১৮ অক্টো, ২০১১

কেমন করে এলঃ- অংক

অংক

প্রতিদিনের কাজেই আমাদের ‘অংক’ কাজে লাগাতে হয়। ক্লাসের অংক করা ছাড়াও বড়ো বড়ো হিসাব মিলাতেও অংকের প্রয়োজন। অংক করতে তোমাদের অনেকেরই হয়তো ভালো লাগেনা। কিন্তু ভালো না লাগলেও অংক করা থেকে মাফ পওয়া যায়না! এই যে অংক এখন আমাদের প্রতিদিনের অংশ, এই অংকটা এলো কিভাবে জানো?

পাটিগণিতকে ইংরেজিতে বলা হয় arithmetic। শব্দটা এসেছে গ্রীক আরিথমস (arithms) থেকে; যার মানে ‘সংখ্যা’। আবার সংখ্যা শব্দের ইংরেজী হলো নাম্বার (number), যার উৎস খুঁজলে জানা যাবে, গণনা করা থেকে এসেছে এ শব্দটা। আর জানোই তো, অংকশাস্ত্রের কারবারই হলো সংখ্যা দিয়ে।
তাহলে প্রশ্ন হলো মানুষ গুণতে শিখলো কেমন করে? আর গোনার পর আঁক কেটে তার হিসাব রাখার নিয়মই বা বের করলো কিভাবে?

মিশর ও ব্যাবিলনিয়ার নিয়ম ছিলো এক, দুই, তিন করে খাড়া দাগ কেটে চার পর্যন্ত গোনা আর পাঁচ সংখ্যা বোঝানোর জন্য একটা আড়াআড়ি দাগ। যেটাকে আমরা ‘টালি’ করা বলি। প্রাচীন গ্রীস ব্যবহার করতো তার শব্দমালার রূপগুলোকেই- আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা (a,B,y,s) । বীজগণিত বা এ্যালজেব্রা কষতে গিয়ে এগুলি এখনও ব্যবহার করা হয়। রোম সাম্রাজ্য গ্রীক সভ্যতার প্রায় সব কিছুই গ্রহণ করলেও সংখ্যার দিক থেকে মোটামুটি মিশর আর ব্যাবিলনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটা নিয়ম বার করে নিলো। তোমরা তো জানোই যে রোমান ফিগার লেখা হয় আই, ভি, এক্স, সি, ডি আর এম দিয়ে (I,V,X,C,D,M)। এখনো পূরণবাচক (ordinal) সংখ্যা যেমন, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি ইউরোপীয় যে কোনো ভাষায় লেখার সময় এই চিহ্নগুলো ব্যবহার করা হয়।

এতো এতো অংকের ভীড়েও কিন্তু সবচাইতে দরকারী হয়ে দাঁড়ালো এ্যারাবিক নিউমারাল (Arabic numeral)। এর বিশেষত্ব হলো এক থেকে নয় পর্যন্ত আলাদা আলাদা চিহ্ন আর সব শেষে শূন্য।
এর নাম এ্যারাবিক নিউমারাল বা আরবদেশীয় সংখ্যা। আরবদেশীয় সংখ্যা হলেও এর উৎপত্তি কিন্তু ভারতে। আরবদেশের সঙ্গে ভারতের বণিজ্যিক লেনদেনের ফলে ভারত থেকে এই সংখ্যাতত্ত্ব সেখানে পৌঁছেছিলো আর তারপর আরবের সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোর যোগাযোগের মাধ্যমে তা পৌঁছায় ইউরোপে, আর ইউরোপে সেসময় রেঁনেসা বা ‘নবজাগরণ’ (renaissance) দেখা দিয়েছে। ফলে তারা খুব সহজেই এই অংককে লুফে নিয়েছিলো।  ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে তখন ইতালীই পুরোধা আর পন্ডিতদের একমাত্র স্বীকৃত ভাষা ল্যাতিন। মজার ব্যাপার হলো ইউরোপের প্রথম অংকের বই ইতালী থেকেই প্রকাশিত হয়। সেটা ছিলো ১৪৭৮ খৃষ্টাব্দের কথা।


  সৌজন্যেঃ kidz.bdnews24.com

বিস্তারিত পড়ুন ... »

