তারেক অণুকে খুন করে গুম করে ফেলার ইচ্ছা যে আমার একারই হয়না সেইটা
জানি। প্রত্যেকদিন সচলের পাতা খুললেই দেখি ঝর্ণার সামনে দাড়িয়ে ৪২ দন্ত
বিকশিত একটা মুখের ছবি। তার পাশে আগামেনন বা রাশেদ খান মেনন কোন একটা কিছুর
মুখোশ নিয়ে, নয়তো কোন বন জঙ্গলে যাওয়া নিয়ে আর নয়তো কোন অশ্লীল
জাদুঘরে গিয়ে অশ্লীল সব দেব দেবীর অশ্লীল সব মূর্তি নিয়ে অশ্লীল কোন
লেখা। কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়। এই ভেবে মনকে সান্ত্বনা দেই, ছোকরা পুরাই
বখে গেছে। আমরা যখন বই পুস্তক খুলে জ্ঞানার্জনের মতো মহৎ কাজ করছি তখন সে
পড়াশোনা বাদ দিয়ে অ্যাপোলো আর আফ্রোদিতির ন্যাংটো মূর্তি দেখতে ব্যস্ত।
তারপরেও মনের দুঃখ কমে না। তাই ভাবলাম দুঃখ কমাতে আমিও একটা ভ্রমণ কাহিনী
লিখি। এতো শত ইতিহাস মিতিহাশ তো জানিনা, ওইগুলা বরং পাঠকের হাতে ছেড়ে
দিলাম। কই গেলাম, কি দেখলাম আর কি হলো এইসবের মধ্যেই আমার ভ্রমণ কাহিনী
সীমাবদ্ধ থাকবে। ওইসব জায়গার বিস্তারিত ইতিহাস জানতে www.google.com এ যান। যদি মেজাজ খারাপ করতে চান তাইলে অবশ্য www.bing.comএও যেতে পারেন।



গাছের চিপা দিয়ে আবারও দেখা যায় ঝর্ণা।


মারিপসা গ্রোভে যাবার রাস্তা, যেই ছয়টা নিতম্ব দেখা যাচ্ছে তার দুইটা আমার।

মারিপসা গ্রোভ এ আছে ইয়া বড় বড় সিক্যুয়া বৃক্ষ। ওই যে দেখেন ছবি। সামনে বেকাতেরা হয়ে পোজ দিয়ে এক ভদ্রমহিলা দাড়ায়ে আছে যে কিনা আমার জীবন হালুয়া বানিয়ে যাচ্ছে।

ঐযে একজন সিক্যুয়া চিৎপটাং হয়ে পরে আছে। গুড়ির সাইজ বিশাল। মেজাজ খারাপ হলে কাউকে আইক্কায়লা বাঁশ না দিয়ে সিক্যুয়ার গুড়ি দিতে পারেন।












ফিরে আসার সময় হটাৎ একরাশ মেঘ রাস্তায় নেমে এলো। প্রথমে ভেবেছিলাম কুয়াশা, পরে দেখি সত্যিকারের মেঘ।

