বয়স্ক গাছের আম দারুন । এর কিছু গুন আছে এই আম পাকার পরেও ৭-৯ দিন ভাল থাকে, বিদেশিরা এই জাতের আম খুব পছন্দ করে ।

৫। ফজলিঃ

রাজশাহীর গর্ব! বহুল আলোচিত আম। যেমন তার সাইজ তেমন তার স্বাদ। আমটা একটু নামলা (দীর্ঘও সময়ের) এটি কাঁচা খেতে যেমন মজা তেমনি পাকা খেতেও। কাঁচা আম কেটে লবন মরিচ (বাদ দেন রাঁধুনি কাসুন্দি) দিয়ে মেখে কলা পাতার উপর রেখে বাগানে বসে না খেলে কোন মজাই পাওয়া যায় না।

৬। আশ্বিনাঃ

এই আম আশ্বিন মাস পর্যন্ত গাছে থাকে তাই এর নাম আশ্বিনা। আকারে বেশ বড়, অনেক সময় ফজলির কাছাকাছি চলে যায়। এই আম নিয়ে স্থানীয় একটা ছড়া আছে,
আশ্বিনা রে আশ্বিনা গাছ তলাতে যাস ন্যা,
কাঁচাতে খাইস ন্যা, পাকাতে পাইস ন্যা।
এই আম কাঁচাতে ভয়ংকর টক, কিন্তু পাকলে সেরকমই মিষ্টি ও সুস্বাদু।
৭। দুধসরঃ

এই আম দেখতে অনেক ফর্শা ( অনেকটা বিদেশীদের মত) তাই এর নাম দুধসর। খেতে বেশ ভালই। তবে কাঁচাতে খুব টক কিন্তু পাকলে ব্যপক মিষ্টি।

৮। ফনিয়ার চারাঃ

এই আমটা লম্বাটে গড়নের। খুব সুন্দর সুগন্ধ যুক্ত। খেতে অত্যন্ত মিষ্টি। খোসা পাতলা।

৯। জালিবান্ধাঃ

এই আম সাইজে বড়। খোসা পাতলা, অতিরিক্ত মিষ্টি না। তবে স্বাদটা ভাল।
১০। কাঁচামিঠাঃ

নামটা পড়েই বুঝতে পারছেন আমটা কেমন হতে পারে। কাঁচা অবস্থায় খেতে মিষ্টি। কাঁচাতে মিষ্টি তার মানে এই নয় যে পাকলে এটা টক হবে, পাকলেও বেশ সুস্বাদু। আপনার ঘরওয়ালি যদি একবার কাঁচা এই আম খায় তাহলে রোজ আপনাকে কিনতে বলবে এ ব্যপারে নিশ্চিত থাকুন। কিন্তু আপনাদের দুর্ভাগ্য এই আম ফরমালিন ছাড়া ঢাকাতে পাওয়ার সম্ভবনা খুব কম।
১১। কুয়া পাহাড়িঃ

এই আম নিশ্চয় আবিষ্কার হয়েছে কুয়ার পাড় হতে। আমটা লম্বা নিচের দিকে ঈষৎ বাঁকা। খেতে মিষ্টি, সামান্য আঁশযুক্ত।

১২। কুমড়া জালিঃ

ছোট কুমড়ার(তাই বলে আবার মিষ্টি কুমড়া না) মত এর সাইজ বলে এর নাম কুমড়াজালি। দেখে বুঝতেই পারবেন না যে, এটি আম না কুমড়া । খেতে অনেকটা জেলির মত। মনে হয় দানাদার টাইপের। স্বাদটা আলাদা ধরনের। খুব দুর্লভ।
১৩। মোহন ভোগঃ

এটা ভোগ সিরিজের আরও একটি আম। আটি ছোট, বেশ বড় সাইজের, খেতে মিষ্টি, অনেকটা গোপালভোগের মত।
১৪। পাটনায় গোপালভোগঃ

এটি হাইব্রিড টাইপের গোপালভোগ। সাইজটা গোপালভোগের চেয়ে বড়। কোয়ালিটির দিক দিয়ে গোপালভোগের চেয়ে কিছুটা কম। কেনার সময় গোলমাল পাকানোর সম্ভবনা আছে এই দুই আমের মধ্যে। যেটা আসল গোপালভোগ সেটা আকারে পাটনায়ের চেয়ে ছোট।

১৫। রানী প্রসাদীঃ

এই আমের লোকাল নাম ‘রানীপছন্দ’, জানিনা কোন রানীর পছন্দের আম ছিল এটা! যেহেতু আমটি রানীর প্রিয় তালিকায় ছিল সুতরাং আমটি যেমন তেমন আম নয়। অনেক মিষ্টি, সাইজে লম্বা, খোসা পাতলা। অনায়াসে আপনার অন্দর মহলের রানীকে নিয়ে যেয়ে খাওয়াতে পারেন।
১৬। ভাদ্রিঃ

এই আমটা অনেক লম্বা অনেক! ঈষৎ কৃষ্ণ বর্ণের, খোসা মোটা, খেতে গতানুগতিক ভাবে মিষ্টি।

১৭। রাজভোগঃ

রানীর ট্রেডমার্ক আম যদি থাকে তাহলে রাজা কি দোষ করল! হ্যাঁ এটা রাজার আম। রানীর আম যেমন কোমল তেমনি রাজার আম রাজার মতই শক্তিশালী। সাইজে গোল, বেশ বড় বড় হয়, খেতে প্রচণ্ড মিষ্টি কিন্তু শক্ত দাঁত থাকা আবশ্যক। বুজছেন তার মানে খাওয়ার পার দাঁত খেলান করা লাগবে, বেশ আঁশ যুক্ত।

১৮। ল্যাংড়াঃ

দ্যা কিং অফ ম্যাংগোজ। একজন সফল রাজার যে সব গুণাবলী থাকা দরকার তার সবগুলিই আছে এর। স্বাদে ঘ্রাণে অনন্য। যে আমের তুলনা আর কোন আমের সাথে করাই যায় না। নাম ল্যাংড়া হলেও আমটা মানুষের মত ল্যাংড়া নয়। আটি ছোট ও পাতলা, খোসা খুব পাতলা, রসালো, গায়ে শুধুই মাংস। স্বাদ অসাধারন।

মূল সুত্রঃhttp://bornelegant.wordpress.com/2013/05/11/mangoes-of-rajshahi-photoblog-with-description/
১। গোপাল ভোগঃ