কেমন করে এলঃ-থ্রি ব্লাইন্ড মাইস


থ্রি ব্লাইন্ড মাইস

তিনটা ইদুঁরের কাহিনী শুনে মনে হচ্ছে মজার কোন ব্যাপার বুঝি। ভাবছো তিনটা ইঁদুরের দৌড়াদৌড়ি দেখে এ ধরনের একটা রাইম মনে পড়েছে লেখকের। আসলে কিন্তু মোটেও তা নয়। এর পিছনে অন্যরকম একটা ঘটনা আছে।

ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরীর মেয়ের নাম ছিল মেরি। তিনি পরে ইংল্যান্ডের রাণী হন। মেরি ছিলেন একজন ধর্মান্ধ ক্যাথলিক। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, খ্রিষ্টান ধর্মের অনেকগুলো ভাগ রয়েছে। তার মধ্যে ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্ট উল্লেখযোগ্য। এই দুই সম্প্রদায় পরষ্পরকে খুব একটা ভালো চোখে দেখে না। রাণী প্রথম মেরি ক্যাথলিক হওয়ায় তিনিও প্রটেস্ট্যান্টদের মোটেও ভালো চোখে দেখতেন না। চরম অত্যাচার করতেন তিনি এই সম্প্রদায়ের উপর। এ কারণে তার বিরোধীরা তাকে আড়ালে ডাকতেন ‘ব্লাডি মেরি’ বলে।

রাইমটিতে রানী প্রথম মেরীকে কৃষকের স্ত্রী বলা হয়েছে। আর তিনটি অন্ধ ইঁদুর বলতে বোঝানো হয়েছে সে সময়ের তিন যাজককে। এই তিন বিদ্বান ব্যক্তি ছিলেন প্রটেস্ট্যান্ট যাজক। বিদ্বান এই তিন ব্যক্তি রাণীর অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই রাণী তাদের কঠোর শাস্তি দেন।

ছড়ায় যেমনটি অন্ধ ইঁদুরের কথা বলা হয়েছে তাতে মনে হতে পারে তাদেরও হয়তো অন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে ঠিক অন্ধ করে দেওয়া হয়নি। বরং তাদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়।

পুরো ছড়াটি রাণীর দৃষ্টি থেকে দেখা হয়েছে। আর তাতে সেই তিন বিদ্বান ব্যক্তিকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে।


Three blind mice

Three blind mice. Three blind mice.
See how they run. See how they run.
They all ran after the farmer's wife
She cut off their tails with a carving knife.
Did you ever see such a sight in your life
As three blind mice?



তবে মুল ছড়াটি টমাস রাভেনসক্রোফট লিখেছিলেন ১৬০৯ সালে। পরে সে ছড়া পরবর্তন করা হয়। প্রথম ছড়াটিও তোমাদের জন্য নিচে দেওয়া হল।

Three Blinde Mice,
three Blinde Mice,
Dame Iulian,
Dame Iulian,
The Miller and his merry olde Wife,
shee scrapte her tripe licke thou the knife.

 

  সৌজন্যেঃ kidz.bdnews24.com

বিস্তারিত পড়ুন ... »

কেমন করে এল



টুইংকল টুইংকল লিটল স্টার

সারা বিশ্ব জুড়েই ‘টুইংকল টুইংকল লিটল স্টার’ একটি জনপ্রিয় ছড়া। সবে কথা বলতে শুরু করেছে এমন বাচ্চাদের মুখেও শোনা যায় এই ছড়াটি। ছোটদের কল্পনার জগতকে আরও রঙিন করে দিতে ছড়াটির জুড়ি নেই। তোমাদের সবার ছড়াটি আদ্যোপ্রান্ত মুখস্থ থাকলেও অনেকেই হয়ত জান না ছড়াটি কে লিখেছে।

ইংরেজি ছড়াটির জন্মভুমি হচ্ছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের অ্যান টেইলর এবং তার বোন জেন টেইলর দুজন মিলে এই ছড়াটি লেখেন। ১৮০৬ সালে ছড়াটি প্রথম প্রকাশিত হয়।

তবে ইংরেজি ছড়াটি প্রকাশিত হবার পর পরই এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তাই পরবর্তীতে এই ছড়াটির অনুকরণে আরও অনেক ছড়া লেখেন অন্য ছড়াকাররা। মুল ছড়াটিতে ২০ লাইনের মোট পাঁচটি পংক্তি থাকলেও প্রথম চার লাইনই সবার কাছে বেশি পরিচিত এবং পঠিত। মুল ইংরেজি ছড়াটির শিরোনাম ছিল ‘দি স্টার’। পুরো ছড়াটি তোমাদের জন্য দেওয়া হল।
 
 
The Star
 
Twinkle, twinkle, little star,
How I wonder what you are!
Up above the world so high,
Like a diamond in the sky!
 
