১৪ জুল, ২০১৩

ঝাড়ফুক, পানিপড়া আর বেশী বেশী নেকি পাইয়ে দেবার জন্য কি কোরআনুল কারীম এসেছিল?

কোরআনুল কারীম এসেছিল মানুষকে তার জীবনের সর্ববিষয়ে পথ দেখাবার জন্য। না বুঝে চাইনিজ ভাষার মতো বিড়বিড় করার জন্য এটি আসেনি। এইভাবে বিড়বিড় করা কোরানের জন্য বিরাট অপমান। এটি সরাসরি আল্লাহর মুখের বানী। মানুষের জন্য একটা সুস্পষ্ট নির্দেশ।
মানুষকে কোরআনের সঠিক জ্ঞান থেকে দূরে রাখবার জন্য মোল্লারা এমন সব হাদীসের উদ্ভব করেছে যা মানুষের জীবনে আসলে কোনো উপকারেই আসে না। কোরআনকে ওরা অস্পৃশ্য বানিয়ে রেখেছে। গল্পের বইটা আমরা বুকের উপর রেখে ঘুমাই কিন্তু কোরানটাকে তালাবদ্ধ করে রাখি আলমিরায়। দুনিয়ার কোনো বই পড়তে অজু লাগে না কিন্তু দুনিয়ার প্রতিটি মুহুর্তের গাইডেন্স হিসেবে যে বইটি সর্বদা আমাদের হাতে থাকা দরকার সেইটি পড়তে নাকি অজু লাগে! আমাদের মোল্লারা পারে ও বাবা! এই দেশে অন্য ধর্মের মতো ইসলামকেও মোল্লারা বিকৃত করে ফেলেছে। তোমরা শিক্ষিত সমাজ ওদের ফাঁদে পা দিও না। কোরানে আল্লাহ তা'লা আমাদের জন্য একমাত্র কি পথটি দেখিয়েছেন জানার চেষ্টা করো। জীবনের সকল বিষয় এর মধ্যে আছে। আমাদের সকল জিজ্ঞাসার জবাব এর মাঝে আছে।
কোরআন অধ্যয়নের সময় খেয়াল রাখতে হবে যে এটি কোনো রচনা বা প্রবন্ধ নয়। এটি নাজিল হয়েছে ভাষন বা বক্তৃতা আকারে। বক্তৃতায় যেমন গল্প আসে, উদ্ধৃতি আসে, জীবনকাহিনী আসে, আদেশ-নিষেধ-উপদেশ, বিজ্ঞান, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, পরিবার, ব্যক্তি ইত্যাদি সবকিছু থাকে কোরআনুল কারীমও ঠিক তেমনই। তাই প্রতিটি রুকু পড়ার আগে বিষয়বস্তু, নাজিল হবার প্রেক্ষাপট বুঝে পড়লে বুঝতে সহজ হয়।
বিস্তারিত পড়ুন ... »

bdnews24.com - Home

ইরান বাংলা নিউজ

বিবিসি বাংলা

দৈনিক সংগ্রাম