মধুমাসের শুরুতেই যে আমটি আপনারা খেতে পাবেন সেটা হল গোপাল ভোগ। এর আর কি বিবরণ দিব আসলে গাছপাকা যে খেয়েছে সেই জানে এই আমের কি স্বাদ। তারপরেও বলি, খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু, আঁশ বিহীন, আটি ছোট। সাইজ মাঝারি, কেজিতে ৫টা থেকে ৬টা ধরবে। চোখ বন্ধ করে এই আম কিনতে পারেন (যদি অরিজিনাল হয়) অমৃতের স্বাদ পাবেন গ্যারান্টি!
২। ক্ষীরশাপাতিঃ
এই আমটিও প্রায় গোপাল ভোগের মতই তবে সাইজে বড়। অত্যন্ত মিষ্টি আঁশহীন। যখন আমটি পাকার কাছাকাছি(ডাকর) থাকবে তখন এটি কাঁচা খেতে দারুন।
৩। মিয়ার চারাঃ
আমটির নাম মিয়ার চারা কেন জানিনা। তবে নিশ্চয় কন মিয়াঁ সাহেবের অনেক পছন্দের আম ছিল। এটি পাকে প্রায় গোপাল ভোগের সাথে সাথেই। সাইজে মাঝারি। খুবই মিস্টি, একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। এটি আমার পছন্দের একটি আম।
৪। লখনাঃ
লখনা একটি হাইব্রিড জাতীয় আম। অনেক বড় হয়। গাছে প্রচুর ধরে। দেখতে অনেক সুন্দর, পাকলে ঈষৎ সোনালী বর্ণ ধারন করে কিন্তু স্বাদ পেপের মত। দাম তুলনামুলক কিছুটা কম। ছোট গাছের আম কম মিস্টি, বয়স্ক গাছের আম দারুন । এর কিছু গুন আছে এই আম পাকার পরেও ৭-৯ দিন ভাল থাকে, বিদেশিরা এই জাতের আম খুব পছন্দ করে ।
৫। ফজলিঃ
রাজশাহীর গর্ব! বহুল আলোচিত আম। যেমন তার সাইজ তেমন তার স্বাদ। আমটা একটু নামলা (দীর্ঘও সময়ের) এটি কাঁচা খেতে যেমন মজা তেমনি পাকা খেতেও। কাঁচা আম কেটে লবন মরিচ (বাদ দেন রাঁধুনি কাসুন্দি) দিয়ে মেখে কলা পাতার উপর রেখে বাগানে বসে না খেলে কোন মজাই পাওয়া যায় না।
৬। আশ্বিনাঃ
এই আম আশ্বিন মাস পর্যন্ত গাছে থাকে তাই এর নাম আশ্বিনা। আকারে বেশ বড়, অনেক সময় ফজলির কাছাকাছি চলে যায়। এই আম নিয়ে স্থানীয় একটা ছড়া আছে,
আশ্বিনা রে আশ্বিনা গাছ তলাতে যাস ন্যা,
কাঁচাতে খাইস ন্যা, পাকাতে পাইস ন্যা।
এই আম কাঁচাতে ভয়ংকর টক, কিন্তু পাকলে সেরকমই মিষ্টি ও সুস্বাদু।
৭। দুধসরঃ

এই আম দেখতে অনেক ফর্শা ( অনেকটা বিদেশীদের মত) তাই এর নাম দুধসর। খেতে বেশ ভালই। তবে কাঁচাতে খুব টক কিন্তু পাকলে ব্যপক মিষ্টি।

৮। ফনিয়ার চারাঃ
এই আমটা লম্বাটে গড়নের। খুব সুন্দর সুগন্ধ যুক্ত। খেতে অত্যন্ত মিষ্টি। খোসা পাতলা।
৯। জালিবান্ধাঃ
এই আম সাইজে বড়। খোসা পাতলা, অতিরিক্ত মিষ্টি না। তবে স্বাদটা ভাল।
১০। কাঁচামিঠাঃ
নামটা পড়েই বুঝতে পারছেন আমটা কেমন হতে পারে। কাঁচা অবস্থায় খেতে মিষ্টি। কাঁচাতে মিষ্টি তার মানে এই নয় যে পাকলে এটা টক হবে, পাকলেও বেশ সুস্বাদু। আপনার ঘরওয়ালি যদি একবার কাঁচা এই আম খায় তাহলে রোজ আপনাকে কিনতে বলবে এ ব্যপারে নিশ্চিত থাকুন। কিন্তু আপনাদের দুর্ভাগ্য এই আম ফরমালিন ছাড়া ঢাকাতে পাওয়ার সম্ভবনা খুব কম।
১১। কুয়া পাহাড়িঃ
এই আম নিশ্চয় আবিষ্কার হয়েছে কুয়ার পাড় হতে। আমটা লম্বা নিচের দিকে ঈষৎ বাঁকা। খেতে মিষ্টি, সামান্য আঁশযুক্ত।
১২। কুমড়া জালিঃ
ছোট কুমড়ার(তাই বলে আবার মিষ্টি কুমড়া না) মত এর সাইজ বলে এর নাম কুমড়াজালি। দেখে বুঝতেই পারবেন না যে, এটি আম না কুমড়া । খেতে অনেকটা জেলির মত। মনে হয় দানাদার টাইপের। স্বাদটা আলাদা ধরনের। খুব দুর্লভ।
১৩। মোহন ভোগঃ

