১৩ ডিসে, ২০১০

চট্টগ্রামে লঙ্কাকান্ড

এটা কি হয়ে গেল আজ চট্টগ্রামে! একটা স্বাধীন দেশে শ্রমীকেরা তাদের ন্যায্য দাবী আদায় করতে গিয়ে মারা পরবে এটা কেমন কথা। বেশ কয়েক দিন থেকেই আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম যে গামে'ন্টসের শ্রমীকদের মজুরী বারানো হবে এবং তা নভেম্বর থেকে কায'কর হবে। ভাল কথা। কিন্তু শ্রমিকেরা মজুরী নিতে গিয়ে দেখতে পায় যে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এবং আমি মনে করি এ ব্যাপারে নিচ্ছই শ্রমীকরা তাদের উধ'তন কতি'পক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাদের সেই অভিযোগ যাদের যথাযত কতি'পক্ষের কাছে পৌছে দেবার কথা তারা তাদের দায়ীত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি। না হলে এমন অবস্থার উদ্ভব হবার কথা নয়। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম ইপিজেড এর সবচেয়ে  বড়ো বিনীয়োগকারি প্রতিষ্ঠান ইয়োংওয়াং গ্রূপের ১৬টি ফেক্ট্রীতে একযোগে শ্রমিক অশোন্তোষ শুরু হয়। যার পরীপ্রেক্ষিতে কতৃ'পক্ষ বিকাল ৫টায় কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। সেই রাতেই যদি সরকার ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখতো তবে উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার কোন সুযোগ ছিলনা। ঘটনায় প্রকাশ- আজ সকাল ৮টায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে কারখানায় গেলে সেখানে কারখানা বন্ধের নটিশ দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা খুব্ধ হয়ে উঠে এবং ইপিজেড এর সামনের চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে এবং সেখানে কিছু ভাংচুর আর অগ্নীসংযোগের ঘটোনা ঘটে।কিন্তু পুলিশসহ আইনশৃংখলারক্ষাকারি বাহীনি সেখানে পৌছায় দুপুর১.৩০এ। কিন্তু ততক্ষনে পরিস্থীতি জটীল আকার ধারণ করে।পরিস্থীতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ প্রায় সাড়ে ৫০০ রাউন্ড গুলিবষ'ণ করে এবং প্রায় ৯০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থীতি নিয়ন্ত্রনে আনে।পুলিশের সাথে সংঘষে'র ঘটনায় ঘটনাস্থলেই এক রিকশা চালক সহ তিনজন মারা যায় এবং পুলিশ সহ প্রায় ১০০ জন আহত হয়।এখানে সরকার তার ব্যথ'তা এড়াতে পারেনা। সরকারের ব্যথ'তার দরুণ অকালে কতোগুলো প্রাণ গেল। একটু ভেবে দেখুন যে আজকে মারা গেল সে হয়তো তার পরিবারের একমাত্র উপায'নক্ষম ব্যক্তি ছিলো। তার পরিবারের কথা একবার চিন্তা করে দেখুন। সরকার তথা দেশ কি এই অসহায় পরিবারগুলোর দায়ীত্ব নিবে কখনো। হয়তো সাময়ীকভাবে কয়েকদিন আমরা এই নিয়ে হইচই করবো। তারপর আবার সবাই ভুলে যাবো। হয়তো কতৃ'পক্ষ প্রত্যেক মৃত্যুর বিপরীতে ৫০,০০০ অথবা ১,০০,০০০ টাকা করে ক্ষতিপুরণ দিবে। কিন্তু তা কি কখনো একটা প্রাণের বিনিময় হতে পারে? যার যায় সেই বুঝে..................।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

bdnews24.com - Home

ইরান বাংলা নিউজ

বিবিসি বাংলা

দৈনিক সংগ্রাম