যারা আম্রিকা আছেন, তাদেরকে বিনাপয়সায় ঘুরার একটা ভালো বুদ্ধি দেই।
বিভিন্ন চাকরীতে অ্যাপ্লাই করে “on-site” ইন্টার্ভিউ বাগানোর চেষ্টা করুন।
বাগাতে পারলে বগল বাজাতে বাজাতে কোম্পানির খরচে বিমানে চড়ে বসুন। কোনমতে
দাঁত মুখ খিঁচিয়ে ইন্টার্ভিউ এর দিনটা কাটিয়ে দিন। আপনাকে ইন্টার্ভিউ এর
নামে দশ বারোজন লোক সারাদিন ধরে উপুর্জুপুরি ইয়ে করবে, ওইটাকে অতো গুরুত্ব
দেয়ার কিছু নেই। পরেরদিন থেকে আপনি মুক্ত মানব। দিব্যি কয়েকটাদিন ঘুরে
টুরে ইন্টার্ভিউ এর ব্যথা কমিয়ে ফেলা যায়। আমি গতবছর এভাবে তিনবার
ক্যালিফোর্নিয়া, একবার ম্যাসাচুসেটস, একবার আইডাহো ঘুরে এলাম। ব্যবসা খুব
একটা খারাপ হয় নাই। । তখন আমার PhD এর কাজ প্রায় শেষ। অপেক্ষা করছি
প্রোফেসর কবে “যা ব্যাটা যা, জিলে তেরি জিন্দেগী” বলে আমার হাত ছেড়ে
মুক্তি দিবে। কিন্তু PhD এর শেষ বর্ষের ছাত্র প্রোফেসরদের কাছে অনেকটা
সোনার ডিমপাড়া হাঁসের মতো। ধরে একটু চাপ দিলেই কুৎ করে একটা জার্নাল পেপার
নামিয়ে দেয়। এইজন্য আমার প্রোফেসরও ছাড়তে একটু টালবাহানা করছিলো। আমিও
সেই সুযোগে একের পর এক পচা ডিম প্রসব করে যাচ্ছি, আর ফাঁকে ফোকরে চাকরীর
ইন্টার্ভিউ এর নামে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছি। বছরের শুরুতেই গেলাম
ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে তে। শেষ মুহূর্তে স্ত্রী “চলেছ একেলা কোথায়, পথ
খুঁজে পাবে নাকো” বলে লেজ ধরে ঝুলে পড়লো। সাধারণত কোম্পানিগুলো দুই বা
তিন দিনের থাকা, খাওয়া এবং যাওয়া আসার সব খরচ বহন করে। সিলিকন ভ্যালীর
স্বর্ণযুগে নাকি পরিবারের জন্যও একটা টিকেট ফ্রি দিতো।
ইন্টার্ভিউ এর দিন কি হলো সেই গল্প না হয় আরেকদিন করবো। সান হোসে
থেকে সান ফ্রান্সিসকো আধা ঘণ্টার পথ। ইন্টার্ভিউ শেষ করে সান ফ্রান্সিসকো
একটু ঘুরে আসলাম। ছবিগুলা সব সনির একটা ভাঙ্গাচোরা ক্যামেরাতে তোলা। এতো
করে বললাম স্ত্রীকে, সনি কোম্পানি ক্যামেরা বানাতে পারেনা। কয়েকবছরের
মধ্যে ওদের ক্যামেরা ব্যবসা লাটে উঠলো বলে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ঐযে
দেখেন ঐতিহাসিক গোল্ডেন গেট ব্রিজের ছবি। দেখে বলেন এই ক্যাটক্যাটা লাল
রঙের ব্রিজের মধ্যে দেখার কি আছে? আমাদের খিলগাঁও ফ্লাইওভার এর চেয়ে কোন
অংশে কম?