এটা ভোগ সিরিজের আরও একটি আম। আটি ছোট, বেশ বড় সাইজের, খেতে মিষ্টি, অনেকটা গোপালভোগের মত।
১৪। পাটনায় গোপালভোগঃ
এটি হাইব্রিড টাইপের গোপালভোগ। সাইজটা গোপালভোগের চেয়ে বড়। কোয়ালিটির দিক দিয়ে গোপালভোগের চেয়ে কিছুটা কম। কেনার সময় গোলমাল পাকানোর সম্ভবনা আছে এই দুই আমের মধ্যে। যেটা আসল গোপালভোগ সেটা আকারে পাটনায়ের চেয়ে ছোট।
১৫। রানী প্রসাদীঃ
এই আমের লোকাল নাম ‘রানীপছন্দ’, জানিনা কোন রানীর পছন্দের আম ছিল এটা! যেহেতু আমটি রানীর প্রিয় তালিকায় ছিল সুতরাং আমটি যেমন তেমন আম নয়। অনেক মিষ্টি, সাইজে লম্বা, খোসা পাতলা। অনায়াসে আপনার অন্দর মহলের রানীকে নিয়ে যেয়ে খাওয়াতে পারেন।
১৬। ভাদ্রিঃ
এই আমটা অনেক লম্বা অনেক! ঈষৎ কৃষ্ণ বর্ণের, খোসা মোটা, খেতে গতানুগতিক ভাবে মিষ্টি।
১৭। রাজভোগঃ
রানীর ট্রেডমার্ক আম যদি থাকে তাহলে রাজা কি দোষ করল! হ্যাঁ এটা রাজার আম। রানীর আম যেমন কোমল তেমনি রাজার আম রাজার মতই শক্তিশালী। সাইজে গোল, বেশ বড় বড় হয়, খেতে প্রচণ্ড মিষ্টি কিন্তু শক্ত দাঁত থাকা আবশ্যক। বুজছেন তার মানে খাওয়ার পার দাঁত খেলান করা লাগবে, বেশ আঁশ যুক্ত।
১৮। ল্যাংড়াঃ
দ্যা কিং অফ ম্যাংগোজ। একজন সফল রাজার যে সব গুণাবলী থাকা দরকার তার সবগুলিই আছে এর। স্বাদে ঘ্রাণে অনন্য। যে আমের তুলনা আর কোন আমের সাথে করাই যায় না। নাম ল্যাংড়া হলেও আমটা মানুষের মত ল্যাংড়া নয়। আটি ছোট ও পাতলা, খোসা খুব পাতলা, রসালো, গায়ে শুধুই মাংস। স্বাদ অসাধারন।
মূল সুত্রঃhttp://bornelegant.wordpress.com/2013/05/11/mangoes-of-rajshahi-photoblog-with-description/
২৬ অক্টো, ২০১২
সেই সময়ের সুনীল
•
বিস্তারিত পড়ুন ... »
‘ওয়াচম্যান’ সিনেমাটার শুরুতেই বব ডিলানের একটা চমৎকার গান আছে। দ্যা
টাইমস দে আর আ চেঞ্জিং। সব কিছু বদলায়, সব কিছুই বদলে যাচ্ছে, সব কিছুই
বদলে যাবে। পৃথিবী ঘুরবেই।
সুনীলের কোন লেখাটা প্রথম পড়েছিলাম, সেটা আমার নিজেরও মনে নেই ঠিক। কেবল মনে আছে সে বইতে খোঁড়া একজন মানুষ- যার মনের জোর সাংঘাতিক- সেই রাজা রায় চৌধুরী নামের একটা মানুষ ছিলো। খুব সম্ভব ভূপাল রহস্য ছিলো প্রথম বইটার নাম। এরপর পড়লাম ভয়ংকর সুন্দর।
এবং এই বইটা পড়ে আমি কাকাবাবুর বিরাট ভক্ত হয়ে গেলাম। কালিকট বন্দরে এক শেকলে বাঁধা বন্দী ক্রমাগত চ্যাঁচিয়ে যাচ্ছে – সম্রাট কনিষ্কের মুণ্ডু হাতে করে আমার বন্ধু বসে আছে আমার জন্যে অপেক্ষা করে, আমায় যেতে দাও। ইতিহাসের ছোট্ট একটা মিথকে আশ্রয় করে সুনীল ভয়ংকর সুন্দর ভাবে আমার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এরপর সবুজ দ্বীপের রাজা আর বিজয়নগরের হীরে- রাজা রায় চৌধুরী, নরেন্দ্রভার্মার ভাষায় বলতে গেলে – আনডন্টেড।
ক্লাস সিক্স, শীতের ছুটি, গ্রামের নানুবাড়ি বিশাল বড়। আমি সেই ছুটিতে ক্রিকেট খেলে বেড়াচ্ছি গ্রামে থাকা অন্যান্য খালাতো ভাইদের সাথে। সেবারই জানলাম গ্রামের ক্রিকেট খুব ইন্টারেস্টিং জিনিস- পেপসির কেস ধরে বাজি খেলা হয়- টেপ টেনিস না শুধু টেনিস বল। বাড়িতে রাশভারি নানা ভাই আর আদর দিয়ে মাথায় তোলা নানু। আর ছিলো আইনপড়ুয়া খালামণি। সেই ক্রিকেট মহোৎসবের দিনগুলি কাটানোর সময় এক কুয়াশার ভোরে দেখি খালামণি বই পড়ছে। সেই সময়। সন্ধ্যায় কিছু করার না পেয়ে আমিও টেনে নিলাম সেটা। ইতিহাস অমন করেও লেখা যায় !
সুনীল গাঙ্গুলি জড়িয়ে আছেন অনেক কিছুর সাথে। স্কুলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বইপড়া কর্মসূচির মাঝেও প্রিয় বইয়ের একটা আবার যক্ষের ধন- আর অন্যটা ছিলো আঁধার রাতের অতিথি। বিশুঠাকুর চরিত্রটাকে দারুণ পছন্দ হয়ে গিয়েছিলো আমার।
সব সমীকরণ উলটে দিলেন আপনি সুনীল, ক্লাস এইটে। ছবির দেশেতে, কবিতার দেশেতে। মার্গারিট। কিছু বলার নেই, কিচ্ছুটি বলার খুঁজে পেলাম না বইটা পড়ে। কী স্বছ গদ্য, কী মনকাড়া বর্ণনা, কী অনায়াস সহজে বলা যায় নিজের গল্প। সেই প্রথম পড়া বইটাই এখনো আছে আমার বুকশেলফের ছট একটা জায়গা জুড়ে, আমি জানি এরচাইতে বহুগুণ জায়গা জুড়ে আছে সেটা প্রতিটি বইপড়ুয়ার মনেই।
কবিতার জন্যে অমরত্বকে আপনি তুচ্ছ করেছিলেন না সুনীল ?? কেউ কথা রাখেনি তাই- আপনিও অমর হয়ে গেলেন কবি। যে হাতে ছুঁয়েছিলেন সুনীল নীরার মুখ, সে হাতেই অনূদিত হয়েছিলো ব্যোঁদলেয়ারের আশ্চর্য মেঘদল। বিনয় বাদল দীনেশের মতন জল লাফিয়ে ওঠে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের বারান্দায় আর ‘লোরকা স্মরণে’ পড়তে গিয়ে বারবার আবিষ্কার করি বিস্ময়ে -কবিরা কখনো সত্যবাদী হয় না।
কোথায় যেন পড়েছিলাম সুনীল গাঙ্গুলি কবিতা ছাড়া আর কিছুই লিখতে চাননি কখনো। সাহিত্যের আরেকটা নির্মমতা হলো ইচ্ছার বিরুদ্ধেও কবিকে তাই লিখতে হয় অনেক কিছুই। ভাগ্যিস সুনীল লিখেছিলেন। বার্লিন প্রাচীরের ভাঙ্গা টুকরো হাতে নিয়ে তার সাথে আমরাও দেখি ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ, জাদুকর সত্যজিৎ এর হাত ধরে অরণ্যের দিনরাত্রি দেখি। আমি একা, আমাদের আরো কয়েকজন।
আনন্দমেলার পূজাবার্ষিকীর কাকাবাবুর জন্যে অপেক্ষা ফুরিয়েছে কয়েক বছর হলো। কবিতার ছায়া মাড়াই না, সেই সময় আর পূর্ব-পশ্চিম আবার পড়লাম বছরখানেক আগে। এই তো, সুনীলের সাথে আমার সম্পর্ক চায়ের আড্ডা বাদে এইটুকুই। তারপরেও আজ সকালে আপনার প্রয়াণে কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেলাম সুনীল। কারণটা কি বুঝতে পারি না।
ফাহিম ভাই দেখলাম ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলে দিয়েছেন কারণটা।
আপনি নেই এই সত্য মেনে নিয়েও চোখ মুছে সেই সময়ের প্রতীক রুপে আপনাকে বিদায় জানাই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সবকিছু বদলে যাচ্ছে, দ্যা টাইমস দে আর আ চেঞ্জিং।
আপনি নেই তাই সন্তু কোথায়, কাকাবাবু কোথায় জানা হবে না আর। আপনি নেই তাই সন্তু হারিয়ে গেছে।
আপনি নেই তাই হারিয়ে গেছে এক টুকরো চাঁদ।
সুত্রঃhttp://www.sachalayatan.com/shu77han/46567
সুনীলের কোন লেখাটা প্রথম পড়েছিলাম, সেটা আমার নিজেরও মনে নেই ঠিক। কেবল মনে আছে সে বইতে খোঁড়া একজন মানুষ- যার মনের জোর সাংঘাতিক- সেই রাজা রায় চৌধুরী নামের একটা মানুষ ছিলো। খুব সম্ভব ভূপাল রহস্য ছিলো প্রথম বইটার নাম। এরপর পড়লাম ভয়ংকর সুন্দর।
এবং এই বইটা পড়ে আমি কাকাবাবুর বিরাট ভক্ত হয়ে গেলাম। কালিকট বন্দরে এক শেকলে বাঁধা বন্দী ক্রমাগত চ্যাঁচিয়ে যাচ্ছে – সম্রাট কনিষ্কের মুণ্ডু হাতে করে আমার বন্ধু বসে আছে আমার জন্যে অপেক্ষা করে, আমায় যেতে দাও। ইতিহাসের ছোট্ট একটা মিথকে আশ্রয় করে সুনীল ভয়ংকর সুন্দর ভাবে আমার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এরপর সবুজ দ্বীপের রাজা আর বিজয়নগরের হীরে- রাজা রায় চৌধুরী, নরেন্দ্রভার্মার ভাষায় বলতে গেলে – আনডন্টেড।
ক্লাস সিক্স, শীতের ছুটি, গ্রামের নানুবাড়ি বিশাল বড়। আমি সেই ছুটিতে ক্রিকেট খেলে বেড়াচ্ছি গ্রামে থাকা অন্যান্য খালাতো ভাইদের সাথে। সেবারই জানলাম গ্রামের ক্রিকেট খুব ইন্টারেস্টিং জিনিস- পেপসির কেস ধরে বাজি খেলা হয়- টেপ টেনিস না শুধু টেনিস বল। বাড়িতে রাশভারি নানা ভাই আর আদর দিয়ে মাথায় তোলা নানু। আর ছিলো আইনপড়ুয়া খালামণি। সেই ক্রিকেট মহোৎসবের দিনগুলি কাটানোর সময় এক কুয়াশার ভোরে দেখি খালামণি বই পড়ছে। সেই সময়। সন্ধ্যায় কিছু করার না পেয়ে আমিও টেনে নিলাম সেটা। ইতিহাস অমন করেও লেখা যায় !
সুনীল গাঙ্গুলি জড়িয়ে আছেন অনেক কিছুর সাথে। স্কুলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বইপড়া কর্মসূচির মাঝেও প্রিয় বইয়ের একটা আবার যক্ষের ধন- আর অন্যটা ছিলো আঁধার রাতের অতিথি। বিশুঠাকুর চরিত্রটাকে দারুণ পছন্দ হয়ে গিয়েছিলো আমার।
সব সমীকরণ উলটে দিলেন আপনি সুনীল, ক্লাস এইটে। ছবির দেশেতে, কবিতার দেশেতে। মার্গারিট। কিছু বলার নেই, কিচ্ছুটি বলার খুঁজে পেলাম না বইটা পড়ে। কী স্বছ গদ্য, কী মনকাড়া বর্ণনা, কী অনায়াস সহজে বলা যায় নিজের গল্প। সেই প্রথম পড়া বইটাই এখনো আছে আমার বুকশেলফের ছট একটা জায়গা জুড়ে, আমি জানি এরচাইতে বহুগুণ জায়গা জুড়ে আছে সেটা প্রতিটি বইপড়ুয়ার মনেই।
কবিতার জন্যে অমরত্বকে আপনি তুচ্ছ করেছিলেন না সুনীল ?? কেউ কথা রাখেনি তাই- আপনিও অমর হয়ে গেলেন কবি। যে হাতে ছুঁয়েছিলেন সুনীল নীরার মুখ, সে হাতেই অনূদিত হয়েছিলো ব্যোঁদলেয়ারের আশ্চর্য মেঘদল। বিনয় বাদল দীনেশের মতন জল লাফিয়ে ওঠে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের বারান্দায় আর ‘লোরকা স্মরণে’ পড়তে গিয়ে বারবার আবিষ্কার করি বিস্ময়ে -কবিরা কখনো সত্যবাদী হয় না।
