২৯ ডিসে, ২০১১

অভ্র ব্যবহার করে যে কোন ছবিতে ঝকঝকে বাংলা লেখুন (সাদা কোন ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যাতীতই)!!



আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

কম্পিউটারকে নির্দেশ প্রদানের জন্য ব্যবহৃত বাইনারি কোড প্রধানত তিন প্রকার, ASCII, EBCDIC, UNICODE. এগুলোর মধ্যে ইউনিকোড সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক, যার বিশেষত্ব হচ্ছে এটি ১৬ বিটের এবং সমর্থন করে বিভিন্ন ভাষা, অক্ষর আর সিম্বল।
অভ্র হচ্ছে এমনই ইউনিকোড ভিত্তিক একটি টাইপিং সফটওয়্যার, এর মাধ্যামে বাংলা টাইপিঙের জন্য প্রদত্ত ফোনেটিক অপশনটির কোন জবাব নেই, লা জবাব যাকে বলে এক কথায়। কম্পিউটারে, বিশেষ করে ইন্টারনেটে বাংলা লেখা প্রচলনের যে বিপ্লব প্রত্যক্ষ করছি, তা এই অভ্রের কারনে বললেও ভুল হবেনা। তবে ছবিতে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে অভ্র প্রায় শতভাগ ব্যর্থ! দোষটা অভ্রের নয় যদিও, ছবি এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর। মাইক্রোসফট উইন্ডোজের বিল্ট ইন পেইন্টিং বাদে বেশিরভাগ ছবি এডিংটিং সফটওয়্যার গুলো, অন্তত আমি আজ পর্যন্ত যতগুলো দেখেছি, সেগুলোর কোনটিই ইউনিকোড ভিত্তিক টাইপিং সমর্থন করেনা, সেই পুরোন অ্যাসকি নিয়েই পরে আছে।

এখন ভেবে দেখুন ব্যাপারটা, আপনার টাইপিং সফটওয়্যার ইউনিকোড ভিত্তিক, পক্ষান্তরে ছবি এডিটিং সফটওয়্যার গুলো অ্যাসকি ভিত্তিক, এই দুয়ের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে অভ্র দিয়ে ছবি এডিটিং সফটওয়্যারের সাহায্যে কোন ছবিতে বাংলা লিখবেন কীভাবে? বেশ চিন্তার বিষয় বলেই তো মনে হচ্ছে!

তবে দুটো কথা বলে নিচ্ছি। মাইক্রোসফট উইন্ডোজের বিল্ট ইন পেইন্টার দিয়ে অভ্রর সাহায্যে বাংলা লেখার কথা বলছিনা আমি এখানে, বলা উচিতও না। কারন এভাবে বাংলা লিখতে গেলে সাদা রঙের আয়তকার ব্যাকগ্রাউন্ড পরে যায় ছবির উপর, ভয়াবহ রকমের বিশ্রী লাগে যা দেখতে। আর দ্বিতীয় কথা, আমি অ্যাডোবি ফটোশপ সিএস ফাইভ ব্যবহার করি। এটি দিয়েও অভ্রর সাহায্যে বাংলা লিখা যায়, তবে অক্ষরগুলো আগপিছু হয়ে যায়, এই আরকি! আমার নিজের নাম শত চেষ্টা করেও তারেক লিখতে পারলাম না, তারকে হয়ে যায় বারবার।

কথা আর না বাড়িয়ে চলুন শুরু করে দেই কাজ। কাজের জন্য লাগবে:
১. মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড।
২. PDF Maker.
৩. অ্যাডোবি ফটোশপ কিংবা যে কোন PDF to Image converter.

প্রথম ধাপঃ
মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড ওপেন করুন। যেই ছবিটির ওপর লিখতে চান সেটি কপি করে এখানে পেস্ট করে দিন। ছবিটিকে চারপাশ থেকে টেনে গোটা মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ডের সাদা পেইজটিকে ঢেকে দিন। কি, পারছেন না তো? ডানে টানলে বামে কমে যায়, উপরে টানলে নিচে, তাই কি? এভাবে নয়। ছবিটির ওপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে “Text Wrapping” অপশন থেকে “Behind Text” নির্বাচন করুন



এবার ছবিটিকে টেনে বড় করুন, হয়ে যাবে।



ছবির যে কোন জায়গায় বাংলা লিখতে Tab, Spacebar, Enter এই তিনটি কী’র সদ্ব্যবহার করুন। আপনি ফন্টের কালার-সাইয পরিবর্তন, বোল্ড, ইটালিক করন সহ মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সাধারন ফরম্যাটিং অপশনের সমস্ত সুবিধাই পাচ্ছেন এখানে। Ctrl+D চেপে ফরম্যাট অপশনে প্রবেশ করুন।

কাজ শেষ হলে ডকুমেন্টটিকে Save করুন। Save করা হয়ে গেলে ডকুমেন্টটিকে Close না করে মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ডের কোন Built-in PDF Extension এর সাহায্যে সরাসরি সেটিকে PDF ফরম্যাটে পাবলিশ করে ফেলুন। একথা বলছি কারন, ধরুন আপনার কম্পিউটারের অভ্রতে Default বাংলা ফন্ট হিসেবে আছে Siyam Rupali, আপনি Ekushey Puja ফন্ট ব্যবহার করে ছবিতে বাংলা লিখলেন। কিন্তু ডকুমেন্টটিকে Save করার পর Close করে নতুন করে Open করা মাত্রই ছবিতে লিখা আপানার বাংলা ফন্ট স্বয়ংক্রিয় ভাবে Siyam Rupali হয়ে যাবে। ছবিতে কাজ শেষ হয়ে গেলে আপনি ডকুমেন্টটিকে মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড থেকে সরাসরি PDF ফরম্যাটে পাবলিশ করলে এই সমস্যায় পরবেন না। তবে আপানি যদি ছবিতে Default ফন্ট ছাড়া অন্য কোন ফন্ট ব্যবহার না করে থাকেন, তবে Save করে পরবর্তীতে যেকোনো সময় PDF ফরম্যাটে পাবলিশ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আর Built-in PDF Extension এর প্রয়োজনীয়তা নেই, ইউনিকোড সমর্থন করে এমন যেকোনো PDF Maker Software দিয়েই তখন কাজ চালানো সম্ভব। ইন্টারনেটে তো এমন শতশত PDF Maker Software আছে।
মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ডের একটি Built-in PDF Extension হচ্ছে “Save As PDF and XPS’’, ছোট্ট সফটওয়্যারটি ইন্সটল করুন, আর কোন ওয়ার্ড ডকুমেন্টকে Save করবার সময় Save As থেকে PDF নির্বাচন করুন। ব্যাস, হয়ে যাবে PDF। ডাউনলোড লিঙ্ক (৫৩০ কিলোবাইট):
View this link

এই ব্যপারে বিস্তারিত জানতে আমার পোস্টটি দেখুন।
http://www.pchelplinebd.com/?p=32899

দ্বিতীয় ধাপঃ
• তৈরিকৃত PDF টি অ্যাডোবি ফটোশপ দিয়ে Open করুন।
• File> Save as>Format থেকে JPEG নির্বাচন করে Save করুন.

হয়ে গেলো কাজ!



অ্যাডোবি ফটোশপ না থাকলে যে কোন PDF to Image converter সফটওয়্যার দিয়েও দ্বিতীয় ধাপটি সম্পন্ন করা যাবে। এমনি একটি PDF to Image converter সফটওয়্যার হচ্ছে PDFZilla। ৭ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যারটি দিয়ে যেকোনো PDF কে আরও পাঁচটি ফরম্যাটে রুপান্তর করা যায়। ডাউনলোড লিঙ্কঃ
View this link
সিরিয়াল কী ভেতরেই আছে।
কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেননা। সহজ, আপনারা অনেকেই এইভাবে ছবিতে বাংলা লিখে থাকেন। তবে যারা জানেনা তাদের জন্য এই পোস্ট।
বিস্তারিত পড়ুন ... »

১৮ ডিসে, ২০১১

নাম নিয়ে আমার কৌতুহল

যে ভূমিকা না লিখলেই নয়
ভাল একটা নাম চাই! ভাল'র সঙ্গা কি? অবশ্যই 'আনকমন' হতে হবে। নবজাতকের নাম রাখতে গিয়ে মোটামুটি সব বাবা-মা' ই আমার সাথে অন্তত এ ব্যাপারে একমত হবেন। মুসলিম হলে তো কথাই নাই। কারণ, আল্লাহ রোজ কিয়ামতের মাঠে বাবার নামের সাথে মিলায়ে বান্দাকে ডাকবেন। সুতরাং খারাপ বা বিদঘুট অর্থওয়ালা নাম ধরে আল্লাহ ডাকুক তা কেউই চাইবে না। যেমন-এই "জামাল মিয়া" যার মানে এই "একশো উট"! প্রথম 'দর্শনের' একটা গুরুত্ব আছে না?
একটা স্ট্যান্ডার্ড নামের তিনটা অংশ থাকে বলে অনেকেই মনে করেন। ফার্স্ট, মিডল এবং লাস্ট নেইম। প্রথম অংশে
তার নিজের নাম রাখা হয়। মঝাখানে বাবার নামের সাথে মিলিয়ে রাখা হয়। শেষ নাম বংশ বা সার (sur) নাম বলে পরিচিতি পেয়েছে। অনেকেই আবার মাঝখানটা স্কিপ করে সরাসরি লাস্ট নামে চলে যান।

আমাদের নাম বিভ্রাট
আমরা অনেকেই 'জ' ও 'য' (অর্থাৎ 'জিম' এবং 'যা'), 'স' ও 'ছ', 'ও' বা 'ও-কার' ইত্যাদি উচ্চারণের ফারাক বুঝতে পারি না। যার কারণে অন্যের কাছে বা ভিন দেশীদের আমাদের ভিনদেশীয় নামের উচ্চারণ ঠিক করে বলতে পারিনা। যেমন, 'জাহাংগীর' বা 'যায়েদ' বলার সময় 'জ' ও 'য' উচ্চারণ একইভাবে মেরে দিই। অর্থাৎ শুরুতেই গন্ডগোলটা বাধিয়ে ফেলি। আমার এক্স কলিগ (তিনি কিন্তু পিএইচডি)-এর Zoo বলা তো আমার অফিসের কেউই বুঝলো না। শেষমেষ লিখে বোঝাতে হয়েছিল।
টেলিফোনে আমার রুমমেট ইউটিলিটি বিল দিতে গিয়ে নিজের নাম 'সাজ্জাদ' উচ্চারণ করল এভাবে, এস এ জি জি এ ডি (আমরা যে বর্ণমালাকে 'যেড' বলে জানি তা আমেরিকায় হয়েছে 'যি')। ক'দিন পর বিলে নাম এল 'সাজ্ঞাদ' হয়ে, 'সাজ্জাদ' আর বানানো গেল না!