When the blazing sun is gone,
When he nothing shines upon,
Then you show your little light,
Twinkle, twinkle, all the night.
 
Then the traveler in the dark,
Thanks you for your tiny spark,
He could not see which way to go,
If you did not twinkle so.
 
In the dark blue sky you keep,
And often through my curtains peep,
For you never shut your eye,
Till the sun is in the sky.
 
As your bright and tiny spark,
Lights the traveller in the dark,—
Though I know not what you are,
Twinkle, twinkle, little star. 



ব্যা বা ব্ল্যাক শিপ

 

 

হামটি ডামটি স্যাট অন এ ওয়াল

 

হামটি ডামটি ছড়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইংরেজদের এক গৃহযুদ্ধের কাহিনী। ওই যুদ্ধে ব্যবহৃত একটি কামানের নাম ছিল হামটি ডামটি। সেই হামটি ডামটি ছিল বিশাল আকারের। যুদ্ধ চলাকালে কোলচেস্টার দখলের সময় এই কামানটি কাজে লাগানো হয়। ইংরেজদের ওই গৃহযুদ্ধটা শুরু হয় ১৬৪২ সালে, পার্লামেন্টারিয়ান ও রয়ালিস্টদের, মানে যারা সংসদীয় পদ্ধতি চায় আর যারা রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে চায় তাদের মধ্যে। যুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই প্রথম চার্লস ছিলেন রাজতন্ত্রীদের পক্ষে। যুদ্ধের সময় একেক এলাকায় একেক দল প্রভাব বিস্তার করে রাখে। কোলচেস্টারে পার্লামেন্টারিয়ানেদের প্রভাব বেশি থাকলেও রাজতন্ত্রীরা এটি দখল করে ফেলে ১৬৪৮ সালে। দখল করার পরপরই দেয়ালঘেরা এক সুরক্ষিত দূর্গে পরিণত করে ফেলে একে। ওই দেয়ালের লাগোয়া ছিল সেন্ট মেরির চার্চ। রাজতন্ত্রীরা বুদ্ধি করে ওই চার্চ সংলগ্ন দেয়ালের উপর হামটি ডামটি কামানটাকে বসায়। অনেক বড়সর ছিল কামানটি। ফলে বসাতে অনেক কসরৎ করতে হয়েছে। কিন্তু একদিন পার্লামেন্টারিয়ানেদের এক গোলার আঘাতে দেয়ালটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। হামটি ডামটিও সেখান থেকে গড়িয়ে পরে যায় মাটিতে। রাজার পদাতিক আর ঘোড়সওয়ার বাহিনীর লোকজন (অল দি কিংস হর্সেস অ্যান্ড অল দি কিংস মেন) কামানটি আবার জোড়া লাগিয়ে দেয়ালের অন্যদিকে তোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কামানটি এতো ভারি ছিল যে তাদের মিলিত চেষ্টাতেও তা সম্ভব হয় নি। রাজতন্ত্রীরা এই যুদ্ধে হেরে যায়। অস্ত্র নামিয়ে রেখে দূর্গের দরোজা খুলে বেরিয়ে আসে তারা, আত্মসমর্পণ করে পার্লামেন্টারিয়ানেদের কাছে। কোলচেস্টার ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা শহর। এটি হাতছাড়া হওয়ায় রয়ালিস্টদের পতন তরান্বিত হয়। যুদ্ধ শেষ হয় ১৬৪৯ সালে।



  সৌজন্যেঃ kidz.bdnews24.com

বিস্তারিত পড়ুন ... »

bdnews24.com - Home

ইরান বাংলা নিউজ

বিবিসি বাংলা

দৈনিক সংগ্রাম