এরপরে গেলাম Fisherman’s Wharf বলে বে এর পাশে একটা গুলিস্তান টাইপের
জায়গায়। এইখানে হচ্ছে না এমন কোন তামশা নাই। কেউ গান গায়, কেউ ছবি আঁকে,
কেউ প্যাঁ পো করে বাদ্য বাজনা বাজায় আর কেউ রংটং মেখে নৃত্য করে পয়সা
কুড়াচ্ছে। রাস্তার পাশে চিংড়ি টিংড়ি সহ নানা কিছু ভাজা পোড়া বিক্রি
হচ্ছে। ভিড় আর ঠ্যালাঠেলি পছন্দ করলে সান ফ্রান্সিসকো আপনার স্বপ্নের শহর।
স্ত্রী দীর্ঘকাল লন্ডনের ভিড় আর ঠেলাঠেলি করে অভ্যস্ত। সান ফ্রান্সিসকো
এসে তার মন চরম উদাস হয়ে যায়। আমি কবিসাহিত্যিক মানুষ। আমার পছন্দ
নির্জনতা, চিপাচুপা। তাই ঠিক করি পরদিন ইয়োসেমেটি ন্যাশনাল পার্কে যাবো।
যারা কখনো ন্যাশনাল পার্কে যাননি, তাদের কাছে মনে হতে পারে পার্কে আবার
দেখার কি আছে। রমনা পার্ক থেকে কতই বা ভিন্ন হবে। ন্যাশনাল পার্কের নেগেটিভ
দিক হচ্ছে এইখানে চা, বাদাম বা ঝালমুড়ির কোনটাই পাওয়া যায় না। সেইসাথে
গাছ পালার চিপায় চুপায় রোমান্টিক দৃশ্যও দেখা যায় না। আর পজিটিভ দিক
হচ্ছে এর আকার এবং সৌন্দর্য। ইয়োসেমেটি আকারে ৩০০০ বর্গ কিমি এর চেয়ে
একটু বেশী, তুলনায় আমেরিকার রোড আইল্যান্ড ষ্টেট থেকে খানিক বড়। (এই
মাত্র গুগল করে এই তথ্য বের করলাম, ভাবলাম একটু তথ্য মথ্য না দিলে লেখা
হালকা লাগবে)।
সান হোসে থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার রাস্তা ইয়োসেমেটি। যাবার পথ
অতীব মনোরম। পথের দুপাশে চেরি, কমলা আর আঙ্গুরের ক্ষেত দেখা যায়। একটু পর
পর ছোট সাইজের টং দোকানের মতো পাওয়া যায় যেখানে ক্ষেতের ফ্রেশ জিনিস তুলে
বেচা হচ্ছে। আমরা চেরি কিনে চিবুতে চিবুতে ইয়োসেমেটির দিকে চললাম। শেষ
একঘণ্টার পথ আমাদের রাঙ্গামাটির মতো পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা এক লেনের
রাস্তা। আমি এমনিতেই ভদ্র ড্রাইভার, তার উপর একটু পর পর স্ত্রীর
চ্যাঁচামেচির কারনে আরও শম্বুক গতিতে গাড়ী চালাচ্ছি। পেছনের গাড়ী বিরক্ত
হয়ে হয়ে একসময় রং সাইডে উঠে আমাকে অতিক্রম করলো। যাবার সময় বলে গেলো,
ফাঁক ইউ। আমিও চেঁচিয়ে বললাম, ফাঁক ইউ টু উপুর্জুপুরি ইন দা নেয়ারবাই
চেরি ফিল্ড।
ইয়োসেমেটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু হচ্ছে এর ঝর্ণা। না সাইজের ছোট
বড় ঝর্ণা চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। শুরুতেই চোখে পড়লো এটা। ইয়োসেমেটি
ভ্যালীর একাংশ, পেছনে এক ঝর্ণা। খুব আহামরি কোন কিছু না। উপর থেকে গড়ায়ে
পানি পড়ে। আরে পানির তো জন্মই হইছে পড়ার জন্য। এ আর এমন কি।


গাছের চিপা দিয়ে আবারও দেখা যায় ঝর্ণা।


মারিপসা গ্রোভে যাবার রাস্তা, যেই ছয়টা নিতম্ব দেখা যাচ্ছে তার দুইটা আমার।

মারিপসা গ্রোভ এ আছে ইয়া বড় বড় সিক্যুয়া বৃক্ষ। ওই যে দেখেন ছবি। সামনে বেকাতেরা হয়ে পোজ দিয়ে এক ভদ্রমহিলা দাড়ায়ে আছে যে কিনা আমার জীবন হালুয়া বানিয়ে যাচ্ছে।