'আঈন' তো ফেলে দেয় মহাবিপদে। গলার মাঝখানে মাইরপ্যাচ করে 'নামের ভিতর 'আঈন' লুকিয়ে থাকা কাউকে ডাকা আমাদের ধাতে কুলায় না। যেমন, মা'মুন, মাসঊদ। আমরা ডাকি 'মামুন', 'মাসুদ' বলে। আমার ইরাকী প্রতিবেশী আমার ভায়রার নাম 'মামুন' শুনে বুঝতেই পারে না এটা কোন নাম। অথচ এটা কিনা ওদের কাছ থেকেই এসেছে। কত না গল্প বাগদাদের খলীফা মা'মুনুর রশীদকে নিয়ে! বুঝলাম 'আঈন'-এর জটিলতায় আমার ভায়রা আটকে গেল!

এ সমস্যা শুধু আমাদের না। ভারতীয় ও পাকিস্তানীদেরও।
যেমন আমার মেয়ের সাথে আরবী পড়তে যায় 'রিদা'। আমাদের মসজিদের জর্ডানী ইমাম বললেন, এইটা তো কোন নাম না, এইটা হবে (একটু টেনে, মানে মাদ্দ দিয়ে) 'রিদআ'!
আমার আরেক পাকিস্তানী প্রতিবেশীর ছেলের নাম 'সাইফান' শুনে ইমাম সাহেব সাইফানের বাপকে জিজ্ঞেস করলেন, 'ও তো একটা সাইফ। একা হয়ে দুইটা সাইফ হয়ে গেল কেমনে?'
সাইফানের বাবা কাইয়ুম বললেন, একটু ব্যতিক্রম নাম রাখতে গিয়ে এই কাজটা হয়ে গেছে। ভুলটা পরে বুঝতে পেরেছে আমাদের কাইয়ুম ভাই। 'সাইফ' মানে হল 'তরবারী' বা একটা তরবারী, 'সাইফান' মানে হল, 'দুইটা তরবারী'!

দেশী ভাই হালিমকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার ছেলে ও মেয়ের নাম কি?
উনি বললেন, 'হাদীন' আর 'রাদীন'
বললাম, মানে?
উনি বললেন, "আল্লাহ্‌র 'হাদী' নামের শুদ্ধ উচ্চারণ এটা। হাদীর শেষে দুইটা 'যের' বা 'কাসরা' আছে না? এটা আসলে 'হাদীন' হবে।" রাদীনেরও ওরকম ব্যাখ্যা দিলেন।
বললাম, হুম, জব্বর জিনিস আবিষ্কার করলেন!

আমার ভারতীয় প্রতিবেশী মুজাম্মিল বলে আমরা মানে বাংলাদেশীরা নামের ভিতর নাকি 'উল', 'উর' বা 'উ -জাতীয় শব্দ' বেশী যোগ করি। আর ওরা করে 'ইল' বা 'ইর' বা 'ই-যুক্ত' শব্দ। যেমন, আমাদের 'ফারুকুর রহমান', 'মুজিবুর রহমান', 'আশরাফুল ইসলাম' ইত্যাদি। ওদের নাকি এরকম নাই। আছে 'তুজাম্মিল', 'মুজাম্মিল', 'আব্দুল কালাম' ইত্যাদি।

'আরিয়ান' নাম নিয়ে গবেষণা
হঠাৎ করে এই নামটা বেশ পপুলারিটি পেয়েছে। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। আমার এক নিকটাত্মীয়া তার ছেলের নাম রেখেছেন 'আরিয়ান'। আমার এক এক্স ভারতীয় (গুজরাটি) কলিগ যতীন মিস্ত্রী তার ছেলের নাম রেখেছে 'আরিয়ান'। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোহেল ওদের দ্বিতীয় ছেলের নাম এই দুই সপ্তাহ আগেই রাখল আরিয়ান। ফেসবুকে আরিয়ানের ছবি দিতেই সোহেলের স্কুল জীবনের আরেক ক্লোজ ফ্রেন্ড আজাদ বল্ল, ওর ছেলের নামও তো 'আরিয়ান'। কি চমৎকার মিল! কেউ কারো কাছে না শুনে সবাই এমন নাম রেখে ফেলেছে। পরে জানলাম শাহরুখ খান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী গৌরী খানের ছেলের নামও নাকি 'আরিয়ান'!
আমি একটু 'গবেষণা' শুরু করে দিলাম। এই নামটা আসল কোত্থেকে? আমার আত্মীয়া বললেন, ইসলামী নামের বই থেকে পেয়েছেন। যতীন বল্ল, এটা ওদের এক 'গড'-এর নাম। সোহেল চমৎকার একটা ঐতিহাসিক ব্যাকগ্রাউন্ড বল্ল। সেখানে যাওয়ার আগে আমাদের মসজিদের আরেক ফিলিস্তিনী ইমামের সাথে আমার কথোপকথনটা আপনাদের বলে নেই। উনি তখন কি যেন লিখছিলেন।

আমিঃ (সালাম ও অনুমতি নিয়ে) আরিয়ান কি ইসলামী নাম?
ইমামঃ না।
আমিঃ ওকে। বুঝলাম এটা কোন ইসলামী ব্যক্তিত্বের নাম না। তবে আরবীতে এই নাম আছে কি?
ইমামঃ না।
আমিঃ আপনি কি শুনেছেন এই নাম কখনো?
ইমামঃ হ্যাঁ।
আমিঃ (অনেক আশা ও আগ্রহ নিয়ে) তাহলে বলেন এইটা কোন গোছের নাম তাহলে?
ইমামঃ এইটা 'ইহুদী' নাম!
আমিঃ (ধপাশ করে পড়ে গিয়ে) মানে? ইমামঃ এইটা সেমেটিক, হিস্ট্রিক্যাল নেইম!
আমিঃ আমার পরিচিত অনেক ভাল মুসলমানই রেখেছে এই নাম।
ইমামঃ ইট্‌স অলরাইট।

ইমাম সাহেবের সাথে কথা শেষ করে আমার বন্ধুকে ফোন দিলাম।
- দোস্ত, কংগ্রাচুলেশন! নামটা তো বেশ রেখেছিস। তোরা কি আগেই এইটা ঠিক করে রেখেছিলি?
- হ্যাঁ। এটা অনেক খেটে-খুটে জোগাড় করারে দোস্ত।
- তা এই নামটা কোন ভাষার? কিভাবে পাইলি? মানেই বা কি?
- আরবীর। ইসলামী সাইট থেকে পাইছি। মানে হল 'সাহসী', বা 'বীর।
- ভেরী গুড। কোনো আ্যরাবিয়ান আলেমের কাছে শুনিছিলি কি? (ওর পাশের মসজিদটা হল
আরবভাষীদের দ্বারা পরিচালিত)
- না।

আমি আমার বন্ধুকে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে আমার কথোপকথনগুলো তুলে ধরলাম।
সব শুনে ও বল্ল, "না এটা ঠিক না। এটা ইহুদী নাম না। উনি হয়তো Aryan'র কথা বলেছেন, আমার ছেলের নাম Arian - এইটা মূলত পারসিয়ান নাম। আফগান আর ইরানের বর্ডারের যে প্রদেশটা আছে, ওই এলাকার লোকেরা আফগান না ফার্সী ভাষায় কথা বলে। ওখানকার এক পাহলোয়ান নাম ছিল 'আরিয়ান'।"
আমি বললাম, "ভেরী গুড। আমাদের আরিয়ানও ইসলামের পাহলোয়ান হবে ইনশাল্লাহ্‌।" এভাবেই কথা শেষ করে পরেরদিন আমার ইরানী কলিগ এলনাযকে আরিয়ান নামের আমার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলাম।
এলনায বল্ল, হ্যাঁ, আরিয়ান নাম ইরানে অনেক আছে।
বললাম, গ্রেট। এটা মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত নিশ্চয়ই (কারণ আমি জানি ওদের দেশে অনেক ইহুদী আছে)? বানান বলবে কি?
এলনায বল্ল, "নট নেসেসারিলি। অমুসলিমদের মধ্যেই মূলত এ নামের প্রচলনই বেশী। বানান হল, Arian।"

আমি আমার বন্ধুকে এ ব্যাপারে আর কিছুই বললাম না।
(চলবে)

____________________________________________

মূল লিঙ্কঃ http://sonarbangladesh.com/blog/shahin/75985
বিস্তারিত পড়ুন ... »

৬ ডিসে, ২০১১

হিন্দি সিরিয়াল দেখা- দোষটা কি শুধু মা-বোনদের?

হিন্দি সিরিয়ালের দর্শক অধিকাংশই মা-বোনেরা, যাদেরকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়-
১/ অনেকেই হাতে কোনো কাজ নেই তাই, টাইম পাস করার জন্য হিন্দি সিরিয়াল দেখেন।
২/ অনেকে আবার নাটকের কুফল সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও এমনিতেই দেখেন।
৩/ এরা ভালো মন্দের বাছ-বিচার করেন না। যা দেখবেন তাই ভালো, তাই আধুনিক, তাই সভ্যতা। সিরিয়ালগুলো দেখে মজা পান তাই দেখেন।
প্রশ্ন হলো- আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, খালা, ফুফু… এনারা হিন্দি সিরিয়াল কেন দেখেন?
প্রধান কারণই হলো আমাদের স্যাটেলাইটে ভারতীয় চ্যানেলের আধিক্য। দেশের কোন নাটক আমাদের কাছে ভালো না লাগলে, চ্যানেল পরিবর্তন করতে করতে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় চ্যানেলে গিয়েই, হাতের রিমোটটাকে কান্ট্রোল করা বন্ধ করে দেই। সেসব চ্যানেলে সারাদিন নাটক হতেই থাকে।
দ্বিতীয়ত, সিরিয়ালগুলোর জৌলুসপূর্ণ পরিবেশ, তাদের রঙ, ঢং, মেকআপ, স্টাইল, বড় বড় বাড়ি, গাড়ি, দামী শাড়ি, গয়না- শুধু তাই নয়, বরং তাদের ড্রেস পরার ধরনও আমাদের তরূন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করে। এগুলো হচ্ছে নাটকের উপরিভাব। এসবের ছলে নাটকের ভিতরে যা শিখছি, তা আরো মারাত্মক।
ছেলের গায়ে মেয়ের পরে যাওয়া, মেয়ের ওড়না উড়ে ছেলের মাথায় গিয়ে পরা- ভালোবাসার সূচনাটা এসব দিয়েই শুরু। প্রায় ৩ মিনিটের মত নাটক এখানেই থমকে দাঁড়ায়। এটাই আপাতত আজকের এপিসোড, পরবর্তী এপিসোড দেখার জন্য অধির অপেক্ষায় থাকে দর্শকরা। বিয়ের আগে অবৈধ সম্পর্ক দেখানোটা, নাটকের রীতিতে পরিণত হয়েছে। আর এগুলো দেখাতে আমরা যেমন দ্বিধা বোধ করি না, তেমনি লজ্জাও পাই না। বরঞ্চ মজাই পাই। এই হল আমাদের অবস্থা!
বিয়ে করাটাকে ঝামেলা আর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে রোমান্টিক করে আমাদের সামনে দেখানো হয়। আমরা হা করে দেখি আর হজম করি। পরকিয়া, সম্পত্তির কারণে ভাই-ভাই ঝগড়া, একে অপরের উপর প্রভাব বিস্তার করার অভিনব কায়দা, স্ত্রীর কুটনৈতিক চাল, ভুল বুঝাবুঝি- এসব যেন নাটকের নিত্য নৈমান্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এসব আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের ধর্ম, পরিবার, সমাজ সমর্থন না করলেও মজা পাই তাই দেখি।
এর সাথে একটা কথা যা না বলতেই নয়- ভারতের নাটকে পরিবারের দাদী, নানী বা প্রধান মেয়ে চরিত্রকে ধর্মীয় ব্যাপারে খুব পন্ডিত হতে দেখা যায় । তারা কয়েকদিন পর পর গৃহে শান্তি আনার জন্য পূজার আয়োজন করেন। রামায়নের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে সামাজিক সমস্যার সমাধান বের করার কথা পরিবারের সামনে তুলে ধরেন। আমরা কত জন আমাদের নাটকে আমাদের ধর্মকে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি? আমাদের কু’রআন, আমাদের হাদিস কি দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান দেয় না? তা নিয়ে তো আমাদের গুণী গল্পকারদের নাটক বানাতে দেখি না। তরূণ মডেলদের তো এসব অভিনয়ে এগিয়ে আসতে দেখি না । ভারতীয় সিরিয়ালে গায়েত্রী মন্ত্র শুনতে শুনতে আমাদের তা মুখস্ত হয়ে গেছে। অথচ, আমাদের চার কালিমা আমরা কয়জন মুসলমান মুখস্ত জানি? ভারতীয় সিরিয়ালে তাদের ধর্মীয় কথা শুনতে আমাদের ভালো লাগে আর আমাদের দেশের পরিচালকেরা, গল্পকাররা দর্শক হারানোর ভয়ে ধর্মের কথা বলা তো দূরে থাক, নাটকের মাধ্যমে সমাজে ভালো কিছু দেয়ার কথাও ভাবেন না।
এবার আসি দ্বিতীয় প্রসঙ্গে। দেশীয় নাটকে দর্শক সংখ্যা কম কেন? স্বভাবতই, কোটি টাকা বাজেটের নাটকের সামনে হাজার টাকা বাজেটের নাটকটা একটু ফিকে বলে মনে হবেই। তবে এটা মানতেই হবে হিন্দি সিরিয়ালে যা দেখায় তা আমদের সামাজিক অবস্থার বহির্ভূত। বরঞ্চ আমরা যদি তেমনভাবে চলি তাহলে, সামাজিক বিশৃংখলতা আরো বাড়বে। অপরদিকে আমাদের নাটকগুলো আমাদের সামাজিক অবস্থা তুলে ধরলেও দিন দিন লক্ষ্য করছি- দর্শক বাড়ানোর তাগিদে আমাদের নাটকগুলো ড্রেসের দিক দিয়ে, গল্পের দিক দিয়ে হিন্দি সিরিয়ালের নকল করতে শুরু করেছে।
এবার যে ব্যাপারটা আমাদের বুঝতে হবে তাহল- হিন্দি সিরিয়াল দেখলে ক্ষতি কি? তাদের নাটকের ১০০% খারাপ তা আমি বলি না। কারণ তাদের নাটকেও হাস্যরস থাকে, নাটকীয়তা থাকে, ঢং থাকে- যা দর্শককে বিনোদন দেয়। তবে একজন বিবেক সম্পন্ন মানুষ হিসাবে, সচেতন নাগরিক হিসাবে আমরা কখনোই খারাপ জিনিস দেখতে বা চর্চা করতে পারি না। কিন্তু আমরা দিন দিন সেসব নাটকের কুফলটাই নিজের মধ্যে নিয়ে আসছি। তাছাড়া সত্যি বলতে, খারাপ জিনিস মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে এবং স্মরনে থাকে। আজ আমরা লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করছি তাদের অনুকরণ করে। শাড়ি পরার ধরন শিখছি তাদের দেখাদেখি। আর শাড়ি তো দূরে থাক, টপস আর প্যান্ট পড়তেই আমাদের বেশি ভালো লাগছে। আর আমাদের ভাইরা ইদানিং এমন টাইপের প্যান্ট পড়েন যেন কোমড় থেকে পরে যায়। ভদ্রতা-সভ্যতা কি, আমরা কেন পোশাক পরি, তার সংজ্ঞা আমাদের ভাই-বোনদের ব্রেন থেকে উঠেই গেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের মিডিয়াও আমাদের এমনই শিক্ষা দিচ্ছে। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা নাটকের শুটিং দেখার সৌভাগ্য হলো। নাটকের একটা দৃশ্যে, “মেয়েটি টপস আর প্যান্ট পরে চটপটির দোকানে দাড়িয়ে আছে”। দেখলাম- রাস্তার সবাই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে। এমন ড্রেসে থাকলে ছেলেরা তাকাবেই। বর্তমানে আমাদের নাটকগুলোতে এমন ড্রেসেই মেয়েরা উপস্থিত হয়। ওড়না না পরাটাই এখন ফ্যাশন। মেয়েরা তাদের ব্যাপারে সচেতন না আর এর ফয়দা তুলছে মিডিয়া। তাছাড়া শুধু, পোশাক-পরিচ্ছদেই এমন নোংরামী সীমাবদ্ধ থাকছে না। প্রভাব পড়ছে আমাদের সামাজিক, মানসিক সব জায়গায়। কোন কোন পরিবারে মা-দের সিরিয়াল দেখার নেশা এতই থাকে যে, তারা ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের পড়ানোর সময় পান না। বরঞ্চ দেখা যায়, ছেলে মেয়েদের নিয়েই নাটক দেখতে বসেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই এরা পরিচিত হচ্ছে অপসংস্কৃতির সাথে।
এবার দেখুন আমাদের প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থা। এরাও গড্ডালিকায় গা ভাসাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। নিজ দেশের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, সভ্যতাকে পত্রিকার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন সেই সাহসও তাদের নেই। প্রায় একমাস আগে একটা অনলাইন পত্রিকায় চাকরি পেয়েছিলাম। তারা আমাকে ‘লাইফ স্টাইল’ বিভাগটা সামলাতে বলে। সাথে সাথে এও বলে দেয় যে, ‘বেশি কষ্ট করতে হবে না, শুধু নেট থেকে ভারতের ‘সানন্দা’ ম্যাগাজিনটা দেখে নিয়ে কপি পেষ্ট করে দিলেই হবে’। শেষে, না করতে বাধ্য হলাম। এই হলো আমাদের মিডিয়া! আমরা নিজেরাই তো নিজেদের সংস্কৃতির গলায় ছুরি চালাচ্ছি। দোষ দিবো কাকে? তাছাড়া কিছু পত্রিকা আছে, যারা নিজেদের আধুনিক বলে দাবি করেন আর ‘বিনোদন’ এবং ‘লাইফ স্টাইল’ পাতার মাধ্যমে, মেয়েদের টপস আর প্যান্ট পরা, স্লিভ লেস ডেস পরা, আর ছেলেদের চুল থেকে শুরু করে প্যান্ট পর্যন্ত এক উদ্ভট সাজে সজ্জ্বিত করাকে সভ্যতা ও আধুনিকতা বলে প্রচার করেন। আর আমাদের অবস্থা দেখুন, আমরাও কেমন জাতি! মানুষ হিসাবে আমরা কিভাবে চলবো বা আমাদেরকে কোনটা মানায়, সেই দিকে পর্যন্ত আমরা খেয়াল করি না। কোনটা সঠিক এ ব্যাপারে আমরা সন্ধান করি না। নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতে ভুলে গেছি। এসব অসভ্যতাকে আধুনিকতা মনে করে হুমড়ি খেয়ে, টাকা দিয়ে কিনি। লজ্জা হয়া উচিত আমাদের।
এবার আমরা একটু স্যাটেলাইট খাতের অর্থনৈতিক হিসাব কসে দেখি, আমরা কোথায় আছি। দেশে প্রায় ২৭২টি চ্যানেল দেখা যায়। যার মধ্যে বাংলাদেশ ৪০টি কিনে নেয়। তার প্রায় সবই ভারতীয়। ভ্যাটসহ স্টার গ্রুপের একটি চ্যানেলের জন্য গ্রাহক প্রতি ৭৩:৩১ টাকা, সনির জন্য ৮৬: ২৫ টাকা দিতে হয়। সেই হিসাবে বছরে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা শুধু মাত্র স্যাটেলাইট খাতে ভারতকে দিতে হয়। শুধু তাই নয়, তারা যদিও আমাদের দেশের চ্যানেল দেখেনা, তবুও আমরা তাদের নাটক দেখার পাশাপাশি তাদের পণ্যের সাথেও দিন দিন পরিচিত হচ্ছি। আফসোস! না আমরা আমাদের দিকে চাকাচ্ছি, না সমাজের দিকে আর না অর্থনীতির দিকে। আমরা টিভিতে বিশৃংখলা দেখছি, সমাজে এর প্রভাব লক্ষ্য করছি, পরিণতি দেখছে, তারপরও আমরা সচেতন হচ্ছি না, দেখা বন্ধ করছি না। আমাদের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম জাগ্রত না হলে, শেষে সরকার চ্যানেল বন্ধের আদেশ দিলেও(আমি এখন চ্যানেল বন্ধের কথা বলছি না) দেখা যাবে আমরাই এর প্রতিবাদ করছি। তাই সঠিক উপলব্ধি আমাদের মধ্য থেকেই আসতে হবে।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, হিন্দি সিরিয়াল না হয় নাই দেখলাম, কিন্তু নাটক, ফিল্ম, গান এগুলোতো আমাদের বিনোদনেরই অংশ, এবার তাহলে আমরা কি করব? অবশ্যই আমাদেরকে একটা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন-
১/ আমাদের আশেপাশে অনেক ঘটনা ঘটে যায়। শুধু যে ছেলে-মেয়ে কেন্দ্রিক ভালোবাসা সম্পর্কীয় ঘটনা ঘটে তা কিন্তু নয়। পৃথিবীতে চলতে ফিরতে ঘটনার কমতি হয় না, আর সমস্যাও কম সৃষ্টি হয় না। তাই আমাদের যারা গল্প রচনা করতে জানেন, তারা মানুষের দৈনন্দিন সমস্যাকে তুলে ধরবেন, এবং নাটকের মাধ্যমে তার সুষ্ঠ সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবেন। এতে দর্শকরা বিষয়টি উপভোগের সাথে শিখবে। উদাহরণস্বরূপঃ মিথ্যা কথা বললে মানুষের যে কি পরিমান ক্ষতি হয়, তা কিন্তু ছোট একটা নাটকের মাধ্যমেই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। এটা সত্য, যারা পড়াশুনা করতে জানে না, তারাও টেলিভিশনের দর্শক। আর এই মাধ্যমটি মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে। সুতরাং এখনই আমাদের একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। তাছাড়া শুধু নাটক বানালেই হবে না, তার ব্যাপক প্রচারণাও করতে হবে, যাতে মানুষ বিজাতীয় কুসংস্কৃতি ঝেড়ে নিজ দেশের সংস্কৃতি-সভ্যতার প্রতি যত্নশীল হয়।
২/ নাটকের মডেলরা (ছেলে-মেয়েরা) শালীন পোশাকে থাকবে। কোনো মেয়ে যদি ইসলামী ড্রেসে হিজাব করে অভিনয় করতে চায়, তাহলে তার জন্যও মিডিয়ার দুয়ার খোলা রাখতে হবে। ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়াকে অনেকেই খারাপ দৃষ্টিতে দেখেন। দেখার পিছনে অবশ্য কারণও আছে। তো, সেই সংজ্ঞাকে পরিবর্তন করতে হবে। সুন্দর গল্প, অভিনয়, সুষ্ঠ মস্তিষ্কের মানুষ দিয়ে মিডিয়া জগৎ সাজাতে হবে।
৩/ সুন্দরী প্রতিযোগিতা হয়ে মেয়ের অপমান করার চেয়ে গল্প লেখার প্রতিযোগিতা করা হোক। যার গল্প সুন্দর হবে সেটা দিয়ে নাটক বানানো হবে। গল্পের বিষয় থাকবে-‘সামাজিক অবস্থা, বাস্তবতা ও সমাধান’।
৪/ নাটকের মধ্যে অবশ্যই নাটকীয়তা, হাস্যরস থাকবে, তা নাহলে মানুষ মজা পাবে না।
৫/ অনেক পরিচালক, গল্পকারদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের একটা প্রবণতা থাকে। তারা নবীনদের সুযোগ দিতে চান না। সত্যি বলতে মানুষের কিছু সহজাত প্রবৃত্তি থাকে। মানুষ প্রভাব বিস্তার করতে চায়, দাপট দেখাতে চায়। কিন্তু, প্রত্যেক জিনিসের একটা সীমা থাকে। তেমনি পুরনো ব্যক্তিরা যদি ক্ষমতা আকড়ে থাকেন, নবীনদের সুযোগ না দেন সেক্ষেত্রে আমাদের চলচ্চিত্র তথা নাটক অঙ্গনে আমরা পরিবর্তন দেখার আশা করতে পারি না।
হিন্দি সিরিয়াল দেখার জন্য আমরা অনেকেই একচেটিয়া মা-বোনদের দোষ দেই। এ নিয়ে পরিবারে অসন্তোষ, মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ব্যাপারটা যদিও হাস্যকর যে, সামান্য একটা টিভি সিরিয়ালের কি জোর যে, সে পরিবারে ঝগড়া লাগাতেও সক্ষম। তা যাই হোক। জোড় করে কিছু আদায় করা যায় না, আর মানুষকে সঠিক জ্ঞানও দেয়া যায় না। তাই তো আল্লাহ তা’য়ালা কুরআনে হিকমাতের (জ্ঞান) কথা বলেছেন, বিচক্ষনতার কথা বলেছেন। তাই আমাদেরকেও তেমন পরিচয় দিতে হবে। আমরা যদি আমাদের মা, বোন বা স্ত্রীকে বলি-‘আজ থেকে তোমাকে হিন্দি সিরিয়াল দেখতে দিবো না, টিভি বন্ধ করো’ ইত্যাদি… ইত্যাদি। তাহলে কিন্তু হবে না। বরং উপরের সমাধানগুলোর পাশাপাশি তাদেরকে যদি আমরা নম্রতার সাথে বুঝাই, আলাপ আলোচনা করি, কুফলগুলো প্রকাশ করি, তাহলে আশা করা যায়, আমাদের পরিবার সঠিক সন্ধান পাবে। শুধু একটা প্রশ্ন করে দেখুন-‘তুমি এগুলো কেন দেখো’? বাকিটা আপনা আপনি প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে সমাধান হয়ে যাবে।
সুতরাং, শুরুতেই, আমাদের ধর্ম-সভ্যতা কি বলে, আমাদের মাটি-দেশ আমাদের কি শিখায়, তা আমাদের বুঝতে হবে। নিজ থেকেই উপলব্ধি করে নোংরা সংস্কৃতির উপর কুঠারাঘাত করতে হবে। আশা করা যায়, এক্ষেত্রে সরকারও আর্থিক সহায়তা করবে আর আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে সুন্দরভাবে নতুন আঙ্গিকে বিশ্বের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে পারবো।

http://www.sonarbangladesh.com/blog/KUMKUM/78657
বিস্তারিত পড়ুন ... »

৩০ নভে, ২০১১

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেখা ছবি-র গল্প


উপরের ছিবিটি কি চিনতে পেরেছেন? একজন সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী হলেও এটি চিনতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কম্পিউটার চালুর সঙ্গে সঙ্গে এ ছবিটি হয়ত হাজারবার ভেসে এসেছে আপনার ডেস্কটপে। এবার আরেকটু ভিন্ন ভাবে আসা যাক, আচ্ছা, বলতে পারেন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেখা ছবি কোনটি?

হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি দেখা এ ছবিটি হচ্ছে উপরের এই উইন্ডোজ এক্সপির ডিফল্ট ওয়ালপেপার, যেটি বিলিয়ন বারেরও বেশি দেখা হয়েছে। ঘাসের উপরে নীল আকাশ, আর আকাশে খন্ড খন্ড সাদামেঘ। মাটি থেকে আকাশের অদ্ভুত এক ‘কম্বিনেশন’! উন্মুক্ত মাঠে নীল রং আর উজ্জল আলোর খেলা দেখা যায় এ ছবিটিতে। উইন্ডোজ এক্সপির এ ওয়ালপেপারটি দেখে অনেকেরই ধারণা, ছবিটি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে করা হয়েছে, কিন্তু আসল ব্যাপারটি তেমন নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের নাপাভ্যালীর একটি পথের ধারে তোলা ছবি যেটি ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার চাক ওরিয়ার (চার্লস ওরিয়ার)। তার তোলা উপরের এই ছবিটি কেবল উইন্ডোজ এক্সপির ওয়ালপেপার হিসাবেই আলোচিত নয়, এর দামের হিসাবেও এটি বেশ আলোচিত। জানা যায়, সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ছবির তালিকায় এটি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে

ওরিয়ার একেবারে জাত ফটোগ্রাফার। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত ম্যাগাজিনে তিনি দীর্ঘদিন ফটোগ্রাফি করেছেন। এখানে কাজ করার সময়ই ওরিয়ারের ফটোগ্রাফি সুনাম ছড়ায় সর্বত্র। তাঁর এক্সপি ওয়ালপেপারের ছবিটি ক্যামেরাবন্দী করার কাহিনীটিও বেশ মজার। তখন সদ্য ৬০ পেরিয়েছেন। আর এ বয়সেই আবার নতুন একটি প্রেমে পড়েছেন এ জাত আলোকচিত্রী। রোদ্রোজ্জল এক দিনে নতুন প্রেমিকার সঙ্গে নিজেই গাড়ি হাকিয়ে যাচ্ছিলেন নাপা ভ্যালীর পথ দিয়ে। সঙ্গে ছিল তার অতিপ্রিয় ক্যামেরাটি। চারপাশে তখন ঝলমলে রোদ। রাস্তার দুপাশে আঙ্গুর বাগান। রাস্তার পাশেই উচু টিলা। আর টিলায় সারি সারি আঙ্গুর গাছ। টিলা তখন সবুজ ঘাসে ভরে উঠেছে। টানা রোদে অদ্ভুদ রঙ ছড়ায় এ ঘাসগুলো। আর এ রঙ চোখ এড়ায় না চাক ওরিয়ারের। গাড়ি থামিয়ে নামেন তিনি। একটানা বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন। নিচে সবুজ ঘাস, আর আকাশে খন্ড খন্ড মেঘ।

নাপাভ্যালীর এ স্থানটি বেশ আকর্শনীয় হওয়ায় এখানে অনেক ফটোগ্রাফারই আসেন, ছবি তোলেন। তবে আকাশের রঙ আর ঘাসের এ অদ্ভুত মিল এর আগে খুঁজে পাননি কেউই। এই প্রথম চাক ওরিয়ারের ক্যামেরায় আলো আর নীলের মাঝে ঘাস আর মেঘের অদ্ভুত চিত্রটি ধরা পড়লো। ছবিটি দেখে বেশ পুলকিত হলেন ওরিয়ার, তবে তখনও তিনি ধারণা করতে পারেনি তার এই ছবিটিই ইতিহাসের একটি উজ্জল অধ্যায় হতে যাচ্ছে। এ ছবিটিই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেখা একটি ছবি। তবে একটি ভালো ছবি তুলে ফটোগ্রাফার যেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকেন, এক্ষেত্রে অবশ্য তেমনটি হয়নি। ওরিয়ারেরর ভাষায়, ‘আসলে আমার নতুন প্রেমিকা তখন আমার সঙ্গে, ছবিটি দেখে বুঝলাম যে একেবারে অর্ডিনারি একটা ছবি এসেছে। তবে বেশিক্ষণ সেটি দেখার সুযোগ হয়নি। ক্যামেরা গুটিয়ে তড়িঘরি করে সেসময় গাড়িতে উঠি।’
ছবিটি তুলে এ নিয়ে আর ঘাটাঘাটি করা হয়নি ওরিয়ারের। এভাবেই বেশকিছুদিন পার হয়ে যায়। হয়ত ছবিটির কথা ভুলতেই বসেছিলেন তিনি। তবে না, এটির কথা আবার মনে করিয়ে দিলো তার এজেন্সি। কোথা থেকে যেন ওরিয়ারের ছবিটি দেখেছেন মাইক্রোসফট কর্মকর্তারা। আর এটি তাদের বেশ পছন্দও হয়েছে, যেটি তারা তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এক্সপির ডিফল্ট ওয়ালপেপার করতে চায়। আর তাই মাইক্রোসফট কর্মকর্তারা এ এজেন্সির মাধ্যমেই চেয়েছেন ছবিটির মূলকপি। চুক্তি করে ছবিটির স্বত্ব কিনে নেয় মাইক্রোসফট। তবে ছবিটির জন্য ঠিক কত অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে সেটি গোপন রাখা হয়, চুক্তিতেও স্পষ্ট বলে দেয়া হয় যে, টাকার এ অংকটি কেউই প্রকাশ করতে পারবেন না! তবে ধারণা করা হয়, এটিই হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চদামে বিক্রি হওয়া ছবি।

সম্প্রতি ডেইলিমেইল এক সাক্ষাতকার নিয়েছিল চাক ওরিয়ারের। সেখানে তিনি তার এই বিখ্যাত ছবি সম্পর্কে বলেন, ছবিটি তোলার সময় একটুও ধারণা করতে পারিনি যে এটিই হতে যাচ্ছে একটি ‘আইকোনিক ফটো’। বাস্তবতা হচ্ছে, এটিই সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত ছবি। এটা যদি বাংলাদেশের কোনো এক গ্রামে নিয়ে গিয়ে দেখানো হয় তবে সেও যেমন চিনতে পারবে, তেমনি চীনের ব্যস্ত রাস্তায় যদি কাউকে ছবিটি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা এটি কিসের ছবি, সেও এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারবে।’ (স্টোরি টা পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো যে চাক ওরিয়ার বাংলাদেশের কথা বললেন!

বিশ্বের কোটি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহারকারী তাদের কম্পিউটার চালুর সঙ্গে সঙ্গে চাক ওরিয়ারের তোলা এ ছবিটি দেখতে পান। তবে চাক নিজে তার কম্পিউটার চালুর পর এ ছবিটি দেখার সুযোগ পান না, কারণ তিনি ব্যবহার করেন অ্যাপলের ম্যাক, যেটি অ্যাপলের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমে চলে!

http://www.somewhereinblog.net/blog/asadrasel/29488271
বিস্তারিত পড়ুন ... »

দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো

একটা ছবি হাজার শব্দের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কিছু ছবি মানুষের ইতিহাস বদলায়, কিছু ছবি  মানুষকে স্বপ্ন দেখায় আর কিছু ছবি মানুষকে করে বাকরুদ্ধ।
এমনই কিছু ছবি:
Dead on the Beach 1943

ঘরে বসে কখনো বোঝা যায় না, যুদ্ধ আসলে কি? সাগর তীরে আনন্দের বদলে লাশের সারি নিয়ে আসতে পারে যুদ্ধ। ২০শে সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩-এ তোলা ছবি। পাপুয়া নিউ গিনিতে সমুদ্রতীরে মৃত অবস্থায় পরে থাকা আমেরিকান সৈন্যরা।
Biafra 1969

পূর্ব নাইজেরিয়ার লেগবসরা ১৯৬৭ তে যখন নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষণা করে, তাদের গঠিত দেশ বায়াফরা-কে নাইজেরিয়া সমগ্র পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তিন বছর চলাকালীন যুদ্ধে দশ লাখ মানুষ মারা যায়। প্রোটিনের অভাবে বাচ্চারা kwashiorkor নামক রোগে ভুগতে থাকে, যে রোগে তাদের পেশি ক্ষয় হয়ে যেতে থাকে। একটি ক্যাম্পেই এমন ৯০০ শিশু দেখতে পান ফটোগ্রাফার। এই ছবি প্রকাশের পর সমগ্র বিশ্ব এগিয়ে আসে বায়াফরা-কে সাহায্য করার জন্য।
Nagasaki 1945

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে একটি পারমানবিক বোমা দিয়ে এক মূহুর্তে জাপানের নাগাসাকি শহরের ১৫০০০০ মানুষ মেরে ফেলার সেই মূহুর্ত। ‘মাশরুম ক্লাউড’ নামে পরিচিত বোমা থেকে তৈরী ধোয়ার ছবি, যেটি বিস্ফোরিত হয়, ভূমি থেকে ৫০০ মিটার উপরে।
Breaker Boys1910

সেই বিশ লাখ শিশুশ্রমিকের অংশবিশেষের ছবি যারা ১৯১০-এ আমেরিকায় শিশুশ্রমিকের কাজ করতো। ছবিটার শিশুদের কাজ ছিলো কয়লা থেকে স্লেট আলাদা করা। তাদের নিস্পৃহ চেহারা, চোখে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা কাঁপিয়ে দেয় মানুষকে। ১৯১০-এ আমেরিকায় শিশুশ্রম বন্ধের আইন তৈরী হয়।
Earthrise 1968

১৯৬৮ সালে চাঁদ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবিটি হঠাৎ মনে করিয়ে দেয়, আমরাও এ মহাবিশ্বেরই একটি অংশ। খুব ক্ষুদ্র একটি অংশ!
Execution of a Viet Cong Guerrilla 1968

দক্ষিণ ভিয়েতনামের পুলিশ ক্যাপ্টেন Nguyen Ngoc Loan এক বন্দীকে গুলি করে হত্যা করার মূহুর্তের ছবি। ছবিটি ভিয়েতনামের দুই অংশের যুদ্ধ থামাতে ব্যাপক মানব সমর্থন গড়ে তোলে।
How Life Begins 1965

১৯৬৫ তে প্রকাশিত মানবদেহের ভেতরে মানব শিশুর প্রথম ছবি।
Triangle Shirtwaist Company Fire 1911

কোম্পানির মালিক শ্রমিকরা যেনো কিছু চুরি করে পালাতে না পারে, সে জন্য দরজা তালা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯১১ এর ২৫শে মার্চ ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগলে শ্রমিকদের বের হবার কোন রাস্তা থাকে না। ৩০ মিনিটে মারা যায় ১৪৬ জন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে বিপুল সমর্থন তৈরী করে এই ছবি।
Flight 1903

আকাশে উড়ে বেড়ানোর মানুষের বহুকালের স্বপ্ন পূরণের ছবি। ১৯০৩ সালে রাইট ভাইদের তৈরী প্লেন।
First Human X-ray 1896

উইলিয়াম রন্টজেনের স্ত্রী-এর হাতের এক্সরে এর ছবি। পৃথিবীর প্রথম এক্সরে।
Migrant Mother 1936

মন্দা-র সময় নিজের ৭ সন্তানকে খাবার কিনে দেবার জন্য শেষ সম্বল তাবু আর গাড়ির টায়ারগুলোও বিক্রি করে দেন এই মা। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এক মা।
The Falling Man 2001

নিজের জীবন যে মানুষের কত প্রিয় তা এই ছবি থেকে দেখা যায়। ওয়ার্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর ওই ভবনে থাকা ব্যক্তি নামার কোন পথ না পেয়ে ঝাঁপ দেন ভবনের উপর থেকে। কোন অলৌকিক উপায়ে বেঁচে থাকার আশায় হয়তো………
Tetons and the Snake River; Ansel Adams, 1942

অ্যানসেল অ্যাডামস এর এই ছবিটিকে বলা হয় ‘ন্যাচার ফটোগ্রাফি’র বিখ্যাত ছবিগুলোর একটি। ১৯৪২ সালে তোলা ছবিটি জলবায়ু সংরক্ষণ আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করে। মানুষের সৌন্দর্যবোধকে নাড়িয়ে যায় অবলীলায়। ভয়েজার নভোযান-এ করে যে ১১৫টি ছবি মহাশুন্যে পাঠানো হয়, তার মধ্যে এটি অন্যতম।
Afghan Girl; Steve McCurry, 1984

আফগানিস্থানের যুদ্ধ কাকে কি দিয়েছে তা নিয়ে অনেক তর্ক হতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। রিফিউজি ক্যাম্পের এক কিশোরী মেয়ের চোখের ভয়, ঘৃণা, চিন্তা, কষ্ট সবকিছু কারও চিন্তাশক্তি এলোমেলো করে দিতে যথেষ্ট।
Starving Child Vulture, 1993

পুলিৎজার পুরস্কার জেতা কেভিন কার্টারের সেই বিখ্যাত ছবি! অপুষ্টিতে চলতে পারার শক্তি হারানো এক সুদানি শিশুকে অনুসরণ করছে একটা শকুন। অপেক্ষা করছে শিশুর মৃত্যুর। শেষ পর্যন্ত বাচ্চাটির কী হয়েছিল কেউ না জানলেও এ ছবি তোলার তিন মাসের মাথায় আত্নহত্যা করেন কার্টার। আফ্রিকার দারিদ্র আর যুদ্ধের নৃশংসতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এ ছবি।
The Power of One, 2006

একজন অভিবাসী মহিলা ঠেকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন ইসরাইলী সিকিউরিটি অফিসারদের। লড়াই চালিয়ে যাবার অদম্য ইচ্ছা প্রকাশের এক ছবি।
execution in Kurdish Iran, 1979

১৯৭৯-তে ইরানে কুর্দিদের হত্যার নির্মম দলিল এই ছবি। ছবিটি প্রকাশের সময় ফটোগ্রাফারের নাম গোপন রাখা হয় নিরাপত্তার জন্য। ২৭ বছর পর, ফটোগ্রাফার জাহাঙ্গীর রামজী নাম প্রকাশিত হয়।
The challenger space shuttle disaster, 1986

স্পেস শাটল ‘চ্যালেঞ্জার’ ১৯৮৬ সালে নিক্ষেপনের ৭৩ সেকেন্ডের মাথায় বিস্ফোরিত হয় আটলান্টিক মহাসাগরের উপর। ৭ জন অভিযাত্রীর সবাই নিহত হন। মহাকাশযাত্রার নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যাপকভাবে তুলে আনে এ দূর্ঘটনা।
Stopping Time, 1964

বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় এম.আই.টি.  এর প্রফেসর হ্যারল্ড এডগার্টনের গবেষণার কাজে তোলা একটি ছবি, যা বিখ্যাত করে তোলে ‘হাই স্পিড ফটোগ্রাফি’।
First Black Student, 1957

যে কয়জন মানুষ প্রথম গায়ের রঙ এর উপর ভিত্তি করা শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে প্রথম এসেছিলেন স্কুলে তার একজন ডরোথি কাউন্টস। হ্যারী হার্ডিং হাই স্কুলে তার প্রথম দিন কেমন গিয়েছিল, তার পিছনে অঙ্গভঙ্গী করা মানুষগুলোই তার প্রমাণ। চারদিনের মাথায় স্কুল থেকে তার পরিবার তাকে অপসারণ করে নেয়। কিন্তু, গায়ের রং-কে শিক্ষা পাওয়ায় বাঁধা হতে না দেওয়ার চেষ্টার ছবি এটি।
Man walks on the Moon, 1969

নীল আর্মস্ট্রং এর তোলা এডুইন অলড্রিনের চাঁদে হাঁটার ছবি। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়, এই ছবি তার প্রতীক।
Palestinian father shields son, 2000





ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যের যুদ্ধ প্রতিনিয়ত কেড়ে নেয় জীবন। দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার কী তীব্র চেষ্টা বাবা এবং ছেলের। বাবা জামাল আল দুররাহ এবং ছেলে মুহাম্মাদ আল দুররাহ এর জীবনের সমাপ্তিও ঘটে নীরবেই। এমন হাজারো গল্পের ভিড় থেকেও শান্তি বেরিয়ে আসে না।
বিস্তারিত পড়ুন ... »

ঢাকার মজার কিছু খাবার দোকান এবং ঠিকানা


আমি একজন ভোজনরসিক মানুষ। আমি খেতে খুবই পছন্দ করি। সুযোগ পেলেই আমি ভালো কিছু খাবারের জন্য বেরিয়ে পড়ি। সেই সুবাদে আমি ঢাকা শহরের এমন কিছু দোকানের মুখরোচক খাবার খেয়েছি, যা খেলে যে কোন মানুষের বার বার সেই খাবার খাওয়ার লোভ আসতে বাধ্য। এখন আমি আমার ব্লগার বন্ধুদের কাছে এমন কয়েকটি বাংলা খাবারের দোকানের খাবার এর বর্ণনা করছি, যে সব দোকানে সবারই একবার করে হলেও যাওয়া উচিত মজাদার খাবারের আসল মজা বোঝার জন্য। আমার বিশ্বাস এই দোকানগুলোর আমার উল্লেখিত খাবারগুলো একবার খেলে বারবার খেতে যেতেই হবে…………………………………..
১. “নান্না বিরিয়ানি” এর নাম শুনেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। এই দোকানটির মতো “মোরগ-পোলাও” বাংলাদেশের আর কোন দোকান বানাতে পারে কি না ?? আমি বলতে পারবো না। এই দোকানটির “মোরগ-পোলাও” এর যে স্বাদ তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। অনাসায়ে যে কেও একবৈঠকে দুটি “মোরগ-পোলাও” শেষ করে ফেলতে পারবে। “মোরগ-পোলাও” এর ঝোলের যেই স্বাদ, তা এককথায় অমৃত এর কাছাকাছি। সেই সাথে এই দোকানের বোরহানীটাও মজার।
বর্তমান দাম:- মোরগ-পোলাও = ৮০ টাকা, বোরহানী = ১৫ টাকা।
ঠিকানা:- এই মোট ৪টি শাখা রয়েছে। ৪টি শাখাই পুরনো ঢাকায় অবস্হিত। কিন্তু প্রথম এবং মেইন দোকানটির সাথে এর শাখাগুলোর রান্না এর কিছু পার্থক্য আছে। তাই যারা আসল স্বাদ নিতে চান তারা চলে যান এর প্রথম শাখায়। দোকানটি বেচারাম দেউরীতে অবস্হিত। যেতে হলে যাবেন তারা মসজিদে। সেখান থেকে “নান্না বিরিয়ানি” দেখা যায়। তারা মসজিদে সরাসরি যেতে না পারলে চলে যান কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখান থেকে তারা মসজিদে যেতে ১৫ টাকা রিকশা ভাড়া লাগে।
২. খুবই খুবই মজাদার “কাচ্চি বিরিয়ানী” খেতে চান ? ভুলে যান দামী ফখরুদ্দীন বিরিয়ানী অথবা ষ্টার বিরিয়ানী এর কথা। চলে যান “সুনামী রেস্তোরা”য়। ভাই বিশ্বাস করুন এত মজার “কাচ্চি বিরিয়ানী” আর কোথাও পাবেন কি না ? জানি না। সেরকম একটা “কাচ্চি বিরিয়ানী” পাওয়া যায় এই দোকানে।
বর্তমান দাম:- কাচ্চি বিরিয়ানী = ৮৫ টাকা, বোরহানী ফ্রী।
ঠিকানা:- ধানমন্ডির ঝিগাতলা বাসষ্ট্যান্ড এর বিপরীতে এই রেস্তোরা। ধানমন্ডির ঝিগাতলা বাসষ্ট্যান্ড এ গিয়ে কাউকে বললেই দেখিয়ে দিবে।
৩. “ভোলা ভাই বিরিয়ানি” এই দোকানটির গরুর চাপ এর বিরিয়ানি একবার হলেও খেয়ে দেখবেন। হালকা ঝাল দিয়ে বানানো এই বিরিয়ানী আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে।
বর্তমান দাম:- গরুর চাপ = ৭৫ টাকা, বোরহানী = ১৫ টাকা।
ঠিকানা:- প্রথমে যাবেন খিঁলগাও রেলগেটে। সেখান থেকে খিঁলগাও-গোড়ান এর দিকে যে রাস্তা নেমে গেছে, সেই রাস্তা দিয়ে আস্তে আস্তে ৪-৫ মিনিট হাঁটলেই হাতের বামে দোকানটি দেখতে পাবেন।
৪. “মুক্তা বিরিয়ানি” এই দোকানটির গরুর চাপ এর বিরিয়ানি কিন্তু খিঁলগাও এলাকায় খুবই বিখ্যাত। এই দোকানের গরুর চাপ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর আগুন ঝাল এবং মসলার স্বাদ। আপনাদের ভালো লাগবে আশা করি।
বর্তমান দাম:- গরুর চাপ = ৭০ টাকা, বোরহানী = ১০ টাকা।
ঠিকানা:- গোরান টেম্পুস্ট্যান্ড এর আগে হাড়ভাঙ্গা রোডে।
৫. ভূনা খিচুরী খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। যদি আপনি ঢাকা শহরের সবচেয়ে মজার ভূনা খিচুরী খেতে চান, তাহলে চলে যান “ঘরোয়া হোটেল” এ। এখানে আপনি ঢাকা শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং মজাদার ভূনা খিচুরী পাবেন। দামটা একটু বেশী মনে হলেও খাওয়ার পর এই দাম কিছুই মনে হবে না।
বর্তমান দাম:- ভূনা খিচুরী = ১২০ টাকা, বোরহানী = ২০ টাকা।
ঠিকানা:- শাপলা চত্বর থেকে মধুমিতা সিনেমা হল যাওয়ার সময় মধুমিতা সিনেমা হল এর একটু আগে।
ভালো থাকবেন। আপনার খোজেঁ অন্য কোন মজার খাবার দোকানের সন্ধান থাকলে অবশ্যই জানাবেন।
part 2

বেশ কয়েকদিন আগে ঢাকার বিখ্যাত এবং মজাদার খাবারের কিছু দোকান নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। অনেক ব্লগার ভাইয়া-আপুরা সেই পোষ্টে আরো নানা খাবারের দোকান এর খোঁজ দিয়েছিলেন। এমনকি ঢাকার বাইরের অনেক খাবারের দোকান সম্পর্কেও অনেকে লিখেছিলেন। সব মিলিয়ে অনেক বড় লিস্ট হয়েছে। তাই ভাবলাম সবাই যে যে খাবারের সন্ধান দিলেন তা এক করে ফেললেই তো পারি। এতে আমার নিজের তো বটেই, আমার মতো অনেক ভোজন রসিকদের উপকার। অনেকটা “ বাংলার মিনি ফুড ডিকশনারী ” টাইপের। কাজটি করেই ফেললাম। স্বীকার করছি ঢাকার বাইরের যে খাবারের সন্ধান দেয়া আছে সংখ্যাতে তা অত্যন্ত হাস্যকর। ঢাকার বাইরে মোট ৬৩টি জেলা রয়েছে। সব জেলাতেই রয়েছে নিজস্ব মজার এবং বিখ্যাত খাবার। কিন্তু সেসবের সন্ধান শুধুমাত্র নিজ নিজ এলাকার বাসিন্দারাই দিতে পারেন। যাই হোক এখানে আমার সেই পোষ্টে যত খাবারের সন্ধানসহ লোকেশন দেওয়া হয়েছিলো তা দেয়া আছে। বিশাল বড় তালিকা। আমি তো খুশিতে বাক বাকুম। দেখুন কেমন লাগে……….
ঢাকার মধ্যের খাবার……………..
১. বেচারাম দেউরীতে অবস্হিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ-পোলাও
২. ঝিগাতলার সুনামী রেস্তোরা এর কাচ্চি বিরিয়ানী
৩. খিঁলগাও এর ভোলা ভাই বিরিয়ানী এর গরুর চাপ এবং মুক্তা বিরিয়ানী এর গরুর চাপ, খাসীর চাপ এবং ফুল কবুতর
৪. মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এবং হীরাঝীলের ভূনা খিচুড়ী
৫. হোটেল আল-রাজ্জাকের কাচ্চি+গ্লাসি
৬. লালমাটিয়ার স্বাদ এর তেহারী
৭. নবাবপুর রোডে হোটেল স্টার এর খাসীর লেকুশ, চিংড়ি ,ফালুদা
৮. নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরীতে ৭০টি আইটেমের বুফে
৯. হাতিরপুল মোড়ে হেরিটেজ এর শর্মা
১০. শ্যামলী রিং রোডের আল-মাহবুব রেস্তোরার গ্রীল চিকেন
১১. মোহাম্মদপুর জেনেভা/বিহারী ক্যাম্পের গরু ও খাশির চাপ
১২. মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সামনের বিহারী ক্যাম্পের “মান্জারের পুরি”
১৩. চকবাজারের শাহ সাহেবের বিরিয়ানী
১৪. মিরপুর-১০-এর শওকতের কাবাব
১৫. নারিন্দার শাহ সাহেবের ঝুনার বিরিয়ানী
১৬. ইংলিশ রোডের মানিকের নাস্তা
১৭. গুলশানের কস্তুরির সরমা
১৮. সোবহানবাগের প্রিন্স রেস্টুরেন্ট এর কাকড়া
১৯. সাইন্স-ল্যাবের ছায়ানীড়ের গ্রীল-চিকেন
২০. নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানী
২১. জেলখানা গেটের পাশে হোটেল নিরবের ব্রেন ফ্রাই
২২. নয়া বাজারের করিমের বিরিয়ানী
২৩. হাজি বিরিয়ানী এর উল্টা দিকের হানিফের বিরিয়ানী
২৪. লালবাগের ভাটের মসজিদের কাবাব বন
২৫. মোহাম্মদপুরে সেন্ট জোসেফ স্কুলের গেটে এক মামার চানাচুর মাখা
২৬. বংশালের শমসের আলীর ভূনা খিচুড়ী
২৭. খিলগাঁও বাজারের উল্টো পাশে আল রহমানিয়ার গ্রীল চিকেন আর তেহারী
২৮. মতিঝিল সিটি সেন্টারের পিছনের বালুর মাঠের পিছনের মামার খিচুড়ী
২৯. চানখারপুলের নীরব হোটেলের ভুনা গরু আর ভর্তার সাথে ভাত
৩০. ধানমন্ডী লায়লাতির খাসির ভুনা খিচুড়ী
৩১. হোসনী দালান রোডে রাতের বেলার পরটা আর কলিজা ভাজি
৩২. নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লার বটি কাবাব আর গুরদার
৩৩. পুরানা পল্টনে খানা-বাসমতির চাইনিজ প্যাকেজ
৩৪. বনানীর বুমারস রেস্টুরেন্টের বুফে প্যাকেজ
৩৫. ধানমন্ডির কড়াই গোশত এর ইলিশ সস
৩৬. গুলশান ২ এর খাজানার মাটন দম বিরিয়ানী এবং হাইদ্রাবাদী বিরিয়ানী
৩৭. উত্তরার একুশে রেস্তোরার গ্রীল চিকেন
৩৮. ধানমন্ডি/বনানীর স্টার হোটেলের কাচ্চি এবং কাবাব
৩৯. মৌচাকের স্বাদ রেস্তোরার ভাতের সাথে ৩৬ রকমের ভর্তা
৪০. সাইন্স ল্যাবে মালঞ্চ রেস্তোরার কাচ্চি বিরিয়ানী
ঢাকার বাইরের খাবার…….
১. স্পেশাল শাক ভাজি + ভেটকি মাছ–হোটেল সাজনা, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
২. করাই মাটন+সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস, কাবাব এবং নান, হাইদ্রাবাদী বিরিয়ানী-হোটেল উন্দাল, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
৩. কালাই রুটি– কোর্টের সামনে, রাজশাহী
৪. রুইমাছ ভাজি–কস্তুরি হোটেল, খুলনা
৫. মামুনের চাপ/জনি কাবাব এণ্ড চাপ–চার খাম্বার মোর, যশোর
৬. খুলনার হারুন ভাইয়ের ইলিশ ভাজা
৭. কক্সবাজারের পৌশির ভর্তা আইটেম, নিরিবিলির খিচুড়ি
৮. কলিজার সিঙ্গারা ও খাসির সমুচা—সাহেব বাজার, রাজশাহী
বিঃদ্রঃ = সবগুলোর মধ্যে সেরা খাবার……..
* মায়ের হাতের রান্না করা যেকোন খাবার *
ভালো থাকবেন। আপনার কোন মতামত থাকলে জানাবেন।

http://www.somewhereinblog.net/blog/nmrobin1988/29228531
বিস্তারিত পড়ুন ... »

জার্মানির গোয়েন্দা বিমান ‘ইউরো হক্’

গোয়েন্দা বিমান ব্যবহারে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় জার্মানি৷ তাই গত অক্টোবরে জার্মান বিমান বাহিনী প্রদর্শন করলো নতুন এক গোয়েন্দা বিমান, ইউরো হক্৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই মনুষ্যবিহীন যানটি একনাগারে চলতে পারে ত্রিশ ঘণ্টা৷


দীর্ঘ দশ বছর ধরে পরিকল্পনা এবং উন্নয়নকাজ শেষে জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয় ‘ইউরো হক্'৷ এই গোয়েন্দা বিমানের পাইলট থাকবেন ভূমিতে৷ জার্মানির কোন এক বিমান ঘাঁটিতে বসে কম্পিউটার গেমের মতই নিয়ন্ত্রণ করবেন তাঁর বিমান, যেটি কিনা ভূপৃষ্ঠ থেকে ষাট হাজার ফুট উঁচুতে উড়তে সক্ষম৷ কোন রকম বিরতি বা জ্বালানি ছাড়াই বার্লিন থেকে টোকিও পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারে এই বিমান৷ অবশ্য শুধু ঘোরাঘুরি এই বিমানের কর্ম নয়৷ ময়লা পরিষ্কারের যন্ত্র ‘ভ্যাকুয়াম ক্লিনার'এর মতই কাঙ্খিত লক্ষ্যের সব তথ্য সংগ্রহে অত্যন্ত পারদর্শী ইউরো হক্৷ তথ্য বলতে কোন শত্রুঘাঁটির ছবি, ভিডিও ফুটেজ যেমন সংগ্রহ করবে আকাশের এই গোয়েন্দা, তেমনি কাঙ্খিত এলাকার টেলিফোন কল, মুঠোফোনে দেয়া ক্ষুদেবার্তা, টেলিভিশন ও রেডিওতে প্রচারিত অনুষ্ঠান - সবই একেবারে ছেঁকে নেবে এটি৷একইসঙ্গে সেসব তথ্য পাঠিয়ে দেবে ভূমির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে৷চালকবিহীন মার্কিন ড্রোন বিমানচালকবিহীন মার্কিন ড্রোন বিমান
২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজে নামতে পারে ইউরো হক্৷ ইতিমধ্যে এটি নিয়ে বিস্তর পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে৷ জার্মান বিমান বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল হোলগার নয়মান এই প্রসঙ্গে জার্মান সাপ্তাহিক ডেয়ার স্পিগেলকে জানান, মনুষ্যবিহীন এই ড্রোন বিমানটি অনেকটাই মার্কিন গোয়েন্দা বিমানের মত, যেগুলো এক দশক আগেই সেদেশ ব্যবহার করতে শুরু করেছিল৷
ইউরো হক্ দেখতে মার্কিন গোয়েন্দা বিমানগুলোর মত হলেও প্রযুক্তিগত দিকে থেকে অনেক ব্যবধান রয়েছে৷ এই বিমানগুলোতে জার্মানির তৈরি সেন্সর এবং নজরদারি ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে৷ একটু আগেই বলেছি, ভূপৃষ্ঠ থেকে ষাট হাজার ফুট উপর দিয়ে চলতে সক্ষম এই গোয়েন্দা বিমান৷ ফলে এটি যাত্রাবাহী বাণিজ্যিক বিমানগুলোর জন্য কোন বাড়তি বিড়ম্বনাও তৈরি করবে না৷ কেননা, বাণিজ্যিক বিমানগুলো সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার ফুট উপরে উড়তে সক্ষম৷
এই জার্মান ড্রোন বিমানের কারিগরি দিকে খানিকটা নজর বোলানো যাক৷ স্পিগেল অনলাইন এর তথ্য অনুযায়ী, মনুষ্যবিহীন যানটির ওজন মাত্র ১৫ টন৷ এটি তৈরি করা হয়েছে কার্বন ফাইবার দিয়ে৷ লম্বায় বিমানটি ১৪.৫ মিটার তবে পাখাসহ এটি ৪০ মিটার চওড়া৷ একনাগাড়ের ২৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এই ড্রোন৷ এই ক্ষমতা ব্যবহার করে আফগানিস্তানের মত সংঘাতপ্রবণ এলাকা অনায়াসে পর্যবেক্ষণ করে জার্মানিতে ফিরে আসতে পারবে ইউরো হক্৷ আরো যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য সেটি হচ্ছে, ইউরো হক্'এ ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত উচ্চক্ষমতার সেন্সর৷ ফলে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে কিংবা বালুঝড়ের মধ্যেও দিব্যি নজরদারির কাজ করতে সক্ষম হবে এটি৷
জার্মানির জন্য এবং জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও ইউরো হক্ তৈরি করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়৷ ইউরোপীয়ান অ্যারোনটিক ডিফেন্স ও স্পেস কোম্পানি ইএডিএস এবং একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে গোয়েন্দা বিমানের ইউরোপীয় সংস্করণ তৈরি করেছে৷ চলতি বছরের জুলাই মাসে ‘ইউরো হক্' এর একটি নমুনা বিমান ১০,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জার্মানির ম্যানশিং বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছায়৷ মার্কিন এবং ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞরা এই উড়ালের গতিপথ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন৷
আগামী গ্রীষ্মে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত ইউরো হক্৷ ইতিমধ্যে এগারো জন জার্মান পাইলটকে এই ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ আপাতত পাঁচটি ইউরো হক্ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে বুন্ডেসভ্যার অর্থাৎ জার্মান সশস্ত্র বাহিনী৷ নজরদারির কাজেই মূলত এসব বিমান ব্যবহার করা হবে৷

http://www.dw-world.de/dw/article/0,,15561449,00.html
বিস্তারিত পড়ুন ... »

সত্যজিতের ‘ফেলুদা’ সমগ্র : এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সকল সিনেমা, ইবুক,কমিকস্‌, অডিও নাটক এর মেগা কালেকশন


অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় কেউ সত্যজিতের ফেলুদা পড়েনি এমনটা কখনো শুনা যায় না, কি নেই এতে…রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার, সাসপেন্স সহ আরও অনেক কিছু। বাংলার এই সেরা গোয়েন্দা কাহিনীর মোট ৩৫ টি গল্প আছে, প্রতিটি গল্প পড়ার সময় যেন একধরনের থ্রিলিং তৈরী হয়। এই গল্প গুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত সাতটি সিনেমা তৈরী হয়েছে, এছাড়া রেডিও মিরচী তে এর কিছু গল্প নিয়ে অডিও নাটক হয়েছে। ওয়েব জগতে পাওয়া সকল ফেলুদার ইবুক, কমিকস্‌, নাটক, অডিও নাটকের লিংক দিয়ে দিলাম, তো দেরী না করে ডাউনলোড শুরু করুন B-)
ফেলুদা’র গোয়েন্দাদিরি :
ইবুক 582 KB
অডিও নাটক 54MB
বাদশাহী আংটি :
ইবুক 5.76 MB
শেয়াল-দেবতা রহস্য :
কমিকস্‌ ইবুক 8.6 MB
অডিও নাটক 58.3 MB
গ্যাংটকে গন্ডোগোল :
কমিকস্‌ ইবুক 15 MB
সোনার কেল্লা :
সিনেমা (৪ পার্ট ) 777 MB
বাক্স রহস্য :
ইবুক 3.722 MB
সিনেমা :
পার্ট ১
পার্ট ২
পার্ট ৩
পার্ট ৪
পার্ট ৫
পার্ট ৬
পার্ট ৭
পার্ট ৮ ( 700 MB )
সমাদ্দারের চাবি :
অডিও নাটক 65.56 MB
কৈলাসে কেলেঙ্কারি :
সিনেমা :
পার্ট ১
পার্ট ২
পার্ট ৩
পার্ট ৪
পার্ট ৫ ( 700 MB)
রয়েল বেঙ্গল রহস্য :
ইবুক 4.4 MB
অডিও নাটক 43.48 MB
জয় বাবা ফেলুনাথ :
ইবুক 1.77 MB
সিনেমা ( 8 part) 771 MB
ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা :
ইবুক 1.51 MB
অডিও নাটক 52.23 MB
বোম্বাইয়ের বোম্বেটে :
সিনেমা :
পার্ট ১
পার্ট ২
পার্ট ৩ 450 MB
গোঁসাইপুর সরগরম :
কমিকস্‌ ইবুক 10.49 MB
গোরস্থানে সাবধান :
সিনেমা :
পার্ট ১
পার্ট ২ 350 MB
গোলকধাম রহস্য :
ইবুক 1.68 MB
অডিও নাটক 84.07 MB
নেপোলিয়নের চিঠি :
কমিকস্‌ ইবুক 13.43 MB
টিনটোরেটোর যীশু :
সিনেমা 700 MB
জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা :
কমিকস্‌ ইবুক 10 MB
অডিও নাটক 61.53 MB
এবার কান্ড কেদারনাথে :
কমিকস্‌ ইবুক 4.73 MB
শকুন্তলার কন্ঠাহার :
ইবুক :
পার্ট ১ 1.19 MB
পার্ট ২ 2.71 MB
ডা: মুনসীর ডায়রি :
অডিও নাটক 68.08 MB
সিনেমা 357 MB
লন্ডনে ফেলুদা :
ইবুক 2.36 MB
রবার্টসনের রুবি :
কমিকস্‌ ইবুক 25.34 MB
(ছিন্নমস্তার অভিশাপ + সোনার কেল্লা + ডা: মুনসীর ডায়রি) ইবুক 25.931 MB
অসমাপ্ত ফেলুদা ইবুক 923 KB
(সব ফেলুদা সিনেমা একসাথে) টরেন্ট 5.18 GB
এখানে দেওয়া সকল লিংক নেট থেকে সংগ্রহিত, কোন লিংকে সমস্যা হলে জানাবেন।
হ্যাপ্পী ডাউনলোডি





http://www.somewhereinblog.net/blog/manob_shontan/29447909
বিস্তারিত পড়ুন ... »

২০ নভে, ২০১১

প্রযুক্তির টাইম মেশিন : সিডি বা কমপ্যাক্ট ডিস্ক

বর্তমানে আমরা সিডি অনেক কাজে ব্যবহার করি। কিন্তু পূর্বে সিডি শুধু গান শুনার কাজে ব্যবহার করা হতো। অনেক আগে গান শুনার জন্য প্রধান মাধ্যম ছিল গ্রামোফোন বা কলের গান(vinyl record)। সেই বড় আকারের থালার মত ক্যাসেট কে কিভাবে আরও উন্নত করে আকারে ছোট করবে তা নিয়ে গবেষণা করতো অনেক গবেষকরা। সেই চেষ্টায় আজকের এই সিডি বা কমপ্যাক্ট ডিস্ক(Compact Disk)। আসুন জেনে নেই এই সিডি র জন্ম ইতিহাস ও পথচলার গল্প।

১৯৭০ সালে ফিলিপস কোম্পানি ALP (Audio Long Play) অডিও ডিস্ক সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করে। এই প্রোজেক্ট এর মূল উদ্দেশ্য ছিল লেজার টেকনোলজি ব্যবহার করে ভিনাইল রেকর্ডের (vinyl record) প্রতিদ্বন্দ্বী কিছু উদ্ভাবন করা।

ফিলিপসের অডিও ডিভিশনের পরিচালক লু অটেন্স সর্বপ্রথম পরামর্শ দেন, এক ঘণ্টার মিউজিক সম্বলিত ALP ডিস্ক হবে প্রচলিত ভিনাইল রেকর্ডের চেয়ে ছোট।

প্রথমে ভাবা হয়েছিল এই নতুন ফরম্যাটটির ব্যাসার্ধ হবে ১০ সেন্টিমিটার। ১৯৭৭ সালে ফিলিপস নতুন অডিও ফরম্যাট নিয়ে জোরেশোরে কাজ শুরু করে। অবশেষে ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে বিশ্ববাসীর কাছে উন্মোচিত হয় সিডি বা কমপ্যাক্ট ডিস্ক(Compact Disk) । ঠিক এর এক সপ্তাহ পর এই নতুন ফরম্যাট কে কিভাবে আরও উন্নত করা যায় সেই লক্ষ্যে জাপানের সনি কর্পোরেশনের সাথে চুক্তি করে ফিলিপস।

প্রথমে এক ধন্টার অডিও ধারনক্ষমতা সম্পন্ন ডিস্ক তৈরির কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা ৭৪ মিনিটে উন্নত করা সম্ভব হয়। ১৯৮০ সালে ফিলিপস এবং সনি যৌথ ভাবে  তৈরি করে “রেড বুক” নামের কমপ্যাক্ট ডিস্ক।
১৯৮২ সালে ফিলিপস প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভাবে সিডি প্লেয়ার বাজারে ছাড়ে। এর মূল্য ছিল প্রায় ১০০০ ইউরো। প্রথমদিকে শুধুমাত্র ক্লাসিক্যাল মিউজিক এর অ্যালবামই সিডি আকারে বাজারে ছাড়া হয়। সিডি আকারে প্রথম অডিও অ্যালবাম The Visitors বাজারে ছাড়ে বিখ্যাত ব্যান্ড ABBA .

Download করুন – The Visitors
১৯৮৫ সালে বাজারে আসে Dire Strait এর বিখ্যাত অ্যালবাম Brother In Arms . মূলত এই অ্যালবামটিই সিডি কে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। এই অ্যালবামটি বিক্রি হয় ১ মিলিয়নের চেয়ে বেশি। এমন কি বিক্রির দিক থেকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিডি অ্যালবাম এর নামও  Brother In Arms.

Download করুন – Brother In Arms
২০০০ সালে সারাবিশ্বে সিডির বিক্রির পরিমাণ ছিল প্রায় ১.৪৫৫ বিলিয়ন।
২০০৭ সালে সারাবিশ্বে সিডির বিক্রির পরিমাণ ছিল প্রায় ১.৭৫৫ বিলিয়ন।
২০০৮ সালে সারাবিশ্বে সিডির বিক্রির পরিমাণ ছিল প্রায় ২০০ বিলিয়নের বেশি।
তবে অনলাইনে ডাউনলোডের সুবিধা বেড়ে যাওয়াতে সিডি বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে ব্যাপক হারে।
প্রকৃতিতে যেমন বিবর্তন ঘটছে ঠিক তেমন বিবর্তন ঘটছে প্রযুক্তি বিশ্বেও। এক সময় ফ্লপি ডিস্ক এর খুব প্রচলন ছিল। এখন ফ্লপির যুগ শেষ। ঠিক তেমনি সিডি র পর এলো ডিভিডি। এখন ডিভিডি র পরে আসল ব্লু-রে ডিস্ক। হয়তোবা একদিন প্রযুক্তির ছোয়াতে একদিন সিডি হারিয়ে যাবে। এর পরিবর্তে নতুন কিছু দিয়ে কাজ করবে মানুষ।
এই ছিল সিডি বা কমপ্যাক্ট ডিস্ক এর প্রায় ৩২ বছরের এক পলক।
বিস্তারিত পড়ুন ... »

bdnews24.com - Home

ইরান বাংলা নিউজ

বিবিসি বাংলা

দৈনিক সংগ্রাম