কোথায় যেন পড়েছিলাম সুনীল গাঙ্গুলি কবিতা ছাড়া আর কিছুই লিখতে চাননি কখনো। সাহিত্যের আরেকটা নির্মমতা হলো ইচ্ছার বিরুদ্ধেও কবিকে তাই লিখতে হয় অনেক কিছুই। ভাগ্যিস সুনীল লিখেছিলেন। বার্লিন প্রাচীরের ভাঙ্গা টুকরো হাতে নিয়ে তার সাথে আমরাও দেখি ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ, জাদুকর সত্যজিৎ এর হাত ধরে অরণ্যের দিনরাত্রি দেখি। আমি একা, আমাদের আরো কয়েকজন।
আনন্দমেলার পূজাবার্ষিকীর কাকাবাবুর জন্যে অপেক্ষা ফুরিয়েছে কয়েক বছর হলো। কবিতার ছায়া মাড়াই না, সেই সময় আর পূর্ব-পশ্চিম আবার পড়লাম বছরখানেক আগে। এই তো, সুনীলের সাথে আমার সম্পর্ক চায়ের আড্ডা বাদে এইটুকুই। তারপরেও আজ সকালে আপনার প্রয়াণে কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেলাম সুনীল। কারণটা কি বুঝতে পারি না।
ফাহিম ভাই দেখলাম ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলে দিয়েছেন কারণটা।
“we’ve crossed that point of life when you start losing your
childhood heroes, and sadly discover there aren’t enough new heroes any
more.”
… এটাই মনে হয় সবচেয়ে সত্য কথা। সুনীল চলে গেছেন, সাথে করে নিয়ে গেছেন
আমাদের স্মৃতির শহরের একটা বড় অংশ। সুনীল- তার নবীনকুমারের মতোই- আমাদের
সেই সময়ের প্রতীক। সেই সময়ের লোকগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। স্টিভ ওয়াহ অবসরে,
পাওলো মালদিনি আর লুইস ডি নাজারিও রোনালদো খবরের কাগজে নেই। মাসুদ রানা
ধুঁকতে ধুঁকতে দুনিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে পূর্ব আর পশ্চিমে- না ফেরার দেশে মতি
নন্দী, মাইকেল জ্যাকসন আর হুমায়ূন আহমেদ। আজ এই মিছিলে যোগ দিলেন সুনীল
গঙ্গোপাধ্যায়।আপনি নেই এই সত্য মেনে নিয়েও চোখ মুছে সেই সময়ের প্রতীক রুপে আপনাকে বিদায় জানাই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সবকিছু বদলে যাচ্ছে, দ্যা টাইমস দে আর আ চেঞ্জিং।
আপনি নেই তাই সন্তু কোথায়, কাকাবাবু কোথায় জানা হবে না আর। আপনি নেই তাই সন্তু হারিয়ে গেছে।
আপনি নেই তাই হারিয়ে গেছে এক টুকরো চাঁদ।
সুত্রঃhttp://www.sachalayatan.com/shu77han/46567
১৩ সেপ, ২০১২
অ্যাংরি বার্ডস-এর কথা
•
মজার এই গেইমটা কারা বানিয়েছে জানো? ফিনিশ, মানে ফিনল্যান্ডের গেইম ডেভেলপার কোম্পানি রোভিও এন্টারটেইনমেন্ট। ভাবছো, তা না হয় হলো, কিন্তু পাখিগুলোর ডানা-ই বা কই? আর ডানাছাড়া পাখির আইডিয়াটাই বা কোত্থেকে এলো? ডানাছাড়া এই পাখিগুলোর আইডিয়াটি আসে মূলত একটি স্কেচ থেকে। আর ডানাছাড়া পাখিদের এই গেইমটি এখন কী পরিমাণ জনপ্রিয় বলতে পারো? দাঁড়াও, বলছি। এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে গেইমটি কতোবার ডাউনলোড করা হয়েছে জানো? প্রায় ১০০ কোটি বার! গেইমটি তুমি তোমার ভাইয়া বা আপুর আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে খেলতে পারবে। আর আগেই তো বলেছি, চাইলে তোমাদের বাসার কম্পিউটারটিতেও খেলা যাবে মজার এই গেইমটি।
এবার গেইমের গল্প করা যাক, কী বলো? প্রথমেই এর চরিত্রগুলোর সাথে একটু পরিচিত হয়ে আসি, চলো। ডানাবিহীন এই পাখিগুলোকে কিন্তু আলাদা করে কোনো নাম দেয়া হয় নি। পাখিগুলো তাদের যার যার রঙ দিয়েই পরিচিত। এই ধরো, লাল রঙের পাখিটি হল রেড বার্ড, নীলটি ব্লু বার্ড, হলুদটি ইয়োলো বার্ড, সাদাটি হোয়াইট বার্ড আর কালোটি ব্ল্যাক বার্ড। আর সবুজ রঙের লম্বা ঠোঁট-ওয়ালা যে পাখিটি আছে, ও পরিচিত বুমেরাং বার্ড নামে। ওকে ছুঁড়ে মারা হলে যে ও বুমেরাংয়ের মতো ঘুরে আসতে পারে, তাই। আর আছে সবুজ রঙের সেই দুষ্ট শূকরের দল।
আচ্ছা তাহলে এবার গেমের কাহিনিতে আসা যাক। লাল পাখি, নীল পাখি আর তাদের বন্ধু পাখিদের দিনগুলো বেশ ভালই কেটে যাচ্ছিলো। রোজ তারা একসাথে তাদের ডিমগুলোতে তা দিতে বসতো আর চুটিয়ে গল্প করতো। কিন্তু জীবন কি আর নির্ঝঞ্ঝাটে কাটে, বলো? একদিন তাদের ডিমগুলোর উপর নজর পড়লো দুষ্ট শূকরদের। শূকরগুলো ষড়যন্ত্র আঁটতে শুরু করলো, কিভাবে পাখিদের ফাঁকি দিয়ে ওদের ডিমগুলো হাতিয়ে নেয়া যায়। সুযোগ বুঝে একদিন তারা ডিমগুলোকে চুরিও করে নিয়ে যায়। পাখিরা যখন বুঝতে পারলো, ওরা তো যাকে বলে রেগে কাঁই! তাই কী আর শুধু রাগ করলেই চলবে? ডিমগুলোকে উদ্ধার করতে হবে না? সেই সাথে দুষ্ট শূকরগুলোকেও আচ্ছা শাস্তি দিতে হবে। আর এখানেই গেইমটির শুরু- দুষ্ট শূকরগুলোকে মেরে-ধরে তাড়িয়ে দিয়ে পাখিদের ডিম উদ্ধার করতে হবে।
তবে গেইমটি যতোটা সহজ মনে হচ্ছে, ততোটা সহজ নয় মোটেই। প্রতিটি লেভেলে তোমাকে কয়েকটি পাখি দেয়া হবে। সেই কয়েকটি পাখি দিয়েই লেভেলের সবগুলো শূকরকে মারতে হবে। সবগুলোকে মারতে পারলে তবেই লেভেল শেষ হবে, আনলক হবে পরের লেভেল।
তবু গেইমটিকে বেশ সহজ মনে হচ্ছে? আচ্ছা, আগে এটাও শুনে নাও- শূকরগুলো কিন্তু তোমার হাতের নাগালেই থাকে না। বেশ দূরে থাকে। পাখিগুলোকে গুলতিতে বসিয়ে তাক করে ছুঁড়ে মারতে হয়। পাখিগুলোকে ছুঁড়ে শূকরগুলোর গায়ে লাগাতে পারলে, তবেই ওরা মরবে।
আর শূকরগুলোও কিন্তু কম দুষ্টু নয়; ওরাও এমনভাবে লুকিয়ে থাকে, ওদেরকে মারাও বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। লেভেলগুলোতে তো শুধু শূকরগুলোই থাকে না, কাঠ, বরফ, পাথর নয়তো কংক্রিটের তৈরি নানা ধরনের কাঠামোও থাকে। এই দুষ্টুরা কী করে জানো, প্রায়ই নানা কাঠামোর আড়ালে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। তখন ওদেরকে মারতে যে কী কষ্ট হয়!
তোমার কাছে থাকা পাখিগুলোকে দিয়ে যদি লেভেলের সবগুলো শূকরকে মেরে তাড়াতে পার, তবে তো পরের লেভেল আনলক হলো। পাশাপাশি যত বেশি কাঠামো ভেঙ্গে শেষ করতে পারবে, তার উপরেও পয়েন্ট পাবে। আর যদি পাখি বাঁচাতে পারো, মানে সবগুলো পাখিকে না ছুঁড়েই যদি সবগুলো শূকরকে মেরে ফেলতে পারো, তাহলে পাবে বোনাস পয়েন্ট। এই মোট পয়েন্টের ভিত্তিতে তুমি পাবে স্টার পয়েন্ট- এক স্টার, দুই স্টার বা তিন স্টার।
প্রথম লেভেলে অবশ্য তোমাকে শুধু লাল পাখিটিই দেয়া হবে। আস্তে আস্তে তুমি যতো নতুন লেভেল পার হবে, পাবে নতুন নতুন রঙের পাখি। এই পাখিগুলোর পার্থক্য কিন্তু শুধু রঙেই নয়; প্রতিটি পাখিরই রয়েছে বিশেষ বিশেষ ক্ষমতা। যেমন নীল রঙের পাখিটির কথাই ধরো, দেখতে কী নিরীহ ছোট্ট একটা পাখি। সুযোগমত গেম স্ক্রিনে টাচ করলে পাখিটি হয়ে যায় তিনটি পাখি! তিনটি পাখি একসাথে হামলে পড়ে শূকরদের উপর। আবার ঝোপ বুঝে স্ক্রিনে টাচ করলে হলুদ পাখিটির গতি এমন বেড়ে যায়, একেবারে সবকিছু ভেঙেচুরে হামলে পড়ে। আর শাদা পাখিটিকে বলতে পারো বোমারু পাখি; উড়ে যাবার সময় ও নিচে বোমা ফেলতে পারে। আর কালোটি? সে তো নিজেই একটা ভয়ংকর বোমা! বিস্ফোরিত হয়ে শুকরদের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। ওদিকে শূকররাও কিন্তু কম যায় না। নতুন নতুন লেভেলে আসে স্বাস্থ্যবান আর মোটাসোটা-গাট্টাগোট্টা নতুন নতুন শূকর। কেউ কেউ আবার মাথায় হেলমেটও পড়ে আসে; ওদের মেরে তাড়াতে পাখিগুলোর একটু বেগই পেতে হয়। সব মিলিয়ে দারুণ রোমাঞ্চকর এক পরিস্থিতি।
এখন পর্যন্ত অ্যাংরি বার্ডস গেইমসের বেশ কয়েকটি ভার্সন বের হয়েছে। প্রথমবারের সেই ক্লাসিক ভার্সনের পর বের হয়েছে আরো তিনটি ভার্সন- অ্যাংরি বার্ডস সিজন্স, অ্যাংরি বার্ডস রিও আর সর্বশেষ অ্যাংরি বার্ডস স্পেস। মাঝে একটি স্পেশাল ভার্সনও বের হয়েছিল; নাম ছিল অ্যাংরি বার্ডস ম্যাজিক। শুধু তাই না, ভার্সনগুলোর নতুন নতুন আপডেটে তুমি পাবে নতুন লেভেল আর নতুন নতুন পরিবেশ।
অ্যাংরি বার্ডসের সব গল্পই তো শোনা হয়ে গেল। তবে আর দেরি করে কাজ কি? এখনি আবার নেমে পড়ো দুষ্টু শূকরদের কাছ থেকে পাখিদের হারানো ডিম উদ্ধারে।
সুত্রঃhttp://kidz.bdnews24.com/mainStory.php
বিস্তারিত পড়ুন ... »
আচ্ছা, অ্যাংরি বার্ডস খেলোনি, এমন কেউ কি আছো, বলোতো? গেইমটি শুধু যে সবার
পছন্দের, তাই-ই না, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল গেইমগুলিরই
একটি এই অ্যাংরি বার্ডস। আর গেইমটি শুধু যে মোবাইলেই খেলা যায়, তা-ও নয়।
তুমি চাইলে তোমার পিসিতেও এই গেইমটি খেলতে পারো। কাকে কী বলছি! তুমি তো মনে
হয় রোজই গেইমটি খেলো, আর মায়ের কাছে বকুনি খাও, তাই না?

মজার এই গেইমটা কারা বানিয়েছে জানো? ফিনিশ, মানে ফিনল্যান্ডের গেইম ডেভেলপার কোম্পানি রোভিও এন্টারটেইনমেন্ট। ভাবছো, তা না হয় হলো, কিন্তু পাখিগুলোর ডানা-ই বা কই? আর ডানাছাড়া পাখির আইডিয়াটাই বা কোত্থেকে এলো? ডানাছাড়া এই পাখিগুলোর আইডিয়াটি আসে মূলত একটি স্কেচ থেকে। আর ডানাছাড়া পাখিদের এই গেইমটি এখন কী পরিমাণ জনপ্রিয় বলতে পারো? দাঁড়াও, বলছি। এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে গেইমটি কতোবার ডাউনলোড করা হয়েছে জানো? প্রায় ১০০ কোটি বার! গেইমটি তুমি তোমার ভাইয়া বা আপুর আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে খেলতে পারবে। আর আগেই তো বলেছি, চাইলে তোমাদের বাসার কম্পিউটারটিতেও খেলা যাবে মজার এই গেইমটি।

এবার গেইমের গল্প করা যাক, কী বলো? প্রথমেই এর চরিত্রগুলোর সাথে একটু পরিচিত হয়ে আসি, চলো। ডানাবিহীন এই পাখিগুলোকে কিন্তু আলাদা করে কোনো নাম দেয়া হয় নি। পাখিগুলো তাদের যার যার রঙ দিয়েই পরিচিত। এই ধরো, লাল রঙের পাখিটি হল রেড বার্ড, নীলটি ব্লু বার্ড, হলুদটি ইয়োলো বার্ড, সাদাটি হোয়াইট বার্ড আর কালোটি ব্ল্যাক বার্ড। আর সবুজ রঙের লম্বা ঠোঁট-ওয়ালা যে পাখিটি আছে, ও পরিচিত বুমেরাং বার্ড নামে। ওকে ছুঁড়ে মারা হলে যে ও বুমেরাংয়ের মতো ঘুরে আসতে পারে, তাই। আর আছে সবুজ রঙের সেই দুষ্ট শূকরের দল।

আচ্ছা তাহলে এবার গেমের কাহিনিতে আসা যাক। লাল পাখি, নীল পাখি আর তাদের বন্ধু পাখিদের দিনগুলো বেশ ভালই কেটে যাচ্ছিলো। রোজ তারা একসাথে তাদের ডিমগুলোতে তা দিতে বসতো আর চুটিয়ে গল্প করতো। কিন্তু জীবন কি আর নির্ঝঞ্ঝাটে কাটে, বলো? একদিন তাদের ডিমগুলোর উপর নজর পড়লো দুষ্ট শূকরদের। শূকরগুলো ষড়যন্ত্র আঁটতে শুরু করলো, কিভাবে পাখিদের ফাঁকি দিয়ে ওদের ডিমগুলো হাতিয়ে নেয়া যায়। সুযোগ বুঝে একদিন তারা ডিমগুলোকে চুরিও করে নিয়ে যায়। পাখিরা যখন বুঝতে পারলো, ওরা তো যাকে বলে রেগে কাঁই! তাই কী আর শুধু রাগ করলেই চলবে? ডিমগুলোকে উদ্ধার করতে হবে না? সেই সাথে দুষ্ট শূকরগুলোকেও আচ্ছা শাস্তি দিতে হবে। আর এখানেই গেইমটির শুরু- দুষ্ট শূকরগুলোকে মেরে-ধরে তাড়িয়ে দিয়ে পাখিদের ডিম উদ্ধার করতে হবে।