ঐযে একজন সিক্যুয়া চিৎপটাং হয়ে পরে আছে। গুড়ির সাইজ বিশাল। মেজাজ খারাপ হলে কাউকে আইক্কায়লা বাঁশ না দিয়ে সিক্যুয়ার গুড়ি দিতে পারেন।

রাতে থাকা হলো ইয়োসেমেটির একদম কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত curry
village এর তাবুতে। কোন তরকারির কারনে না বরং David Curry প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন বলে এর নাম curry village। দুই পাশে পাহাড় ঘেরা একটা বন, সেখানেই
গাছের ফাঁকে ফাঁকে তাবু বসানো হয়েছে। কোন ইলেক্ট্রিসিটি নেই, তাবুর ভেতরে
শুধু ব্যাটারি চালিত একটা বাতি দেয়া আছে।

ভেতরে গিয়ে দেখি প্রতিটা ক্যাম্প খাটের উপর ৬ টা করে রিলিফের কালো
কম্বল রাখা। এতো কম্বল কেন দিয়ে রেখেছে সেটার জন্য এদের বুদ্ধি নিয়ে আমরা
কিছুক্ষণ হাসাহাসি করলাম। মাঝরাতে হাসি বন্ধ হয়ে গেলো। রাত তিনটায় ঘুম
ভেঙ্গে গেলো, দেখি খাট ভয়ানক ভাবে কাঁপছে। ভাবলাম ভূমিকম্প নাইলে ভালুক,
পরে দেখি খাট কাঁপে না আমি কাঁপি ঠাণ্ডায়। কম্বলের সংখ্যা বাড়াতে বাড়াতে
ছয়টাই গায়ের উপর দিলাম, তাও কাঁপুনি থামে না। মার্চ মাস, দিনের বেলা
হালকা ঠাণ্ডা ছিলো। এতো উঁচুতে রাতের বেলা যে তাপমাত্রা কত দ্রুত নামতে
পারে আমাদের ধারনা ছিলোনা।
সকালে উঠে গেলাম মিরর লেকে। মিরর লেকের নাম কেন মিরর লেক এই ছবি দেখলেই বোঝা যাবে।

মিরর লেক, ইয়োসেমেটি ভ্যালী, মারসেড রিভারের তীর সহ বেশ কিছু স্পটে
সারাদিন অনেক প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার ক্যামেরা তাক করে বসে থাকে। অপেক্ষা করে
সূর্যাস্ত, সূর্যোদয় বা মেঘ-রৌদ্র মিলে কোন আলোছায়ার খেলা হবার। পছন্দ
হলে ফটাফট শাটার চলতে থাকে। ফটোগ্রাফারদের জন্য ইয়োসেমেটির মতো জায়গাগুলো
রীতিমতো স্বর্গরাজ্য। আমি ফটোগ্রাফার না। বরং ভ্রমনে অতিমাত্রায় শাটার
টেপাটেপিতে বিরক্তই হই। প্রকৃতি আমাদের যেই দুইটা চোখ আর একটা মস্তিস্ক
দিয়েছে, এর চেয়ে ভালো ক্যামেরা আর মেমরি কার্ড কিই বা হতে পারে। বেশীরভাগ
জায়গাগুলো তবুও চক্ষু মেলিয়া না দেখে ক্যামেরা মেলিয়া দেখা হয়। তবে
সৌন্দর্য উপভোগের একটা সীমা আছে। দুঃখ, কষ্ট, হতাশা, ভালোবাসার মতো একটা
সীমার পর মস্তিস্ক একসাথে আর বেশী সৌন্দর্য গ্রহন করতে পারেনা। হাই তুলে
বলতে হয়, বা বা খুবই সুন্দর। ইয়োসেমেটিতে দ্বিতীয় দিনের শেষে আমার
সেরকমই মনে হতে থাকে। ইয়োসেমেটির মতো জায়গায় গেলে দরকার অন্তত এক সপ্তাহ
থাকা। তারপর তাড়িয়ে তাড়িয়ে এর সৌন্দর্য উপভোগ করা।








