১৪ নভে, ২০১১

ওদের নিয়ে কেন স্বপ্ন দেখব না?

'তরুণ প্রজন্ম' বললেই আমাদের চোখে টি-শার্ট পরা সুদর্শন কিছু তরুণ ও উজ্জ্বল রঙের ফতুয়া পরা হাসিখুশি কিছু তরুণীর চেহারা ভেসে ওঠে। আমাদের দেশে মোবাইল ফোন আসার পর কোম্পানিগুলো পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে, আর এ বিজ্ঞাপনের কারণেই সম্ভবত তরুণ-তরুণীদের এ ছবি আমাদের মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি অবশ্য বিজ্ঞাপনের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে কাছাকাছি বাস করি, তাই মাঝেমধ্যেই আমি ভুলে যাই যে ছবিটি সম্পূর্ণ নয়।
সৌদি আরবে মাত্র কয়েক দিন আগে আটজন বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ করা হয়েছে (খোদা যেন আমার ওপর করুণা করেন, জীবনে আর কোনো দিন যেন আমাকে এ শব্দটি লিখতে না হয়), পত্রপত্রিকায় তাঁদের যে বয়স লেখা হয়েছে, তাতে তাঁদের কিন্তু আমাদের তরুণ প্রজন্মের মাঝেই ফেলতে হবে। বাংলাদেশের ঠিক কতজন মানুষ প্রবাসে আছেন, এর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। ৬০ থেকে ৮০ লাখ, এ রকম একটা সংখ্যা শুনে থাকি। এই বিশালসংখ্যক মানুষের একটা বড় অংশ আমাদের তরুণ প্রজন্মের অংশ, আমি তাঁদের নিয়ে কোনো স্বপ্ন দেখতে পারি না। আমি জানি, অত্যন্ত অল্প কিছু
অর্থের জন্য তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যযুগীয় দেশে পরিবার-পরিজন ছাড়া নিঃসঙ্গ একধরনের জীবন যাপন করেন। এ দেশের অর্থের সবচেয়ে বড় অংশটুকু তাঁদের শ্রম দিয়ে আসে। কিন্তু এ দুর্ভাগা মানুষগুলোর জন্য এ দেশের সরকারের বিন্দুমাত্র মমতা নেই। সৌদি আরবে আটজন বাংলাদেশির নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের পর আমাদের পররাষ্ট্রসচিব ঘোষণা দিয়েছেন, সবকিছু ঠিকভাবে হয়েছে। আমরা আমাদের কমনসেন্স দিয়ে জানি, ভয়ংকর একটি অবিচার হয়েছে, টুকরো টুকরো ঘটনার যেসব ছিটেফোঁটা আমাদের পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে, সেখান থেকে আমরা কোনোভাবেই হিসাব মেলাতে পারি না। বিদেশের মাটিতে কষ্ট করে বেঁচে থাকা এই বিশাল তরুণ প্রজন্ম নিয়ে আমার ভেতরে কোনো স্বপ্ন নেই, কিন্তু দুঃখ, বেদনা ও ক্ষোভ আছে।
বাংলাদেশের অর্থের জোগান দেওয়ার জন্য প্রবাসী শ্রমিকের পরপরই যাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁরা হচ্ছেন আমাদের গার্মেন্টসের মেয়েরা। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির কাজ শেষ হওয়ার পর দল বেঁধে যখন এই মেয়েরা কথা বলতে বলতে হাসতে হাসতে তাঁদের ঘরে ফিরে যেতে থাকেন, যারা তাঁদের দেখেছে তারা সবাই জানে, এ মেয়েগুলোর প্রায় সবাই কম বয়সের তরুণী। আমাদের দেশের যাঁরা বড়লোক, তাঁদের সবারই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে এবং তাঁরা সবাই আমাদের এ মেয়েগুলোকে শোষণ করে বড়লোক হয়েছেন। শুধু যে শোষণ করেছেন, তা-ই নয়, তাঁদের মানুষ হিসেবেই বিবেচনা করেননি। আমার মনে আছে, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যাওয়া একটি নিয়মিত ঘটনা ছিল। মৃত্যুর পর তাঁদের প্রাণহীন দেহগুলো সারি সারি ফেলে রাখার দৃশ্যগুলো খবরের কাগজে ছাপা হতো, সেই দৃশ্যগুলো দেখে আমরা হতবাক হয়ে যেতাম। কিন্তু তার পরের অংশটুকু ছিল আরও অনেক ভয়াবহ। আমার স্পষ্ট মনে আছে, খবরের কাগজে ছাপা হয়েছে, মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণ হিসেবে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আড়াই হাজার টাকা করে দিয়েছে। এত অল্প দামে মানুষের প্রাণ কিনে নেওয়ার রেকর্ড পৃথিবীর আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির এ মেয়েগুলো আমাদের তরুণ প্রজন্ম, কিন্তু তাঁদের নিয়েও আমি কেন জানি কোনো স্বপ্ন দেখতে পারি না।
কিছুদিন আগে কর্মজীবী নারীদের নিয়ে একটা বই বের হয়েছে। অত্যন্ত চমৎকার একটা বই। বাংলাদেশের মেয়েরা শিক্ষা, গবেষণা, সংস্কৃতি—এ ধরনের নানা বিষয়ে কী ধরনের কাজ করছে, কী অবদান রাখছে, তার ওপর চমৎকার প্রবন্ধ। কিন্তু গার্মেন্টসের মেয়েদের নিয়ে একটি লাইনও লেখা নেই! তাঁদের জীবনটুকু নিশ্চয়ই এ দেশের অন্য নারীদের জীবনের তুলনায় এত তুচ্ছ যে একটি গবেষণা গ্রন্থের পৃষ্ঠায় তাঁদের কথা উঠে আসার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা দেশের নারীদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন, তাঁরাই যদি তাঁদের হিসাবের মধ্যে না ধরেন, আমি কেমন করে এসব প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখব?
ইদানীং গাড়ি দুর্ঘটনা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। সবাই জানে, এর বড় কারণ ড্রাইভারদের দায়িত্বহীনতা। পরিবহন-শ্রমিকদের নেতা, যিনি ঘটনাক্রমে একজন মন্ত্রী, তিনি অবশ্য তাঁর পুরো বাহিনী নিয়ে দেশে আন্দোলন করে চলেছেন। খুব মোটা দাগে তাঁর আন্দোলনের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা যায় যে তাঁরা গাড়িচাপা দিয়ে পথচারী যাত্রীদের মেরে ফেলার একটা লাইসেন্স চান। এ ব্যাপারে আরেকজন প্রতিমন্ত্রীও যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। তিনি বলে দিয়েছেন, প্রতিটি মৃত্যু পূর্বনির্ধারিত, তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর সঠিক সময়ে মারা গিয়েছেন (অর্থাৎ বেপরোয়া ড্রাইভারদের কোনো দোষ নেই, তাঁরা আল্লাহর ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করে সম্ভবত সঠিক কাজটি করেছেন)। সবকিছু মিলিয়ে একটা জটিল অবস্থা এবং যাঁরা আমার পরিচিত, তাঁরা কেউ আমাকে রাস্তায় গাড়িতে করে সিলেট থেকে ঢাকায় যেতে দেন না। তাই ইদানীং আমি ট্রেনে যাতায়াত করি। ট্রেনে যাতায়াত করায় আমি ইদানীং আরও একধরনের তরুণ প্রজন্মকে নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। তাদের স্কুল-কলেজে পড়ার কথা, কিন্তু তারা মাথায় কলার ঝাঁকা নিয়ে কলা বিক্রি করে, প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে পপকর্ন বিক্রি করে, বগলে খবরের কাগজ চেপে ধরে খবরের কাগজ বিক্রি করে। তাদের কারও কারও কী অসম্ভব মায়াকাড়া চেহারা! দেখে মনে হয়, পরিপাটি করে সাজিয়ে তাদের কোনো একটা গাড়িতে তুলে দিলে কেউ বুঝতেই পারবে না যে সে একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যাচ্ছে না! এই তরুণ প্রজন্ম বড় হয়ে কী করবে? একটি কিশোরের কি কলা বিক্রি করে করে বড় হওয়া সম্ভব? সেই কিশোরটি কী স্বপ্ন দেখে? আমি কি তাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারি?
বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছেলেমেয়েরা ভাষা আন্দোলন নিয়ে একটা আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেছিল। আমি আর আমার স্ত্রী সেটা দেখতে গিয়েছিলাম। বড় বড় ছবি দেখতে দেখতে আমার স্ত্রী আমাকে বলল, 'একটা জিনিস লক্ষ করেছ?' আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী জিনিস? আমার স্ত্রী বলল, 'ভাষা আন্দোলনে কত মেয়ে! কিন্তু একটি মেয়েও বোরকা পরে নেই, একটি মেয়েও হিজাব পরে নেই।' আমি তাকিয়ে দেখি, তার কথা সত্যি। ষাট বছর আগে এ দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের বোরকা পরতে হতো না, এখন মেয়েদের বোরকা পরতে হয়। ষাট বছর আগে এ দেশের মেয়েরা ধর্মহীন ছিল, এখন মেয়েরা ধর্মভীরু হয়ে গেছে—আমি সেটা বিশ্বাস করি না। যাঁরা জ্ঞানীগুণী গবেষক, তাঁরা প্রকৃত কারণটি খুঁজে বের করবেন। আমি সোজাভাবে বিষয়টি এভাবে দেখি, যে সমাজে পুরুষ আর নারী সমান সমানভাবে পাশাপাশি থেকে কাজ করে, সেই সমাজকে মৌলবাদীদের, ধর্ম ব্যবসায়ীদের খুব ভয়। তাই মেয়েদের ঘরের ভেতর আটকে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। একান্তই যদি ঘরের ভেতর আটকে রাখা না যায় অন্তত বোরকার ভেতর আটকে রাখা যাক।
আমাদের সমাজে মেয়েদের পিছিয়ে নেওয়ার এ পরিকল্পনাটুকু কারা করেছে, তারা কীভাবে কাজ করেছে, গবেষকেরা সেগুলো বের করতে থাকুন। কিন্তু আমরা জানি, এ কাজ করেছে পুরুষেরা। কক্সবাজারের পথে একবার হঠাৎ একটি মেয়ের সঙ্গে দেখা। মেয়েটি বলল, 'স্যার, আমি আপনার ছাত্রী।' আমি খুবই অপ্রস্তুত হলাম, নিজের ডিপার্টমেন্টের একটা ছাত্রীকে আমি চিনতে পারছি না। আমি এত বড় গবেট! ছাত্রীটি তখন নিজেই ব্যাখ্যা করল। বলল, 'স্যার, আমি তো ডিপার্টমেন্টে বোরকা পরে যাই, তাই আপনি চিনতে পারছেন না।' আমি তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। ক্লাসে যার শুধু এক জোড়া চোখ দেখেছি, তাকে আমি কেমন করে চিনব? কিন্তু গত ৫০ বছরে যে মেয়েদের একটি প্রজন্মকে ঘরের ভেতর আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, সেই প্রজন্মকে নিয়ে আমরা কী স্বপ্ন দেখব?
পাকিস্তান নামক দেশটি লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে। সেই দেশে জঙ্গিদের ভয়াবহ একটা উত্থান হয়েছে। ভয়ংকর ভয়ংকর কাণ্ড করার জন্য তারা যাদের ব্যবহার করে, তাদের বেশির ভাগই কিন্তু তরুণ। আমাদের দেশেও এর চেষ্টা করা হয়েছিল। জোট সরকার তাদের উৎসাহ দিয়ে খাল কেটে কুমির ডেকে এনেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার খাল কাটা বন্ধ করেছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার খাল বুজিয়ে কুমিরগুলোকে বংশবৃদ্ধি করতে দিচ্ছে না। আমাদের দেশে পাকিস্তানি সর্বনাশ ঘটতে পারেনি, কিন্তু তার পরও আমরা হঠাৎ হঠাৎ দেখতে পাই, হিজবুত তাহ্রীর বা তাদের সমমনা সংগঠন ঝটিকা মিছিল করছে, আমি তখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তাদের চেহারাগুলো দেখি। সবাই কম বয়সী তরুণ। যেভাবেই হোক, তরুণ প্রজন্মের একটা অংশকে মৌলবাদে দীক্ষা দেওয়া হয়েছে, সেই তরুণদের সংখ্যা কত? মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জন্য তাদের মমতা নেই, ৩০ লাখ মানুষ হত্যাকারী পাকিস্তানের জন্য এখনো তাদের ভেতর মমতা কেমন করে বেঁচে আছে? যুদ্ধাপরাধীদের জন্য তাদের এত ভালোবাসা কেন? এই তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আমরা কী স্বপ্ন দেখব?
শিক্ষানীতি করার কমিটিতে অন্যদের সঙ্গে আমিও ছিলাম। সেখানে অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে মাদ্রাসার লেখাপড়াটাকেও আধুনিক করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। লেখাপড়ার ব্যাপারে মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরা যে বৈষম্যের মধ্যে পড়ে, সেটা দূর হয়ে যাওয়ার কথা। যত উৎসাহ নিয়ে শিক্ষানীতি করা হয়েছে, এত উৎসাহে সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা দেখেছি, শিক্ষা খাতে টাকাপয়সাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজেই ভবিষ্যতে কী হবে, আমরা জানি না। যা-ই হোক, ভবিষ্যতে কখনো হয়তো মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরা ঠিকভাবে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে, কিন্তু তার পরও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ব্যাপারটা কিন্তু এখনো অমীমাংসিতই থেকে গেল। তারা মূলধারায় আসতে চাইছে না। যদি না আসে, তাহলে তারা কওমি মাদ্রাসার লেখাপড়া শেষ করে কী করবে? তারা সমাজকে কী দেবে? দেশকে কী দেবে? আমরা এ মুহূর্তে তাদের নিয়ে কী স্বপ্ন দেখব?
উচ্চশিক্ষা বললেই আমাদের চোখে দেশের আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছবি ভেসে ওঠে। আমরা ভুলে যাই যে আসলে এ দেশে সবচেয়ে বেশি ছাত্রছাত্রীর উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি, তার নাম 'ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি' বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা কি জানি, বড় বড় হাইফাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যখন তাদের চাকচিক্য নিয়ে সাঁই সাঁই করে ওপরে উঠে যাচ্ছে, তখন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী (হ্যাঁ, হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ) ধুঁকে ধুঁকে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কী চরম অবহেলায়, শিক্ষক ছাড়া, ক্লাসরুম ছাড়া, কোনো ধরনের মমতা ছাড়া আমরা কত লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবনটুকু নষ্ট করে দিচ্ছি! আমরা আমাদের এ তরুণ প্রজন্ম নিয়ে কী স্বপ্ন দেখব, কেউ কি বলে দেবে?
আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন অসম্ভব সৌভাগ্যবান মানুষ। আমি যে কাজগুলো করতে সবচেয়ে ভালোবাসি, সারাটি জীবন সে কাজগুলোই করার সুযোগ পেয়েছি। আমার চমৎকার সব সহকর্মী, তরুণ প্রজন্মের বিশাল একটা অংশের সঙ্গে আমার যোগাযোগ। তাদের নিয়ে আমরা গণিত অলিম্পিয়াড করি, ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড করি, সায়েন্স অলিম্পিয়াড করি (দাবা অলিম্পিয়াড প্রথমবারের মতো শুরু করার একটা দুঃসাহসিক পরিকল্পনা করা হয়েছে), মোবাইল টেলিফোনে ভর্তি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ফেলি, নতুন নতুন কাজ করার স্বপ্ন দেখি। সবকিছু করার পরও আমার বুকের ভেতর কোথায় যেন টনটন করতে থাকে। দেশের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান তরুণ প্রজন্মের একটা ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে আমাদের সবার স্বপ্ন, আমাদের উচ্ছ্বাস, আমাদের গর্ব আর অহংকার।
অন্যরা কী দোষ করেছে? তাদের নিয়ে আমরা কোনো দিন স্বপ্ন দেখব না, এটা কেন এত সহজে আমরা মেনে নিলাম?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল: লেখক। অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মূল লিঙ্কঃ http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-11-04/news/199007

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

bdnews24.com - Home

ইরান বাংলা নিউজ

বিবিসি বাংলা

দৈনিক সংগ্রাম