তবে গেইমটি যতোটা সহজ মনে হচ্ছে, ততোটা সহজ নয় মোটেই। প্রতিটি লেভেলে তোমাকে কয়েকটি পাখি দেয়া হবে। সেই কয়েকটি পাখি দিয়েই লেভেলের সবগুলো শূকরকে মারতে হবে। সবগুলোকে মারতে পারলে তবেই লেভেল শেষ হবে, আনলক হবে পরের লেভেল।

তবু গেইমটিকে বেশ সহজ মনে হচ্ছে? আচ্ছা, আগে এটাও শুনে নাও- শূকরগুলো কিন্তু তোমার হাতের নাগালেই থাকে না। বেশ দূরে থাকে। পাখিগুলোকে গুলতিতে বসিয়ে তাক করে ছুঁড়ে মারতে হয়। পাখিগুলোকে ছুঁড়ে শূকরগুলোর গায়ে লাগাতে পারলে, তবেই ওরা মরবে।

আর শূকরগুলোও কিন্তু কম দুষ্টু নয়; ওরাও এমনভাবে লুকিয়ে থাকে, ওদেরকে মারাও বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। লেভেলগুলোতে তো শুধু শূকরগুলোই থাকে না, কাঠ, বরফ, পাথর নয়তো কংক্রিটের তৈরি নানা ধরনের কাঠামোও থাকে। এই দুষ্টুরা কী করে জানো, প্রায়ই নানা কাঠামোর আড়ালে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। তখন ওদেরকে মারতে যে কী কষ্ট হয়!

তোমার কাছে থাকা পাখিগুলোকে দিয়ে যদি লেভেলের সবগুলো শূকরকে মেরে তাড়াতে পার, তবে তো পরের লেভেল আনলক হলো। পাশাপাশি যত বেশি কাঠামো ভেঙ্গে শেষ করতে পারবে, তার উপরেও পয়েন্ট পাবে। আর যদি পাখি বাঁচাতে পারো, মানে সবগুলো পাখিকে না ছুঁড়েই যদি সবগুলো শূকরকে মেরে ফেলতে পারো, তাহলে পাবে বোনাস পয়েন্ট। এই মোট পয়েন্টের ভিত্তিতে তুমি পাবে স্টার পয়েন্ট- এক স্টার, দুই স্টার বা তিন স্টার।

প্রথম লেভেলে অবশ্য তোমাকে শুধু লাল পাখিটিই দেয়া হবে। আস্তে আস্তে তুমি যতো নতুন লেভেল পার হবে, পাবে নতুন নতুন রঙের পাখি। এই পাখিগুলোর পার্থক্য কিন্তু শুধু রঙেই নয়; প্রতিটি পাখিরই রয়েছে বিশেষ বিশেষ ক্ষমতা। যেমন নীল রঙের পাখিটির কথাই ধরো, দেখতে কী নিরীহ ছোট্ট একটা পাখি। সুযোগমত গেম স্ক্রিনে টাচ করলে পাখিটি হয়ে যায় তিনটি পাখি! তিনটি পাখি একসাথে হামলে পড়ে শূকরদের উপর। আবার ঝোপ বুঝে স্ক্রিনে টাচ করলে হলুদ পাখিটির গতি এমন বেড়ে যায়, একেবারে সবকিছু ভেঙেচুরে হামলে পড়ে। আর শাদা পাখিটিকে বলতে পারো বোমারু পাখি; উড়ে যাবার সময় ও নিচে বোমা ফেলতে পারে। আর কালোটি? সে তো নিজেই একটা ভয়ংকর বোমা! বিস্ফোরিত হয়ে শুকরদের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। ওদিকে শূকররাও কিন্তু কম যায় না। নতুন নতুন লেভেলে আসে স্বাস্থ্যবান আর মোটাসোটা-গাট্টাগোট্টা নতুন নতুন শূকর। কেউ কেউ আবার মাথায় হেলমেটও পড়ে আসে; ওদের মেরে তাড়াতে পাখিগুলোর একটু বেগই পেতে হয়। সব মিলিয়ে দারুণ রোমাঞ্চকর এক পরিস্থিতি।
এখন পর্যন্ত অ্যাংরি বার্ডস গেইমসের বেশ কয়েকটি ভার্সন বের হয়েছে। প্রথমবারের সেই ক্লাসিক ভার্সনের পর বের হয়েছে আরো তিনটি ভার্সন- অ্যাংরি বার্ডস সিজন্স, অ্যাংরি বার্ডস রিও আর সর্বশেষ অ্যাংরি বার্ডস স্পেস। মাঝে একটি স্পেশাল ভার্সনও বের হয়েছিল; নাম ছিল অ্যাংরি বার্ডস ম্যাজিক। শুধু তাই না, ভার্সনগুলোর নতুন নতুন আপডেটে তুমি পাবে নতুন লেভেল আর নতুন নতুন পরিবেশ।
অ্যাংরি বার্ডসের সব গল্পই তো শোনা হয়ে গেল। তবে আর দেরি করে কাজ কি? এখনি আবার নেমে পড়ো দুষ্টু শূকরদের কাছ থেকে পাখিদের হারানো ডিম উদ্ধারে।
সুত্রঃhttp://kidz.bdnews24.com/mainStory.php
২৭ জুন, ২০১২
আমার সংগ্রহে থাকা কিছু দুর্লভ ছবির কালেকশন …. ইতিহাস কথা বলে
•
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান এবং জয়নুল আবেদিন , ঢাকা (১৯৫৫)

১৯৪৩ এর মনন্তর

বঙ্গবন্ধু এভিনিউ (তৎকালীন জিন্নাহ এভিনিউ ) , ১৯৬৯

রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে হত্যাযজ্ঞ (১৯৭১)

মুচির দল (১৮৬০)

৬৯ এর গন অভ্যুথান (১৯৬৯)

ব্রিটিশ অভিজাত পরিবারের রাজকীয় মিলনমেলা , রেসকোর্স (১৮৯০)

আদমজী জুট মিল (১৯৫৪)

ভারত অভিমুখে বাংলাদেশী শরনারথী, কুমিল্লা (১৯৭১)

ইন্দিরা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু , ঢাকা (১৯৭২)

বাংলাদেশের একটি গ্রাম (১৮৬০)

১৯৪৭ এর দেশভাগ

ঢাকায় ব্রিটিশ সৈন্য (১৯৩৩)

প্রমত্তা বুড়িগঙ্গা (১৮৮০)

চক বাজার মোড় , ১৯০৪

বঙ্গ বন্ধুর ছয় দফা ঘোষণা (১৯৬৬)

ঢাকা কলেজ (১৮৭২)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পরিচালনা কমিটি (১৯২১)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি (১৯৫৫)

ঢাকেশ্বরী মন্দির (১৯০৪)

ড . মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এবং কাজী মোতাহের হোসেন , ঢাকা (১৯৫৪)

ঈদ উৎসব , ঢাকা (১৯৫৪)

২৫ মার্চ কালরাত্রির ক্ষতচিহ্ন , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭২)

এফ ডি সি তে অভিনেতা নাদিম (১৯৬৭)

মুয়াম্মার গাদ্দাফি এবং বঙ্গবন্ধু (১৯৭৩)

নোয়াখালীতে মহাত্মা গান্ধী (১৯৪৬)

ঢাকায় আইয়ুব খান এবং সোহরাওয়ারদি (১৯৫৮)

বাড়িতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক , ঢাকা (১৯৫৪)

গুলিস্তান সিনেমা হল (১৯৫৪)

আড্ডায় মশগুল একদল কাবুলিওয়ালা , ঢাকা (১৯৫৪)

কুমার রামেন্দ্র নারায়ন (যিনি ভাওয়াল রাজা সন্ন্যাসী নামে অধিক পরিচিত) , ঢাকা (১৯০০)

লর্ড কার্জন এবং পাশে লেডী কার্জন , শাহবাগ (১৯০৪)

লালবাগ কেল্লা (১৯০৪)

মনন্তর (১৯৪৩)

মনন্তর (১৯৪৩)

নর্থব্রুক হল (১৯০৪)

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন (১৯৮৭)

ইয়াসির আরাফাত , বঙ্গবন্ধু এবং মুয়াম্মার গাদ্দাফি

শহিদুল্লাহ হল , ঢাবি (১৯০৮)

নারায়নগঞ্জ বন্দর (১৯৬২)

সোহরাওয়ারদী উদ্যান (পরে হানাদার বাহিনি মন্দির টি ভেঙ্গে ফেলে) (১৯৭১)

টঙ্গি ব্রিজ (১৮৮৫)

ঢাকার একটি রাস্তা (১৮৭২)

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঢাকায় আমেরিকান সৈন্য (১৯৪৫)

নারিন্দা (১৮৭৫)
সূত্রঃhttp://www.somewhereinblog.net/blog/hmahmud777/29624583
বিস্তারিত পড়ুন ... »

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান এবং জয়নুল আবেদিন , ঢাকা (১৯৫৫)

১৯৪৩ এর মনন্তর

বঙ্গবন্ধু এভিনিউ (তৎকালীন জিন্নাহ এভিনিউ ) , ১৯৬৯

রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে হত্যাযজ্ঞ (১৯৭১)

মুচির দল (১৮৬০)

৬৯ এর গন অভ্যুথান (১৯৬৯)

ব্রিটিশ অভিজাত পরিবারের রাজকীয় মিলনমেলা , রেসকোর্স (১৮৯০)

আদমজী জুট মিল (১৯৫৪)

ভারত অভিমুখে বাংলাদেশী শরনারথী, কুমিল্লা (১৯৭১)

ইন্দিরা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু , ঢাকা (১৯৭২)

বাংলাদেশের একটি গ্রাম (১৮৬০)

১৯৪৭ এর দেশভাগ

ঢাকায় ব্রিটিশ সৈন্য (১৯৩৩)

প্রমত্তা বুড়িগঙ্গা (১৮৮০)

চক বাজার মোড় , ১৯০৪

বঙ্গ বন্ধুর ছয় দফা ঘোষণা (১৯৬৬)

ঢাকা কলেজ (১৮৭২)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পরিচালনা কমিটি (১৯২১)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি (১৯৫৫)

ঢাকেশ্বরী মন্দির (১৯০৪)

ড . মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এবং কাজী মোতাহের হোসেন , ঢাকা (১৯৫৪)

ঈদ উৎসব , ঢাকা (১৯৫৪)

২৫ মার্চ কালরাত্রির ক্ষতচিহ্ন , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭২)

এফ ডি সি তে অভিনেতা নাদিম (১৯৬৭)

মুয়াম্মার গাদ্দাফি এবং বঙ্গবন্ধু (১৯৭৩)

নোয়াখালীতে মহাত্মা গান্ধী (১৯৪৬)

ঢাকায় আইয়ুব খান এবং সোহরাওয়ারদি (১৯৫৮)

বাড়িতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক , ঢাকা (১৯৫৪)

গুলিস্তান সিনেমা হল (১৯৫৪)

আড্ডায় মশগুল একদল কাবুলিওয়ালা , ঢাকা (১৯৫৪)

কুমার রামেন্দ্র নারায়ন (যিনি ভাওয়াল রাজা সন্ন্যাসী নামে অধিক পরিচিত) , ঢাকা (১৯০০)

লর্ড কার্জন এবং পাশে লেডী কার্জন , শাহবাগ (১৯০৪)

লালবাগ কেল্লা (১৯০৪)

মনন্তর (১৯৪৩)

মনন্তর (১৯৪৩)

নর্থব্রুক হল (১৯০৪)

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন (১৯৮৭)

ইয়াসির আরাফাত , বঙ্গবন্ধু এবং মুয়াম্মার গাদ্দাফি

শহিদুল্লাহ হল , ঢাবি (১৯০৮)

নারায়নগঞ্জ বন্দর (১৯৬২)

সোহরাওয়ারদী উদ্যান (পরে হানাদার বাহিনি মন্দির টি ভেঙ্গে ফেলে) (১৯৭১)

টঙ্গি ব্রিজ (১৮৮৫)

ঢাকার একটি রাস্তা (১৮৭২)

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঢাকায় আমেরিকান সৈন্য (১৯৪৫)

নারিন্দা (১৮৭৫)
সূত্রঃhttp://www.somewhereinblog.net/blog/hmahmud777/29624583
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)