ফিরে আসার সময় হটাৎ একরাশ মেঘ রাস্তায় নেমে এলো। প্রথমে ভেবেছিলাম কুয়াশা, পরে দেখি সত্যিকারের মেঘ।

আসার পথে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটলো। ইয়োসেমেটি থেকে বের হয়ে আবার সেই
এক ঘণ্টার মতো আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় শম্বুক গতিতে গাড়ী চালানো।
সেটার পরে হাইওয়েতে উঠে একটু শান্তি। সেখানেই একটু উত্তেজনার বশে গাড়ির
গতি সামান্য বেশী হয়ে গিয়েছিলো। প্যাঁ পোঁ করতে করতে এক মামী পুলিশ এসে
ধরল। আমি ভাবলাম ধমক দিবে, তা না করে আমার দিকে মিষ্টি হাসি দিয়ে ক্যালাতে
ক্যালাতে বলে, হোয়াটস সো হারি। আমিও করুন হাসি দিয়ে বললাম, লুকিং ফর
রেস্ট এরিয়া, আর্জেন্ট! বলা বাহুল্য এই খেলো যুক্তি মামীর মন ভেজাতে পারলো
না। আমাকে টিকেট ধরিয়ে দিলো। স্ত্রী পুরা সফরে কানের কাছে ভেঁপু বাজিয়ে
গেছে। অতো জোরে যাও কেন, সামনে বাঁক গতি কমাও, ওই কোনায় বরফ জমে আছে।
পুরাই জীবন্ত জিপিএস, খালি কোন মিউট বাটন নাই। আর কাজের সময়ই সে কিছু করতে
পারলো না। বাসায় ফিরে আসার কিছুদিন পরে টিকেটের জরিমানার পরিমাণ জানতে
পারলাম। মাত্র ৪৩০ ডলার। আক্কেল সেলামি একেই বলে। জীবনে প্রথমবারের মতো
বাংলাদেশের পুলিশকে মহান মনে হলো। ওরা ধরলে না হয় দু চার ঘা দিয়ে বা
বড়জোর চাপাতি দিয়ে দুই একটা কোপ দিয়ে ছেড়ে দিতো। মিষ্টি হেসে ৪৩০
ডলারের সেলামি তো ধরিয়ে দিতো না। যাই হোক, এই ভেবে মনে শান্তি পেলাম
আর্নল্ড বেকুবটা ক্যালিফোর্নিয়ার আসলেই বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গেছে। ইকনমি
নড়বড়ে। আমার টাকায় যদি বেচারাদের মন্দা যদি কিছু দূর হয় মন্দ কি। ফিতরা
হিসেবেই দিলাম না হয়।
যাইহোক, আমার আজিকার ভ্রমণ কাহিনী এখানেই শেষ। বেশ সিরিয়াস ভাবে লেখার
চেষ্টা করেছি কিন্তু। কোন রকমের রসিকতা না করে। এইবার বলেন আমার ভ্রমণ
কাহিনী তারেক অণুর মতো হয় নাই? না হইলেও সমস্যা নাই, চেষ্টা করে যাবো।
আপনাদের সবার যাদের নিজের জীবনের প্রতি ঘেন্না ধরে গেছে তারেক অণুর ভ্রমণ
কাহিনী পড়তে পড়তে তাদেরকেও আমন্ত্রণ জানাই। সবাই মিলে ভ্রমণ কাহিনী লেখা
শুরু করেন। কোথাও না কোথাও তো গেছেন অবশ্যই জীবনে। আর কোথাও না গেলে
বাথরুমে তো গেছেন। দরকার হলে সেটা নিয়েই লিখে ফেলেন। প্রথমে বদনা হাতে
নিলাম, সেটাতে পানি ভর্তি করলাম … … থাক আর ডিটেইলসে না যাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন